যে কোন ব্যক্তির জীবনের সবচেয়ে কাম্য একটি মাত্র বস্তু, আর সেটা হচ্ছে সফলতা। সফলতা নিজ পায়ে কারো দারে এসে ভিড়ে না। এর জন্য দরকার প্রচুর শ্রম ও সাধনা। একজন সফল ব্যক্তি রাতারাতি সফল হয়না। পৃথিবীতে সফল ও অসফল ব্যক্তিকে চেনা বেশ একটা শ্রমের ব্যাপার না।
চরিত্র ও গুণে যেমন মানুষ চেনা যায়, ঠিক তেমনি স্বভাব ও তার অভ্যাস এর মাধ্যমে একজন সফল ব্যক্তিকে। অভ্যাস কি? অভ্যাস হচ্ছে যা নিত্যদিন করা হয়। এটা যেকোনো কিছু হতে পারে। কলম চাবানো থেকে এক্সারসাইজ করা। খারাপ ও হতে পারে আবার ভালো ও হতে পারে।
সফল ব্যক্তিরা নিজেদের কে ঘেরাও করে রাখে ভালো অভ্যাস দ্বারা। সেগুলো আজ আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করবো এবং এগুলো কিভাবে আপনাকে সফল হতে আর সুফল আনতে সাহাহ্য করবে সেগুলো ও বিশ্লেষণ করবো।
প্রকাস্টিনেশন কে না বলে প্রডাক্টিভ হওয়ার উপায়
১. নিয়মিত সকাল সকাল ওঠাঃ
প্রবাদ আছে ” আর্লি টু বেড আর্লি টু রাইজ মেকস এ ম্যান হেলদি এন্ড ওয়াইজ”। প্রবাদটির অর্থ হচ্ছে তাড়াতাড়ি ঘুমানো এবং তাড়াতাড়ি ওঠা একজন ব্যক্তিকে করে তোলে সাস্থ্যবান, আর্থিকভাবে সচ্ছল ও জ্ঞানী। যে ব্যক্তি সকাল সকাল ওঠে এবং সকালের তাজা বাতাস উপভোগ করে তার মস্তিষ্ক তুলনা মুলুক ভাবে বাকিদের থেকে বেশী সচল থাকে। এবং বাকীরা যখন গভীর নিদ্রায় তখন আপনি জাগ্রত এবং নিজের কাজ সেরে ফেলছেন কোনরকম বাধা ছাড়া। যার ফলে আপনি বাকি দের থেকে এগিয়ে থাকবেন অনেকাংশেই।
২. প্রত্যেকদিন নতুন কিছু শেখাঃ
যে ব্যক্তির জ্ঞ্যান পিপাসা যত বেশী তার নতুন কিছু শেখারও আগ্রহ ততোটাই বেশী। সফল ব্যক্তি কখনো নিজেকে অলস বসে থাকতে দিতে পছন্দ করেননা। তারা নিজেকে নানান কিছুতে ব্যাস্ত রাখেন। আর এখানে নানান কিছু বলতে শিক্ষনীয় কর্মকান্ড বোঝানো হচ্ছে। যেমনঃ নতুন কিছু নিয়ে বসে যাচায় করা বা বাজারে নতুন কি টেকনলজি এসেছে সেটা নিয়ে হালকা করে গবেষণা করা ইত্যাদি।
৩. বই পড়াঃ
সফলতার বা ভালো অভ্যাসের কথা যখন হয় তখন বই পড়ার কথা কোথাও লুকিয়ে থাকেনা। সফলতার পাশাপাশি এটা খুবই ভালো ও শিক্ষনীয় একটা স্বভাব। যার ফলে বিভিন্ন কিছু বিভিন্ন বিষয়ের উপর জ্ঞান আহরণ করা সম্ভব । যে ব্যক্তি সফলতার সিঁড়ি বাইতে চাই তার অবশ্যই বই পড়তে হবে এবং নানান বিষইয়ে জানতে হবে।
যাদের সফল হওয়ার কোন ইচ্ছা নাই তারা নিজেদের কে তাদের স্মার্ট ফোনের দাস বানিয়ে রেখেছেন। ঘন্টার উপর ঘন্টা ব্যয় করেন অযথা। সে সময়টা নানান বই পড়ে বা আধুনিক যুগের আবিষ্কার ই-বুক থেকেউ নানান বই পাঠ করে একটি ভালো অভ্যাস গড়ে তোলা সম্ভব।
৪. নিয়মিত এক্সারসাইজ করাঃ
সফল ব্যক্তি কখনো নিজের সাস্থের প্রতি অবহেলা করেননা। সাস্থ্য ভালো থাকলে যেমন মন প্রফল্ল থাকে একই ভাবে মস্তিস্ক ও থাকে সুস্থ এবং কাজেও একান্ত মনযোগ দিতে সাহায্য করে। নিয়মিত এক্সারসাইজ করলে অতিরিক্ত স্ট্রেস রিলিজ হয়, শরীর ফিট থাকে এবং নিজেকে উৎফুল্ল মনে হই। সেক্ষেত্রে নিয়মিত ব্যায়াম বা এক্সারসাইজ করতে হবে।
৫. রাতে জলদি ঘুমিয়ে পড়াঃ
আর্টিকেলের শুরুতেই একটি প্রবাদ ব্যবহার করা হয়েছিল “আর্লি টু বেড আর্লি টু রাইজ মেকস এ ম্যান হেলদি এন্ড ওয়াইজ” এই প্রবাদ টা এখানে আবার কেন ব্যাবহার করা হয়েছে তা নিশ্চয় আপনারা বুঝতে সক্ষম হয়েছেন। ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি ওঠা যেমন গুরুতবপূর্ণ ঠিক তেমনি সঠিক সময়ে এবং জলদি ঘুমিয়ে পড়ার তাৎপর্য টাও প্রচুর।
একজন ব্যক্তি সারাদিন বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকায় শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে ফলে প্রত্যেকদিন ৮ ঘন্টা ঘুমের দরকার হয়। এজন্য আগে আগে ঘুমিয়ে সকালে তাড়াতাড়ি উঠতে হবে সেই সাথে পর্যাপ্ত ঘুমের ও প্রয়োজন পূরণ করতে হবে। ফলে মন ও শরীর ভালো থাকে এবং কাজে ভালো মত মনযোগ দেওয়া যায়।
মানুষ অভ্যাসের দায়। সেজন্য আমরা বদঅভ্যাস কে এড়িয়ে ভালো অভ্যাসে নিজেদেরকে অভ্যস্ত করে সফলতার দিকে এগিয়ে যায়।