হতাশা এখন একটা সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুশ্চিন্তা, অবসাদ ও অসন্তোষ থেকে হতাশার সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন কারণে হতাশার সৃষ্টি হয়- চাকরি না পাওয়া, ভালোবাসার মানুষকে না পাওয়া, স্বপ্নের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে না পারার, বিদেশ যেতে না পারা , জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছাতে না পারা ইত্যাদির নানা কারণে হতাশার সৃষ্টি হতে পারে। আজকাল আট থেকে আশি প্রায় সকলেই হতাশায় ভোগে।
হতাশা থেকে পরবর্তীতে মানুষ নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। কোনো কাজে সে আর মন বসাতে পারে না। একসময় মাথায় নানা খারাপ চিন্তা আসে এবং বড় কোনো দূর্ঘটনার সৃষ্টি হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী হতাশা দূর করার জন্য কিছু উপায় অবলম্বন করতে পারেন। এইগুলো হয়তো আপনাকে হতাশা মুক্ত করতে পারবে। হতাশা দূর করার জন্য অবশ্যই আপনাকে প্রথমে হতাশার কারণ খুঁজে বের করতে হবে। তারপর কারন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করার চেষ্টা করুন।
সমস্যার শেয়ার করুন
বেশিরভাগ সময় হতাশার কারণ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। এবং আমরা এইসব সমস্যার কথা অন্যের সাথে শেয়ার না করে মনের ভিতরে লুকিয়ে রাখি। যার ফলে হতাশা আরো দ্রুত আমাদের উপর প্রভাব ফেলে। তাই সর্বদা কোন সমস্যা হলে তা বিশ্বস্ত কাউকে সেটা পরিবার বা পরিবারের বাইরে যে কাউকে বলুন, অবশ্যই তাকে বলার চেষ্টা করুন যাকে আপনি বিশ্বাস ও আপনার শুভচিন্তক মনে করেন।
পরামর্শ গ্ৰহণ করুন
আপনার বিশ্বস্ত বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করুন। এতে হতাশা কাটিয়ে উঠতে এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে আপনার জন্য সুবিধা হবে। এছাড়াও বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী কাজ করলে দ্রুত আপনি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে পারবেন।
নিজেকে ব্যস্ত রাখুন
যখন মানুষ কোন কাজ না করে তখন নানা চিন্তা থেকে হতাশার সৃষ্টি হয়। এছাড়াও হতাশা দূর করার জন্য নিজেকে ব্যস্ত রাখতে পারেন। এর ফলে আপনার মাথায় কোন খারাপ চিন্তা আসতে পারবে না। চাইলে আপনি ধর্মীয় ইবাদত (যদি মুসলিম হন তাহলে নিয়মিত সালাত আদায় করুন ও অবসর সময় কোরআন তেলাওয়াত করতে পারেন)।
পরিবার ও বন্ধুদের সাথে সময় কাটান
হতাশা দূর করার জন্য পরিবার বা বন্ধুদের সাথে সময় কাটান। তাদের সাথে দেখা করুন কথা বলুন। এছাড়াও পরিবারের সাথে যে কথা শেয়ার করা যায় না সেটা বন্ধুদের সাথে শেয়ার করা যায়। তাই পরিবার ও বন্ধুদের সময় দিন কথা বলুন আড্ডা দিন হতাশা দূর হয়ে যাবে।
বিরতি নিন
হতাশা মানুষের জীবনযাত্রায় অনেক প্রভাব ফেলে। এটা কাজের উপর ও অনেক প্রভাব ফেলে। যদি কাজে মন না বসে অস্তির লাগে, তাহলে কিছুটা বিরতি নিন। কাজ থেকে কিছুদিন ছুটি কাটান কোথাও ঘুরতে যান হতাশা কেটে যাবে।
বই পড়ুন
বই পড়ার অভ্যাস হতাশা দূর করার জন্য ভালো উপায়। হতাশ হলে পছন্দের বই পড়ুন। এছাড়াও গবেষণা বলছে ভালো ঘুমের জন্য দৈনিক ঘুমের আগে ৬ মিনিট বই পড়লে ভালো ঘুম হয়। মুসলিম হলে বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করুন। কারন কোরআন তেলাওয়াত হতাশা দূর করে- এর মাধ্যমে আল্লাহ তাদেরকে শান্তির পথ দেখান; যারা তাঁর সন্তুষ্টির অনুসরণ করে এবং তাঁর অনুমতিতে তিনি তাদেরকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে বের করে আনেন। আর তাদেরকে সরল পথের দিকে হেদায়াত দেন।’ (সুরা মায়েদা : আয়াত ১৫-১৬)।
আশা করি পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগবে। ভালো লাগলে শেয়ার করুন।