আশা করি সবাই ভালো আছেন।আমি আগের অনেক লেখাতে বলেছি সফল মানুষরা কিভাবে দিন শুরু করে,কিভাবে সারাদিনটা কাটায়।কিন্তু আমাদের মনে প্রশ্নজাগে যে সফল মানুষরা রাতের বেলা কোন কাজগুলো করেন?তারা কি আমাদের মতই সাধারাণ কাজগুলো করে নাকি আরও কিছু কাজ করে।তাই এই ব্যাপারে বলার জন্য আমার আজকের এই পোষ্টটি লেখা।তাই এখন আমি আপনাদের এমন ৪ টি কাজের কথা বলবো যা সফল ব্যক্তিরা রাতের বেলা করে থাকে।
১.সফল মানুষেরা রাতের বেলা ঘুমানোর আগে বই পড়েন।
এটা সফল মানুষরা প্রতিদিন করে থাকে। কারন বই পরলে জ্ঞানের বিকাশ ঘটে।তারা রাতের বেলা বই পড়তো আর এখন তাদেরকে নিয়ে অনেক বই লেখা হয়েছে।তাই অবশ্যই রাতের বেলা ঘুমানোর আগে বই পড়েন।সেটা আপনার ইচ্ছে মতো যেকোনো বই হতে পারে।হতে পারে সেটা সাহিত্য নিয়ে,জীবন নিয়ে,মোটিভেশনাল অর্থাত যেকোনো বই আপনার ইচ্ছে মতো পড়তে পারেন।প্রথমে চেষ্টা করেন ১,২ পৃষ্টা পরতে তারপরও বই পড়ুন।
২.তারা পরের দিন যেই কাজগুলো করবে তার একটা নোট করে থাকে।
আপনি সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে কোন কাজ করবেন তার নোট রাতের বেলা করে রাখুন।কারন এই সময়টা পরিবেশ অনেক শান্ত থাকে আর আপনি নিজের প্রছন্দ কাজ আর দরকারী কাজ গুলো লিখে রাখতে পারেন।আর এর ফলে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠতে আপনার এত আলসামী লাগবে না।তাই পরের দিন যেই কাজ গুলো করবেন তা আজকেই রাতের বেলা খাতায় লিখে রাখুন।
৩.আজকের সারাদিন তার জীবনের সাথে কি কি ঘটেছে সেই গুলো একটু মনে করে নেন।
যদি আজকার সারাদিনের কথা আপনি একটু ভাবেন তাহলে দেখবেন আপনার সাথে কিছু ভালো কাজ হয়েছে কিছু খারাপ কাজ হয়েছে আপনি কিছু কাজ ভালো করেছেন কিছু কাজ ভুল করেছেন বা অন্যায় করেছে।তাই যেই কাজগুলো ভুল করেছেন সেইগুলো কিভাবে ঠিক করা যায় তা নিয়ে ভাবেন আর যেই কাজগুলো অন্যায় করেছে তা ঈশ্বরের কাছে ক্ষমা ছেয়ে নিবেন। এতে আপনার ভুল করা পরের দিন থেকে কমে যাবে এবং এক পর্যায়ে গিয়ে আপনি একজন ভালো মানুষ হয়ে যাবেন।
৪.ঈশ্বরকে স্মরণ করে ঘুমান।
সারাদিন অনেক কাজের পর রাতের বেলা ঘুমানোর আগে যদি আপনি ঈশ্বরকে স্মরণ করেন তাহলে যদি সেই কাজগুলো বেশি একটা অন্যায় না হই তাহলে ঈশ্বর আপনাকে ক্ষমা করে দিবেন।যারা ইসলাম ধর্মের তারা নামাজ আদায় করে ঘুমাবেন আর যারা হিন্দু ধর্মের তারা ঈশ্বরের নাম নিয়ে ঘুমাবেন।
সফল বেক্তিদের একটা বই থেকে আমি এই ৪ টি অভ্যাস পেয়েছি তাই অবশ্যই রাতের বেলা এই ৪ টি অভ্যাস পালন করতে চেষ্টা করবেন।আশা করি আপনার জীবনে অনেক পরিবর্তন দেখা দিবে।
ভালো থাকবেন সবাই,আর চেষ্টা করবেন জরুরী দরকার ছারা ঘর থেকে না বের হতে।