সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যাটেরিয়ালস
সামগ্রীর ধর্মাবলি বর্ণনা
(Deeribe the Properties of Engineering Materials)
👉 একোশল
বন্ধ থা সামগ্রীর সুনির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যকে ঐ সামগ্রীর ধর্ম বলে। কোনাে নির্দিষ্ট সমতীর ধর্মাবলি অবস্থাভেদে ঐ সামরি একত।
করা যায়। এ ধর্মাবলির উপর ভিত্তি করেই প্রকৌশলীগণ কোনাে কাঠামাে, যন্ত্রাংশ ইত্যাদির জন্য সামগ্রী নির্ধারণ করে
ও আচরণের উপর নির্ভর করে। বিভিন্ন অবস্থায় সামগ্রীর আচরণ কিরূপ হবে তা সামগ্রীর ধর্মাবলি দ্বারা পূর্বাহ্নে অনুধাবন
থাকে। নিচে প্রকৌশল সামগ্রীর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মাবলি উল্লেখ করা হলাে :
(১) ভৌত ধর্মাবলি (Physical Properties) : আকার, আকৃতি, ঘনত্ব, স্বচ্ছিদ্রতা, সংযুক্তি ইত্যাদি।
(২) যান্ত্রিক ধর্মাবলি (Mechanical Properties) : শক্তি, স্থিতিস্থাপকতা, নম্যতা, অনম্যতা, প্ৰসাৰ্যতা, ভঙ্গুরতা,
কাঠিন্য, ঘাতসহতা, সঠিন্য, মন্থর বিকৃতি ইত্যাদি।
(৩) রাসায়নিক ধর্মাবলি (Chemical Properties) : ক্ষয়রােধিতা, অম্লত্ব, ক্ষারত্ব, রাসায়নিক গঠন ইত্যাদি।
(৪) বৈদ্যুতিক ধর্মাবলি (Electrical Properties) : তড়িৎ সঞ্চালন শক্তি, তড়িৎ পরিবহন ক্ষমতা, তড়িৎ প্রতিরােধ ক্ষমতা ইত্যাদি।
(৫) তাপীয় ধর্ম (rhermal Properties) : আপেক্ষিক তাপ, তাপীয় প্রসারণ, তাপ পরিবাহিতা ইত্যাদি।
(৬) চুম্বকীয় ধর্মাবলি (Magnetic Properties) : ভেদন শক্তি, চৌম্বকীয় ভেদ্যতা, চুম্বকীয় আবেশ, হিস্টিরিসিস ইত্যাদি।
প্রাথমিকভাবে কোনাে সামগ্রীর গুণাবলি উক্ত সামগ্রীর প্রকৃতির উপর নির্ভর করে। এটি ব্যতিত সামগ্রী যে পরিবেশে ব্যবহৃত হয়
তার অবস্থার উপর এটির গুণাবলি বহুলাংশে প্রভাবান্বিত হয়। সামগ্রীর উপরােল্লেখিত গুণাবলি ল্যাবরেটরির আদর্শ পরিবেশ।
ব্যতিরেকে যাচাই করা সম্ভব হয় না। প্রকৃত ব্যবহারিক ক্ষেত্র ল্যাবরেটরির আদর্শ পরিবেশের মতাে হয় না বলেই সামগ্রীর কাঙ্খিত
গুণাবলি যথাযথভাবে প্রত্যক্ষ করা যায় না। সামগ্রীর ধর্মাবলি ল্যাবরেটরি পরীক্ষার দ্বারা মূল্যায়ন করা হয় । কতগুলো নির্দিষ্ট
পরিবেশে সামগ্রীর ধর্মাবলি পরিমাপ করা হয়। এ পরিমাপ পদ্ধতিই হলাে টেস্ট বা পরীক্ষণ। পরীক্ষণ রিপাের্ট কাঠামাে ডিজাইন
এবং সামগ্রীর মান সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে। টেস্ট -এর প্রক্রিয়া, পদ্ধতি ও প্রয়ােজনীয় নিয়মাবলি বিশেষ সংস্থা কর্তৃক
আদর্শায়িত করা থাকে। ফলে কোনাে সামগ্রী সম্পর্কিত সঠিক তথ্যাদি সংগ্রহ করা সহজ হয় এবং চেষ্টাসমূহের ফলাফল সহজেই
তুলনা করা যায়। সাধারণত দেশের কোনাে জাতীয় সংস্থা টেস্টের আদর্শায় করে থাকে। ফলে নির্মাণ সামগ্রী প্রকৌশল নির্মাণ।
কাজে এবং শিল্পে ব্যবহারের ক্ষেত্রে সামগ্রীর উন্নয়নের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায় । নিচের সংস্থাগুলাে বিভিন্ন ধরনের সামগ্রীর
টেস্টের প্রক্রিয়া/পদ্ধতি ও নিয়মাবলির আদর্শায়ন, বিনির্দেশ ও বিভিন্ন পরিভাষায় সংজ্ঞা প্রদান করে থাকেন :
>) BSI (British Standard Institute)
ASTM (American Society of Testing & Materials)
(0) AASHO (American Association of State Highway Official)
(8) ACI (American Concrete Institute)
(6) ASM (American Society for Metals)
(9) ASME (American Society of Mechanical Engineers)
(9) API (American Petroleum Institution)
(6) SAE (Society of Automotive Engineers)
নিচে প্রকৌশল সামগ্রীর গুরুত্বপূর্ণ যান্ত্রিক ধর্মাবলি সম্পর্কে আলােচনা করা হলাে :
(১) শক্তি (strength) বস্তুর উপর বাইরে থেকে প্রযুক্ত বলের কারণে এর অভ্যন্তরে অণুগুলাের আকর্ষণ ও বিকর্ষণজনিত
কারণে প্রতিরােধী বলের সৃষ্টি হয়। এ প্রতিরােধী বল বস্তুর আকার-আকৃতি অপরিবর্তিত রাখতে চেষ্টা করে। বস্তুর এ
ধর্মকে শক্তি বলে । বস্তুর মৌলিক শক্তি তিন প্রকার। যথা :
(i) টান শক্তি (‘Tensile Strength),
(ii) চাপ শক্তি (Compressive Strength) ও
(iii) শীয়ার শক্তি (Shear Strength)
(২) পীড়ন (Stress) : কোনাে প্রকৌশল সামগ্রীর উপর বাহির হতে প্রযুক্ত বলের প্রভাবে এর অভ্যন্তরে সৃষ্ট বলের তবত।
(Intensity)-কে পীড়ন বলা হয়।
অর্থাৎ, পীড়ন (S) =
প্রযুক্তি বল (P)
বল প্রয়োগকৃত পৃষ্ঠের ক্ষেত্রফল (A)
পীড়ন প্রধানত তিন প্রকার। যথা :
(i) টান পীড়ন (Tensile stress)
(a) চাপ পীড়ন (Compressive stress) ও
(iii) as yet (Shear stress)
ডাইনোসর যুগের ও আগের প্রাণী:তুয়াতারা।
ডাইনোসর যুগের ও আগের প্রাণী তুয়াতারাকে নিয়ে বিস্ময়ের অন্ত নেই।বিঙ্গানীদের কাছে তুয়াতারার গুরুত্ব এতটাই বেশি যে তারা এটিকে জীবন্ত জীবাশ্ম(Living...