Cheap price backlink from grathor: info@grathor.com

সাফারি পার্ক ভ্রমণ কাহিনী

আসা লমু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো আছে ন।আজ আমি আপনাদের সাথে  সাফারি পার্কের ভ্রমণ নিয়ে বলব আশা করি সবার ভালো লাগবে

ছুটির দিন। সাদেফীন একটি বিশেষ চেয়ারে বসে আছে। চোখে চশমা। মাথা ঝিমঝিম করছে। বাসের জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখলো, ভয়ংকর জন্তু জানোয়ারগুলো ঘুরে বেড়াচ্ছে। হঠাৎ একটা বাঘ একটি হরিণ ছানা তাড়া করলো! সাদেফীন জানে যে, বাঘের মতো হরিণও খুব দ্রুত দৌড়ায়; ফলে হরিণ ধরা সহজ নয়। কিন্তু এটি তো পূর্ণবয়স্ক হরিণ না; বাচ্চা হরিণ। একে ধরে ঘাড় মটকাতে বাঘের আধ মিনিটও লাগলো না। বাসের সবাই দৃশ্যটি উপভোগ করলো। সাদেফীনের তীব্র রাগ হচ্ছে বাঘটির উপর। এই সাফারি পার্কে এক মা তার বাচ্চা ছেলেকে নিয়ে এসেছে।

সাদেফীনের মনোযোগ গেল পেছনে তাদের উপর। মা বললেন, ‘বলো বাবা, ব-তে বাঘ।’ ছেলে এটি না বলেই উ চেঁচিয়ে বললো, ‘আমার খিদে লেগেছে!’ মহিলা একটা হটপট ছেলের হাতে দিয়ে বললেন, ‘নাও আব্বুসোনা, যত খুশি খাও।’ বাচ্চা ছেলেটি বললো, ‘যত খুশি কীভাবে খাবো? আমার তো একটাই পেট!’ সাদেফীন পিচ্চিটার কথায় বেশ মজা পেল। সামনে বামদিকে এক সিংহ কেশর ফুলিয়ে তার পরিবারসহ হাঁটাহাঁটি করছিল। পথিমধ্যে দেখা হলো জেব্রা घा পরিবারের সাথে। ব্যস, হুলস্থুল রক্তারক্তি কাণ্ড!

বাচ্চা জেব্রাটিও বাঁচার সুযোগ পেল না! বাসের সবাই হা করে দেখছে দৃশ্যটি, তখন হঠাৎ সাদেফীন খেয়াল করলো, বাসের দরজা খোলা আর সামনেই আছে হরিণশিকারী সেই বাঘ। সু বাঘের মুখে লেগে আছে তাজা রক্ত। বাসের দরজা খুললো কীভাবে, সাদেফীন বুঝতে পারছে না। ওর হাত পা ঠান্ডা হয়ে এলো। জোরে চিৎকার করলো সে কিন্তু গলা দিয়ে আওয়াজ বের হলো না। বাঘকে বাসে উঠতে দেখেই বাচ্চা ছেলেটি বললো, মা, দেখ, ব-তে বাঘ! বাসের মধ্যে শুরু হলো। চিৎকার। বাঘটি এক ঝটকায় উল্টো ঘুরে লাফ দিয়ে বাস থেকে নেমে হাঁটা শুরু করলো! মা ভয়ে গগনবিদারী আর্তনাদে সাহায্য চাচ্ছে। কিন্তু কেড ভয়ে এগিয়ে আসছে না।

এদিকে সিংহের পরিবার বাসের দিকে আসছে। তাই দেখে সাদেফীনের আত্মা শুকিয়ে গেল। সব হুড়মুড় করে বাস থেকে শরীর চেয়ারের নেমে এলোপাতাড়ি দৌড়াচ্ছে। সাদেফীন দৌড়ানো তো দূরের কথা, উঠতেও পারছে না! মনে হচ্ছে, সাথে বেঁধে রেখেছে। সে প্রাণপণে চেষ্টা করছে দাঁড়াতে, কিন্তু পারছে না। সবগুলো সিংহ এখন বাসে। তারা গা এলিয়ে বিশ্রাম করছে। সাদেফীনের মুখে সিংহের শ্বাস-প্রশ্বাসের গরম বাতাস লাগছে। ভয়ে সে এতটুকু হয়ে গেছে। এই বুঝি দাঁত দিয়ে কামড়ে ধরলো। সাদেফীন বাইরে তাকাতেই দেখলো, চারদিকে বাসযাত্রীদের আধা খাওয়া লাশ পড়ে আছে। এখন বাস থেকে নামা মানেই মৃত্যু অনিবার্য।

বাইরে শুধু বাঘ নয়, আছে হায়েনা, চিতাবাঘ, হাতি, ভালুক ও কুমিরসহ অনেক বন্যপ্রাণী। পার্কের ভিতর গহিন অরণ্যকে সাফারি পার্ক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সাদেফীন অবাক, কর্তৃপক্ষ এখনো উদ্ধারের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেয় নি। চারদিকে অন্ধকার হচ্ছে। ঝিরঝির বৃষ্টি পড়ছে। সাদেফীনের মনে হচ্ছে, তার পা পেঁচিয়ে ধরেছে কোনো সাপ। ভয়ংকর শ্বাপদসংকুল গহিন অরণ্যে একা বাসে বসে আছে সাদেফীন। চারপাশ থেকে লাশের গন্ধ নাকে আসছে। হালকা বৃষ্টির ফোঁটা তার গায়ে লাগছে। আকস্মিকভাবে পেছন থেকে কে যেন সাদেফীনের ঘাড়ে হাত রাখলো। সে এতটাই ঘাবড়ে গেল যে পেছন ফিরে তাকালো না। সে অনুমান করছে, কোনো লাশ উঠে এসে তাকে জাপটে ধরেছে। সাদেফীন চিৎকার করলো, বাঁচাও।’ ঘাড়ে হাত রাখা মানুষটি সাদেফীনের কানের কাছে। মুখ এনে ফিসফিসিয়ে বললো, ভয় পাবেন না স্যার. টোয়েন্টি-ডি শো  শেষ হয়েছে।’

আশা করি সবার ভালো লেগেছে

Related Posts

16 Comments

  1. ভাবলাম বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক বা চিটাগং সাফারি পার্ক হবে। ভাল।

Leave a Reply

Press OK to receive new updates from Firstsheba OK No