- আসসালামু আলাইকুম।প্রিয় ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন সবাই।আশা করি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছেন।সবাইকে ঈদ-উল আযহার শুভেচ্ছা
ঈদ মোবারক।
ঈদ মানে আনন্দ,ঈদ মানে খুশি।মুসলমানদের পবিত্র ও সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল আযহা।এই দিন মহান আল্লাহ রাব্বুল আল-আমীন এর নৈকট্য অর্জন করার লক্ষ্যে পশু কোরবানী করা হয়।সেই পশুর গোশত গরীর-দুঃখী,আত্মীয়-স্বজন সহ সকলের মাঝে বন্টন করা হয়।বন্টনকৃত গোশত সবাই রান্না করে তৃপ্তি সহকারে পরিবেশন করে।এর দ্বারা একদিকে যেমন আল্লাহর নৈকট্য লাভ হয় অন্যদিকে গরীব-দুঃখী যারা সবসময় খেতে পারে না তারা অন্তত বছরে একবেলা হলেও ভাল খেতে পারে।
প্রত্যেক দেশেই আলাদা আলাদা পশু কোরবানি করা হয়।তবে বাংলাদেশে সচারাচর গরু কোরবানী করা হয়।কারন বাংলাদেশে পশুর মধ্যে গরুর ই বেশি।অন্যান্য দেশে ভিন্ন ভিন্ন পশু কোরবানী করা হয়।
যাইহোক,আমি আপনাদের যে টিপস টা দিচ্ছি সেটা হল কিভাবে গোশত সিদ্ধ করবেন অল্প সময়ে।
কোরবানি ছাড়া ও মাঝেমধ্যেই আমরা বাসায় গরু,মহিষ সহ বিভিন্ন পশুর গোস্ত নিয়ে আসি।গোস্তের কথা শুনলেই জিভে পানি চলে আসে।কিন্ত রান্না করতে গেলেই যত ঝামেলা।কোনমতেই সিদ্ধ হতে চায় না।মনে হয় এটা আগুনে দিলে আরো শক্ত হয়ে ওঠে।ওদিকে জিভের অবস্থা ও বেগতিক।সে আর দেরি করতে চায় না।অনেকেই প্রেসার কুকার ব্যবহার করে সিদ্ধ করেন তারাতাড়ি।কিন্ত আপনার না হয় প্রেসার কুকার আছে তাই আপনি এটা করলেন।কিন্ত যে বেচারার এটা কিনার সামর্থ্য নেই সে কি ওই শক্ত গোস্ত ই খাবে?
না,এজন্য ই সম্পুর্ণ প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া পদ্ধতিতে গোস্ত সিদ্ধ করার একট দারুন পদ্ধতি নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি।এটা শুধু কোরবানী উপলক্ষে নয়।সারাবছর আপনি এই পদ্ধতিতে খুব কম সময়ে স্বাদ অপরিবর্তিত রেখে যেকোন গোস্ত সিদ্ধ করতে পারবেন।তাহলে জেনে নিন কি সেই পদ্ধতি।
☞গোস্ত দ্রুত সিদ্ধ করার জন্য একটুকরো বড় সুপারি গোস্তের মধ্যে ছেড়ে দিন।আর অল্প কিছুক্ষণ সিদ্ধ করুন।এরপর সুপারি টুকরো উঠিয়ে ফেলে দিন অথবা চাইলে পান খাওয়ার জন্য রেখে ও দিতে পারেন।এরপর পরিবেশন করুন।দেখবেন অল্পসময় কি সুন্দর সিদ্ধ হয়েছে আপনার গোস্ত গুলো।তাছাড়াও
☞গোস্ত সিদ্ধ করতে কয়েকটুকরা কাঁচা পেপে ও ব্যবহার করতে পারেন যেটাও খুব কাজে দিয়েছে।
যা আমার নিজের পরীক্ষিত।
আর একটি বিষয় হল।আপনি যদি গোস্তের স্বাদ কে আরো বেশি উপভোগ করতে চান তাহলে গোস্তের মধ্যে কিছু আস্ত রসুন দিয়ে দিন।রান্না শেষ হলে রসুন গুলো উঠিয়ে আলাদা পরিবেশন করুন।দারুন মজাদার।
তো আজ এই পর্যন্ত।
বেশি বেশি গোস্ত সিদ্ধ করে খেয়ে ঈদের আনন্দ কে উপভোগ করুন।এই কামনায় শেষ করছি।
সবাই ভাল থাকুন।
সুস্থ থাকুন।
আল্লাহ হাফেজ।