সব ধরনের জুসই কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ভূমিকা পালন করে না। কিন্তু বেশিরভাগ প্রাকৃতিক ফলের রসে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণের স্বাস্থ্য উপকারিতা। স্বাভাবিক ভাবেই উপকারী ফল গুলোর রস থেকেও উপকারিতা পাওয়া যায়। কিন্তু এমন পাঁচটি ফল রয়েছে যা আমাদের জানার চাইতেও বেশি উপকারিতা বহন করে। এজন্য প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে এই ফল গুলোকে রাখা বুদ্ধিমানের কাজ হতে পারে।
কমলার রসঃ কমলার রসে মূলত অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি তথা বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ বিরোধী উপাদান থাকে। একটি গবেষণায় দেখা যায়, কয়েক কাপ বিশুদ্ধ ও চিনিবিহীন কমলালেবুর রস পান করলে হাই-ফ্যাট-মিল গ্রহণে প্রদাহ দেখা দেওয়াকে বিশেষভাবে প্রতিরোধ করে। অন্য আরো একটি পরীক্ষার ফলাফল থেকে জানা যায়, প্রতিদিন এক কাপ সমপরিমাণ কমলা লেবুর রস পান করলে রক্তে খারাপ ধরনের কোলেস্টেরলের মাত্রা ভালো আকারে হ্রাস পেতে থাকে।
লেবুর রসঃ ওজন কমানোর ক্ষেত্রে বেশ উপকারী পানীয় হলো এই লেবুর রস। লেবুর রস এবং পানি একসাথে মিশিয়ে পান করার ফলে শুধুমাত্র বাড়তি মেদ নয়, বরং কিডনির পাথরের মতো গুরুতর জটিল সমস্যাও দূর করা যায়। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) কম্প্রেহেন্সিভ কিডনি স্টোন সেন্টারের ডিরেক্টর রজার এল. স্যার বলেন, যদি আপনার কিডনিতে পাথরের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে দৈনিক একটি বড় লেবু এক লিটার পানিতে মিশিয়ে পান করুন। এর ফলে অন্তত ৯০% ক্ষেত্রে কিডনি পাথরের সমস্যাটি দূর হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ডালিমের রসঃ ডালিমের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় পুষ্টিটি যা সবচেয়ে বেশি পরিমাণে রয়েছে সেটি হলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এমনকি সবুজ চা-এর থেকেও বেশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া সম্ভব এক কাপ সমপরিমাণ ডালিমের রস থেকে। ডালিমের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিশেষভাবে সাহায্য করে ফ্রি রেডিক্যাল ড্যামেজ হতে রক্ষা করতে। এছাড়া এ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হতে প্রদাহ বিরোধী উপকারিতাও পাওয়া সম্ভব।
আঙুরের রসঃ অ্যান্থসায়ানিনস এবং পর্যাপ্ত পরিমাণের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ আঙুরের রস আমাদের মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে সবথেকে বেশি অবদান রাখে। ইউরোপিয়ান জার্নাল অভ নিউট্রিশিন ২০১৭ সালে এক গবেষণায় জানায়, গবেষণায় অংশগ্রহণ করা যেসব স্বেচ্ছাসেবীরা একটানা ১২ সপ্তাহ আঙুরের রস পান করেছিলেন, আগের চাইতে তাদের স্মৃতিশক্তি আরো বেশি উন্নত হয়ে ওঠে।
টমেটোর রসঃ এই লিস্টে টমেটো দেখে অবাক হচ্ছেন! অবাক হওয়ার কিছু নেই। সবজি হিসেবে পরিচিত এই টমেটো আসলে যে একটি ফল, তা ভুলে গেলে চলবে না। টমেটোতে রয়েছে বিশেষ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লাইকোপেন প্রস্টেট এবং অন্যান্য উপাদান ক্যানসারের সম্ভাবনা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ টমেটোতে থাকা উচ্চমাত্রার আঁশ আমাদের পেট ভরা রাখতেও সাহায্য করে।
তো বন্ধুরা কেমন লাগলো আজকের আর্টিকেলটি কমেন্ট করে জানিয়ে দিন। এতক্ষণ মনোযোগ দিয়ে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।