সাবধান জেনে নিন কোন কোন খাদ্য আপনার অকাল মৃত্যুর কারণ হতে পারে:
কেমন আছেন আপনারা আশা করি সকলেই ভাল আছেন আজকে আপনাদের কাছে তুলে ধরব এক ভয়ানক প্রতিবেদন যাওয়া কিছুদিন আগে ব্যাপক গবেষণা মাধ্যমে জানা গিয়েছে।
প্রতিদিনই আমাদের রোজগার কার্য দিবানে নানা রকম এর খাদ্য গ্রহণ করে থাকি এর মধ্যে কিছু খাদ্য শরীরের জন্য ভালো হলো এমন কিছু খাদ্য রয়েছে যা অতিরিক্ত বা কম খেলে আমাদের অকাল মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। কিছুদিন আগে এক গবেষণায় জানা গিয়েছে যে প্রতিবছর পুরো বিশ্বে এক কোটির বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে শুধুমাত্র খাবারের কারণেই। তাই অবশ্যই আমাদের প্রতিদিন খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই অবশ্যই সচেতন হতে হবে।
সম্প্রতি ল্যানসেটে প্রকাশিত এক বিশ্লেষণে তারা দেখতে পান যে দৈনন্দিন জীবনে আমরা যে ধরনের খাদ্য তালিকা অনুসরণ করি তার মধ্যে এমন কিছু খাদ্য রয়েছে যেটি ধূমপানের চেয়েও বেশি প্রাণহানি ঘটায়। প্রতিবছর পুরো বিশ্বে এসব খাবারের কারণে পৃথিবীতে মারা যাচ্ছে প্রায় এক কোটিরও বেশি মানুষ খুবই আতঙ্কের বিষয়।
বিভিন্ন গবেষকের মতে, শুধুমাত্র স্থূলতা নয় বরং আমরা যে নিম্নমানের খাদ্যভ্যাস গড়ে তুলছে তা হার্ট অ্যাটাক বা ক্যান্সারের মতো জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে।
‘দ্যা গ্লোবাল বার্ডেন অফ ডিজেস স্টাডি নামের একটি সংস্থা তাদের গবেষণার মাধ্যমে নিম্নমানের খাদ্যাভ্যাসের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় মারা যাওয়া মানুষের আনুপাতিক সংখ্যা গবেষণার মাধ্যমে তুলে ধরেছে।
তাদের গবেষণা প্রাপ্ত ফলাফল এখানে তুলে ধরলাম:
অতিরিক্ত লবণ যুক্ত খাদ্য :
আপনারা শুনলে হয়তো অবাক হবেন, যে অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ফলে পুরো বিশ্বে প্রায় 30 লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু ঘটেছে। পরিমাণের চেয়ে বেশি লবণ খেয়ে থাকে যা খুবই মারাত্মক খারাপ অভ্যাস তাই আমাদের এখনই এই অভ্যাসগুলো পরিহার করতে হবে।
কম দানাদার খাদ্য খাওয়া:
যদিও এই সমীকরণটি আমাদের দেশের জন্য প্রযোজ্য নয়। কিন্তু বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই দানাদার যুক্ত খাবার কম খাওয়া হয় ,যার ফলে এটি প্রায় 30 লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যুর কারণ।
ফলমূল কম খাওয়া:
এই ফরমালিন এর যুগে আমরা ফলমূল খাওয়া প্রায় কমিয়ে দিয়েছি বললেই চলে। কিন্তু ফলমূলের কম খাওয়ার পরিণাম শোরুম এ পর্যন্ত প্রায় 20 লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ ধরা হয় ফলমূল কম খাওয়া।
এছাড়াও বাদাম, শাকসবজি ও সামুদ্রিক মাছ বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন ও ভিটামিন বিদ্যমান। যেমন ওমেগা 3।এই সমস্ত খাদ্য কম পরিমাণে গ্রহণ করার ফলে মৃত্যু ঝুঁকি বৃদ্ধি করার একটি অন্যতম কারণ।
তাই আমাদের উচিত সকল ধরনের প্রোটিন যুক্ত খাদ্য পরিমাণ মতো খাওয়া।