সুখ শব্দটি জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।দৈনন্দিন জীবনে এই দুটি শব্দের মধ্যে মানুষের মিল বিরাজমান।এই পৃথিবীর প্রত্যক মানুষই সুখী হতে চায়।এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কষ্টকর যে কি না সুখের ছায়া তলে স্থান পেতে অনাগ্রহী।
আমাদের সমাজে বিভিন্ন জাতের বর্ণের মানুষের চলাচল অবিরাম।সবাই নিজ কাজের দায়িত্বে ছোটে চলে।কাজ খুজে অর্থের বিনিময়ে।জীবন বাচিয়ে রাখতে অবিরাম চেস্টা যার কোন শেষ নেই।মূলত,প্রত্যকটা কাজের পেছনেই সুখ।সুখ ছাড়া জীবনটাই যেন বৃথা।
সুখ নিয়ে বিখ্যাত কবি হুমায়ূন আজাদের উক্তিটি হচ্ছে,
৷ “ শরীরই শ্রেষ্ঠতম সুখের আকর। গোলাপের পাপড়ির ওপর লক্ষ বছর শুয়ে থেকে,মধুরতম দ্রাক্ষার সুরা কোটি বছর পান ক’রে, শ্রেষ্ঠতম সঙ্গীত সহস্র বছর উপভোগ ক’রে যতোখানি সুখ পাওয়া যায়, তার চেয়ে অর্বুদগুণ বেশি সুখ মেলে কয়েক মুহূর্ত শরীর মন্থন ক’রে। ”
অন্যদিকে,টাকার পেছনে ছোটে চলা মানুষগুলো ও সুখের ছায়া তলে বসে একটু অারাম করতে চায়।কিন্তুু মানুষের চাওয়ার কোন শেষ না হওয়ায় সেই স্থানে বসাটাই জীবনের জন্য সবচাইতে বড় চ্যালেন্জ হয়ে দাঁড়ায়।অধিক পরিমাণে চাওয়ার পেছনে যেমনি অর্থ নস্ট তেমনি সুখ থেকেও দূরে।
তাই অতিরিক্ত চাওয়াই অর্থ নস্ট মানে সুখ থেকে বঞ্চিত।
একজন বিখ্যাত ব্যক্তির উক্তিটি হলো
“ মানুষ যতটা সুখী হতে চায়, সে ততটাই হতে পারে। সুখের কোনো পরিসীমা নেই। ইচ্ছে করলেই সুখকে আমরা আকাশ অভিসারী করে তুলতে পারি । ”আব্রাহাম লিংকন
সারা পৃথিবীর সব মানুষের সুখের সাক্ষাৎকার নিলে দেখা যাবে দরিদ্র ব্যক্তিরাই সব চাইতে সুখী।
একজন মানুষের ঘুমের ঘরে চিন্তা যখন প্রচুর পরিমাণে টাকা আয়ের ঠিক ঐ সময়টিতে অন্য একজনের চিন্তা এক ঘুমে পরদিনের সূর্য দেখা।দুজন ব্যক্তির মধ্যে যে চিন্তা চেতনা সেটাই সুখের ঘর।সেই সুখটাকেই পেতে সবাই চারিদিকে ছোটাছুটি করে অথচ হাতের কাছে হাঁড়ি রেখে অন্যদিকেই খুঁজাখুঁজি।সুতরাং স্বাভাবিক জীবন-যাপন সুখের প্রধান শর্ত।
কয়েকজন বিখ্যাত ব্যাক্তির সুখ সম্পর্কিত উক্তগুলো দেওয়া হলোঃ
আমি জ্ঞানী নই, কিন্তু ভাগ্যবান কাজেই আমি সর্বতোভাবে সুখী ।
— ডব্লিউ জি নেহাম
আমি সবসময় নিজেক সুখী ভাবি, কারণ আমি কখনো কারো কাছে কিছু প্রত্যাশা করি না, কারো কাছে কিছু প্রত্যাশা করাটা সবসময়ই দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়ায় ।
— উইলিয়াম শেক্সপিয়র
একজন সুখী মানুষ সাদা কাকের মতোই দুর্লভ ।
— জুভেনাল
তারাই সুখী যারা নিন্দা শুনে এবং নিজেদের সংশোধন করতে পারে ।
— উইলিয়াম শেক্সপিয়র
পৃথিবীতে আনন্দ এবং দুঃখ সব সময় থাকবে সমান সমান। বিজ্ঞানের ভাষায় আনন্দের সংরক্ষণশীলতা। একজন কেউ চরম আনন্দ পেলে, অন্য জনকে চরম দুঃখ পেতে হবে।
— হুমায়ূন আহমেদ
পরিশেষে এটাই বলবো যে সুখের স্বর্গে যেতে হলে অনেক কিছুকে ত্যাগ করতে হবে।মনের শান্তি সুখ থেকেই।আমাদের মন শরীর এবং স্বাস্থ্যকে সব সময় ভালো রাখতে সুখের জীবন গঠন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।