স্মৃতি শক্তি দুর্বল হওয়ার কারন এবং বাড়িয়ে নিন স্মৃতি শক্তি
কম ঘুমের অভ্যাস ঃ
কম ঘুমের অভ্যাসে আপনার স্মৃতিশক্তি দুর্বল করে দেয় ।ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালেফোর্নিয়া বার্কলের গবেষনায় প্রমান করেছেন যে,পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে আপনার স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে।আর ঠিকমতো না ঘুমানোর ফলে আপনি আলঝেইমারের মতো মারাক্রক রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।স্মৃতি ভুলে যাওয়ার একটি মারাক্রক রোগ আলঝেইমার। আলঝেইমা রোগে আক্রাক্ত ব্যাক্তি দ্রুত সবকিছু ভুলে যায় ।স্মৃতি মনে রাখতে পারে না ।রোগটিতে আক্রাক্ত ব্যাক্তি পরিচিত ব্যাক্তি থেকে শুরু করে একটু আগে দেখা জিনিসের কথাও স্মরন করতে পারে না ।সারারাত ঘুমের সময়টা মস্তিষ্কের কোষগুলো সাধারন ক্ষতিকারক ও বিষাক্ত পদার্থ সরিয়ে দিতে পারে ।যদি কেউ নিয়মিত পর্যান্ত না ঘুমাই এই ক্ষতিকর পদার্থগুলোই হতে আপনার স্বাভাবিক জীবনের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি । সুতারাং আপনি কেন কোন কিছু মনে রাখতে পারবেন না ,এর অন্যতম একটি কারন হতে পারে পর্যান্ত পরিমানে না ঘুমানো । একজন সুস্থ স্বাভাবিক ব্যাক্তি জন্য নিয়মিত ৬-৮ ঘন্টা ঘুমানোর প্রয়োজন । মনে রাখবেন, এর চেয়ে কম ঘুমানো মানে আপনি নিজে নিজেই ক্ষতি করে চলছেন ।
দীর্ঘদিনের হতাশা ঃ
স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া, শেখার সামার্থ্য হ্রাস পাওয়া।কোনকিছুতে মনোযোগ ধরে রাখতে না পারা।এমনকি আপনার নিয়ন্রণ না থাকার কারন হতে পারে ।আপনার দীর্ঘদিনের হতাশা ।হতাশা শুধুমাএ জীবনেও কয়েকটি ক্ষতি করে থেমে থাকবে না ।হতাশার কারনের বা এর প্রভাবে আপনি হয়ে উঠতে পারেন প্রচুর খিটখিটে মেজাজের।প্রচন্ড সন্দেহপ্রবন অযথা ভয় ও চিন্তার শিকার হওয়া বা সবকিছু আপনার কাছে বিরক্তকর মনে হওয়া।এমকি এর ফলে আপনি স্থায়িভাবে মানসিক রোগীও হয়ে যেতে পারেন।হতাশা মানুষের জীবনে আসবে,তাই বলে একে যত বেশি প্রশ্রয় দিবেন আকারে ধরে থাকবেন ততই ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে যাবেন।তাই যত দ্রুত সম্ভব হতাশাকে জীবন থেকে ঝেড়ে পেলে দিন ।বিশ্বাস রাখুন আগামি যা হবে তার জন্য প্রস্তুত।
পানিশূন্যতা ঃ
পানিশূন্যতার ক্ষেত্তে স্মৃতিশক্তি সংবেদনশীল ।আমাদের মস্তিষ্কের প্রায় ৮০ ভাগ পানি , আর এর কারনে হতে পারে আপনার স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার কারন ।মস্তিষ্কে যদি স্বাভাবিকের চেয়ে সামান্য পরিমান পানিও ঘাটতি থাকে তাহলে এই কারনে যে যে সমস্যা পড়তে পারেন – কাজে মনোযোগ কমে যাওয়া,অনদ্রা রোগে আক্রাক্ত হওয়া । এদুটি একসাথে দায়ি- অল্পেতে কোন কিছু ভুলে যাওয়া এবং আপনার স্নায়ুবিক দেখা দিতে পারে এর ফলে । পানিশূন্যতা রোধের জন্য নিয়মিত পর্যান্ত পরিমান পানি পান করুন ।গরম বা বেশি তাপমাত্তার স্থান এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন ।
বেশি মিষ্টি জাতীয় খাবার ঃ
খাদ্য তালিকায় বেশি মিষ্টি জাতীয় খাবার মস্কিষ্কর কার্যক্ষমতাকে ধীর করে দেয় । কোনকিছু শেখার সামর্থ্যকে কমিয়ে দেয়, কাজে মনোযোগ কমায়। স্মৃতিশক্তি দুর্বল করে দেয় । এর কারন অতিরিক্ত মিষ্টি মস্তিষ্কের নিউরাল কানকেশনকে নষ্ট করে দেয় ।