বর্তমান সময়ে আমাদের দেশের অনেকের মাঝে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার ব্যাপক আগ্রহ দেখা দিচ্ছে।
এফিলিয়েট মার্কেটিং মূলত অনলাইনে সম্পন্ন হয়।ঘরে বসে ডেক্সটপ বা ল্যাপটপ ব্যবহার করে বিভিন্ন কোম্পানির অসংখ্য প্রোডাক্ট প্রোমট করতে পারেন। আর যখনই ওই কোম্পানিগুলোর জন্য সেলস নিয়ে আসতে পারবেন তখনই আপনি নির্দিষ্ট পরিমান কমিশন পেতে থাকবেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে যে প্রোডাক্টগুলো আপনি প্রমোট করবেন সেগুলো কিন্তু আপনার নিজের কাছে গচ্ছিত হচ্ছে। না কারণ অনলাইনে অনেক ডিজিটাল প্রোডাক্ট পাবেন যেগুলো আপনি প্রোডাক্ট প্রোমট করতে পারেন। আবার কেউ যদি ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট নিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে তবে শুধু তার সুযোগ সুবিধা, ভালো দিক,খারাপ দিক,ছবি ভিডিও ইত্যাদি দেখিয়ে আপনার অডিয়েন্সের কাছে তুলে ধরার মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন।
যে কেউ ঘরে বসে যে কোনো দেশের কোম্পানির প্রোডাক্ট প্রমোট করে ভালো অংকের এফিলিয়েট কমিশন পেতে পারেন। এফিলিয়েট মার্কেটিং এতটা জনপ্রিয় হওয়ার পেছনে কাজের ফেক্সিবিলিটি একটি অন্যতম কারণ।
আপনি চাইলে আপনার ঘরে বসে বা আপনার অফিসে বসে অথবা কোন সী বিচে বসেও এফিলিয়েট মার্কেটিং এর কাজ করতে পারেন।
বিশ্বের অনেক এফিলিয়েট মার্কেটার আছেন যারা সারা বছর দেশ বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করেন আর এফিলিয়েট মার্কেটিং করেন। তাদের জীবনটা এতটাই রোমাঞ্চকর যে তাদের কোনো ৯ টা থেকে ৫ টা অব্দি বোরিং জব করতে হয়না।আবার তাদের অর্থ নিয়ে কোন চিন্তা করতে হয়না। কারন তারা এফিলিয়েট মার্কেটিং করে এতটাই আয় করেন যে তাদের অর্থ নিয়ে কোন ধরনের চিন্তা করতে হয় না। সেই সাথে তারা পেয়ে যান কাজ করার সময়ের স্বাধীনতা।
তাই সময় অর্থ ও ভ্রমণের স্বাধীনতা এই তিনটিকে একই সাথে পেতে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জুড়ি নেই।
বর্তমানে অনেক তরুন এফিলিয়েট মার্কেটিং করে তাদের বেকারত্ব গুছিয়েছেন। হাজারো তরুনের স্বপ্ন পূরুনের মোক্ষম হাতিয়ার হচ্ছে এই এফিলিয়েট মার্কেটিং। তাই বেকার না বসে থেকে আপনিও পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ এর মাধ্যমে হতে পারেন একজন সফল এফিলিয়েট মার্কেটার।