সেলফি তোলা একটা রোগ !
সেলফি না তুললে কারো দিন যায় না , এমন অনেক মানুষ রয়েছে । সেলফি এতো পপুলার হওয়ায় আজকাল তো সেলফি এক্সপার্ট মোবাইল তৈরী করা হচ্ছে , যে মোবাইলের ফ্রন্ট ক্যামেরা যতো ভালো ততো এর চাহিদা বেশি ।
এমন কোনো ইভেন্ট নাই যেখানে সেলফি তোলা হয় না , আজকাল তো মানুষ পাগলের মতো সেলফি তোলে । এমন কি মন খারাপ থাকলেও সেলফি তুলে আর সেগুলো কে সোশাল প্লাটফর্ম গুলোতে পোস্ট করে থাকে ।
সেলফি তোলার ব্যাপার টা আগে মেয়েদের ক্ষেত্রে বেশি থাকলেও কিন্তু এখন ছেলেরাও পিছিয়ে নেই ।
এবিষয় টি নিয়ে গবেষণা করা হয় , আর তার ফলাফল টা এরকম ।
“”আমেরিকান সাইকিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশনের”” একদল গবেষক তাদের গবেষণা শেষে প্রকাশ করেছে যে , “সেলফি তোলাটা একধরনের মানসিক রোগ”অবসেসিভ ডিসঅর্ডারের কারণে মানুষ সেলফি তুলেই থাকে ।
মানুষ এমন বিপদ জনক অবস্থায়ও সেলফি তোলতেও পিছপা হয়না । মরন হচ্ছে সেলফি তুলতে গিয়ে তারপরও তারা ছাড়ছেনা । এটা একটা নেশার মতো হয়ে যায় ।
সেলফি রোগে আক্রান্তদেরকে “সেলফাইটিস” বলে চিহ্নিত করেছেন। এই রোগটার তিনটি ধাপ রয়েছে । তিনটি ধাপে গবেষক দল প্রকাশ করেছেন –
💃বর্ডার লাইন 💃
এখানে সেলফাইটিস তিনটার মতো সেলফি তুলবে এবং সেগুলো পোস্ট না করে নিজের কাছে রেখে দিবে ।
💃💃একিউট💃💃
এই স্টেজে সেলফাইটিস রা দিনে তিনটার সেলফি তুলে সোশাল প্লাটফর্মে পোস্ট করবেন ।
💃💃💃ক্রনিক💃💃💃
এটি থার্ড স্টেজ । এখানে আক্রান্ত ব্যাক্তি অসংখ্য সেলফি তুলে সোশ্যাল নেটওয়ার্কে পাগলের মতো পোস্ট করতে থাকে ।
তাছাড়াও মনোবিজ্ঞানীরা বলেছেন যারা অনেক বেশি সেলফি তুলে তারা সামাজিক জীবনে ব্যর্থতার পরিচয় দেয় । শুধু তাই নয় এরা ব্যক্তিত্বহীনতার পরিচয় দেয় ।
অনেকে আবার সেলফি তুলেই স্বস্তি পায় না যতক্ষন পর্যন্ত না সোশাল প্লাটফর্মে পোস্ট করেন আর বন্ধু দের কমেন্ট আশাও করেন । আর তাই যারা বেশি সেলফি রোগে আক্রান্ত তারা তারা নিজেকে সংযত করুন , তা নাহলে পাগল হতে বেশি দেরী নাই ।
(সূত্র ঃ কালের কন্ঠ )