বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ,
প্রিয় ভিউয়ার্স, আশা করি সবাই ভালো আছেন। জীবন একটা ঘটনা প্রবাহ। এর মধ্যে আমি, আপনি ও আমরা কেহই ব্যতিক্রম নই।
সময়টা ২০০৫ সালের ২৭ আগস্ট। তার সাথে আমার প্রেমের সম্পর্কটি শুরু হয়। দুজনের বসবাসের জায়গাটি কাছাকাছি হওয়ায় প্রতিদিনই দেখা হতো, কথাও হতো। সে তখন ক্লাস নাইনের মেধাবী ছাত্রী। আর আমি পড়ি কলেজে ১ম বর্ষে। পড়াশোনার সুবিধার্থে আমি থাকি আমার ফুফুর বাড়ি আর সে থাকে তার নানির বাড়ি। সেই সূত্রে আমরা প্রতিবেশি। যাই হোক, সম্পর্ক চলতে থাকলো। অনেক সময় প্রেমের খুঁনসুটি চলতো আমাদের মাঝে। কিন্তু ব্রক আপের চিন্তা কখনো কারও মাথায়ই আসেনি। বরং আজীবন একসাথে থাকবো এরকম দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিলো আমাদের সম্পর্ক।
সময়টা তখন ২০০৬ সাল। আমার কলেজে পড়াশুনা শেষ। আমি উচ্চতর পড়াশুনার জন্য চলে আসি নিজের জেলা শহরে। সেও এসএসসি শেষ করে চলে যায় তার বাবার বাড়িতে। নিজেদের মধ্যে দুরত্ব তৈরি হলো প্রায় ৪৫০ কিলোমিটারের। এর মাঝেও কয়েকবার সে তার নানির বাড়ি বেড়াতে আসে। সেই সুবাধে দেখা হয় আমাদের একাধিকবার। তখন তার পরিবার থেকে তাকে বিয়ের জন্য বারবার চাপ দেয়া হচ্ছে। কিছু কিছুতেই রাজি হচ্ছেনা সে। এর মধ্যেই সে তার কলেজ পড়া শেষ করেছে। আমারও এমএ কমপ্লিট। সম্পর্কটা তখনো ঠিকঠাক।
তার ভার্সিটি কমপ্লিট (সিএসই) করার পর সে তার উচ্চতর গবেষণার জন্য জার্মানিতে পাড়ি জমায়। আমি তখন আমার বাড়ির লোকজনের চাপে বিয়ে করে ফেলি। কি নিয়তি, আমার বিয়ের আগে প্রায় ৩ মাস তার সাথে আমার সকল যোগাযোগ বন্ধ ছিলো। বিয়ের দিন বউ আমার বাড়ি নিয়ে আসার ঘন্টা খানেক পরেই তার ফোন বেজে উঠলো। কি করবো বুঝতে না পেরে ফোনটি কেটে বন্ধ করে রাখলাম। তারপর অনেকবার ফোন আসে, মেসেজ দেয়। কিন্তু আমি, নো রিপ্লাই। পরবর্তীতে কোনো মাধ্যম থেকে বিয়ের খবরটি জানতে পারে। জেনে সে আমাদের সুন্দর দাম্পত্য জীবন কামনা করে এই বলে মেসেজ দিতে থাকে।
২০১৬ সালে আমি বিয়ে করি। আর এখন ২০২০ সাল। তার পড়াশোনা শেষ। সে জার্মানির একটি আইটি ফার্মে জব করে। প্রায়ই আমাকে ফোন করে, মেসেজ দেয়। আমিও একটু একটু কথা বলি। মেয়েটির এখন বয়স প্রায় ৩০ বছর। এখনো বিয়ে করেনি। আর করবেওনা বলে সবাইকে সাফ জানিয়ে দেয়। যেই কথা সেই কাজ। সে একথাটাই আমাকে বার বার বলতো আমাকে ছাড়া সে কাওকে বিয়ে করবেনা। এটাই সে করছে এবং করবে বলে আমার বিশ্বাস। আমি সহ কারও কথায়ই সে বিয়ে করতে রাজি নয়। আবার আমাকেও সে ক্ষমা করে যাচ্ছে বারবার। আমার উপর তার কোনো রাগ নেই। কারন আমার পরিবার চায়নি তার সাথে আমার বিয়ে হউক। সে প্রায়ই আমার মায়ের সাথে ফোন করে কথা বলে। আমার মাকে মা বলে ডাকে।