সুখ হচ্ছে আপেক্ষিক ব্যাপার। কারো লক্ষ টাকা থেকেও সে সুখী নয়, আবার কেউ সাধারণ জীবনযাপন করেও বিরাট সুখী। চাইলে আপনিও সুখী ও আনন্দময় জীবন যাপন করতে পারেন। আপনি যদি সুখী হতে চান তাহলে নিচের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ুন এবং অর্ধেকটাও যদি মেনে চলেন তাহলে আপনার জীবন উপভোগ করতে পারবেন বহুগুণে। তাহলে চলুন শুরু করি-
(১) সুস্থ থাকার প্রতি মনোযোগী হন-
সুস্থ থাকার জন্য যা যা প্রয়োজনীয় তার প্রতি মনোযোগ দিন।দিনে অন্তত আট গ্লাস পানি পান নিশ্চিত করুন। নিজের শরীরের যত্ন নিন। এছাড়া সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি, যেমন- খাদ্য, পানীয় বিশ্রাম,সুনিদ্রা, আলো বাতাস, পোষাক, গোসল,সংযম প্রভৃতির দিকে নজর দিতে হবে।
(৩) প্রতিদিন শারীরিক অনুশীলন করা-
স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল।আর সুস্থ দেহের জন্য ব্যায়াম অপরিহার্য।নিয়মিত ব্যায়াম করা যাদের অভ্যাস তাদের মাঝে সুখের মাত্রা বেশি দেখা যায়।এটা যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
(৩) প্রতিদিন বই পড়ুন-
বই মানুষের সবচেয়ে বড় বন্ধু। তুমি যদি বিখ্যাত কিছু করতে চাও, সাফল্যের শীর্ষে উঠতে চাও তাহলে তোমাকে অবশ্যই বই পড়তে হবে।যে মানুষের বই পড়ার আগ্ৰহ যত বেশি তার সুখী থাকার পরিমাণ তত বেশি।
(৪) লক্ষ্য নির্ধারণ করা-
লক্ষ্য বিহীন জীবনে শান্তি থাকে না।তাই নিজের জীবনের লক্ষ্য ঠিক করে সে লক্ষ্যের দিকে ক্রমাগত এগিয়ে চললে দেখবেন মনের শান্তি অনেক বেড়ে গেছে।কারন মানুষ সবকিছু হারালেও স্বপ্ন তাকে বাঁচিয়ে রাখে।
(৫) অন্যের জন্য কিছু করার চেষ্টা করুন-
শুধু নিজে ভালো থাকলে হবে না, অন্যকেও ভালো রাখতে হবে।তাই আপনার সাথে সম্পর্কযুক্ত যেমন:মা বাবা,ভাই বোন, বন্ধু সবার জন্য কিছু করার চেষ্টা করতে হবে।তাহলে জীবন অনেক সুন্দর ও আনন্দময় হবে।
(৬)সব অবস্থায় ইতিবাচক চিন্তা করুন-
অর্থাৎ কোনো ঘটনা কে বাকা চোখে না দেখে সোজা চোখে দেখা এবং যা কিছু ঘটছে সেই অবস্থা কে সাবলীল ভাবে দেখা,বাবা এবং স্বাভাবিক ভাবেই চিন্তা করা।আর যেকোনো ঘটনাকে সহজভাবে গ্রহণ করাই হচ্ছে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি। সুস্থ ও সুন্দর জীবনযাপন করতে ইতিবাচক চিন্তার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
(৭) কাজকে মনথেকে ভালোবাসুন এবং অর্থবহ করে তুলুন-
আপনি যে কাজটিই করেন না কেন,সে কাজ কে অর্থবহ করে তুলতে হবে। অর্থাৎ কাজ টি করলে কিকি লাভ হবে তা খুঁজে বের করে লিখে রাখতে হবে। আর কাজ টি করে যা অর্জন করতে চান তার প্রতি মনোযোগী হন।যা কাজ কে করে তুলবে আনন্দময়।
(৮) নামাজকে উপেক্ষা করবেন না-
পাঁচ ওয়াক্তের নামাজ খুশখুশের সাথে আদায় করবেন। নামাজের মাধ্যমে আপনার শরীর ও মনের যথাযথ পরিচর্যা হবে।
এছাড়াও কিছু কথা যা আপনার সুখকে বাড়িয়ে দিবে দ্বিগুণ:
*অন্যের কাজে নাক না গলানো ।
*মনে না রেখে ক্ষমা করে দেওয়া।
*প্রসংশা বা সুখ্যাতির আশা না করা।
*হিংসা শব্দ জীবন থেকে বাদ দেওয়া।
*যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে না,তা সহ্য করে নেওয়া।
*অতীত নিয়ে চিন্তা না করা।
*সব সময় খুশি মনে থাকা।
*তর্কে না জড়ানো।
*নিজেকে অন্যের সাথে তুলনা না করা।
*কে আপনাকে নিয়ে কি ভাবলো সেটা চিন্তা না করা।
মনে রাখবেন, আপনি কে বা আপনার কি আছে তার উপর আপনার সুখ নির্ভর করে না, আপনার সুখ নির্ভর করে আপনি কেমন চিন্তা করেন তার উপর।- ডেল কার্নেগী
তুমি যদি পূর্ণতার জন্য অন্যের দিকে তাকাও তবে তুমি কখনোই পূর্ণ হবে না।
যদি তোমার সুখ সম্পদের উপর নির্ভর করে তবে তুমি কখনোই সুখী হতে পারবে না।
ধন্যবাদ পোস্টটি পড়ার জন্য। এরকম পোস্ট পেতে Grathor. Com এর সাথেই থাকুন।