“সম্পর্কের পাঠশালায় গণিতফেলে হিরো দ্যা সুপার স্টার।”বিদ্যা শিক্ষার পাঠশালা টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন মেধাবী শিক্ষার্থীর ,সম্পর্কের পাঠশালা টিকিয়ে রাখতে হলে আবশ্যক গণিতে ফেল। সম্প্রতি সম্পর্কের পাঠশালায় ভাল ভাল মেধাবীরাও অতী উদ্বিগ্ন হয়ে প্রেম ভালোবাসার সাবজেক্টে ভর্তি হয়। অবাক ব্যপার হলো ডিজিটাল যুগে সম্পর্কটাও যেন ডিজিটাল! তাই অনলাইন ভিত্তিক এ সম্পর্কের শুরুটা যতটাই আঁটসাঁট করে হয়,তার স্থায়িত্ব মূলত পদ্মপাতার জলের মত টলমল করে, তাই শেষটা ঝটপটই করে হয় বলে সম্পর্কের পাঠশালায় ঝড়ে পড়াদের সংখ্যা দিন দিন অধিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কারণ সম্পর্কটা জীবনের জন্য আর্ট অফ লাইফ বা, সুখের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ এতটুকু বুঝ তাদের থাকে না। গাছে ফল পরিপক্ক হওয়া তো থাক দূরের কথা লোভ সামলাতে না পেরে ফল ধরা থেকে ছেড়া শুরু করে বিশ্বাস, সততা, প্রেম এক কথায় সম্পর্কের সবকটি শর্ত নষ্টালিজমে ধ্বংস করে দেয়। ফলশ্রুতিতে অকালপক্ক সম্পর্কের এ জটিলতার দরুণ জীবনের যে ভাঙ্গন ধরে তাতে নিজের কাছে, পারিবারের কাছে এবং সামাজের কাছেও সে পার্ট অফ লাইফ হিসেবে আঘাত প্রাপ্ত হয়। যে কোন প্রতিষ্ঠান বিশেষ বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে, কার্যক্রম নির্দেশিকা, ম্যানুয়াল, দৈনিক রিপোর্ট বহি প্রেজেন্টেশন ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে পরিচালিত হয়ে থাকে।
শিক্ষাঙ্গনে প্রধানমন্ত্রী ছেলে হোক আর সামান্য একজন শ্রমজীবীর ছেলে হোক সবাই যেমন সমান ছাত্র, সকলকেই আইনের প্রতি আন্তরিকভাবে শ্রদ্ধাশীল হতে হয়, এবং কোন ষ্টুডেন্ট প্রতিষ্ঠানের আইন লঙ্ঘন করে যখন অনধিকার চর্চা শুরু করে সেখানে ছাত্রনং সম্পর্ক রক্ষা করতে পারে না ঠিক তেমনিভাবে সম্পর্কের পাঠশালায় টিকে থাকতে হলে বিশেষ কতগুলো মানবীয় গুণাবলীর উপর ভিত্তি করে আন্তরিকতার সাথে সম্পর্ক রক্ষা করতে হয়। বিশেষ করে আত্মস্বার্থ কেন্দ্রীক হিসেব থেকে সম্পর্ককে অবমুক্ত না রাখতে পারলে সম্পর্কের পাঠশালায় টিকে থাকা তো থাক দূরের কথা সম্পর্কের পাঠশালাই টিকিয়ে রাখা যায় না। এ জন্যই ” সম্পর্কের পাঠশালা টিকিয়ে রাখতে হলে গণিতে কাঁচা হওয়াটা জরুরী।”
” মনুষ্যত্ব গুণে ফুটবো “
মুহা. কবির হোসেন
মানুষের মত মানুষ হবো চাই , সবার হয়ে সুখ
নিজের সুখটু পরকে দেব নেব পরে দুঃখ
পুষ্প হয়ে খুশবু গুলে যেমনি হাসে
আমি তেমনি রব ভালোবেসে।
গোলাপ বাগের গোলাপসম
ফুটবো আমি ফুটবো
মনুষ্যত্ব গুণে
ফুটবো।
“মন থাকলে মানুষ , সম্পর্ক থাকলে সুখ। “
প্রেমের নকশী
মুহা. কবির হোসেন
স্বর্ণোজ্জ্বল কালির হীরক দানায় রচিতে করিনি ভুল
হৃদয় জুড়ে প্রেমের নকশী একটাই তুমি ফুল।
জ্যোছনা রাতে তারার খেলা আকাশে তাঁর মেলা
মন মোহনার সাথে বসে ভালবাসার ভেলা।
রোজ বিহনে পাখির মতো আপন সুরে সুরে
নাচিয়া উড়িয়া খুঁজে তুমি কোন সুদূর পুরে।
পাগোলপারা হৃদয়গ্রাহী উদাসী হাওয়ায় উড়ে
হাজার বছর কেটে গেল একাকীত্বের অনলে পুড়ে।
আশার বাসা বেঁধে বুকে আছি সেই অচিনপুর
নকশী গাঁথা হৃদয় জুড়ে দেখছি কেবলই সে ফুল।
নতুন কত স্বপ্ন ভাসে মুক্ত আকাশে তারা
ধৈর্য হাতে চাই ঔদার্য মনে দেয়না তো ধরা।
ভালোবাসার এই কী-রে খেলা ফাগুনের আগুন
আকাঙ্ক্ষার তীর উল্টো ফিরে পুড়ে যাতে মন।
অজস্র ক্ষত লুকিয়ে হাসি মেহেদী পাতার ঢঙ
সবাই দেখে আমি রঙিন দেখেনা তো মনের রঙ।
প্রেমের নকশী একটাই ফুল প্রেমের ছায়া ফেলে
হৃদয় জুড়ে জোছনাহেনা দুল দুলছে আমার গলে।
লুকিয়ে বনে যাসনে উড়ে বন্য পাখির মতো
প্রেমের স্বর্গে থাকবো সুখে নকশী কাঁথার মতো।