আমরা সকলেই পানি পান করি।কারণ পানির অপর নাম জীবন।পানি না খেয়ে কেও থাকতে পারে না।আমরা এক প্রকার মানুষ পানিকে এত সাধারণ মনে করি যে এইটা আমরা যখন তখন ইচ্ছা করলেও না করলেও পান করে থাকি।কিন্তু পানিকে যতটা সাধারণ মনে হয় পানি ঠিক তার উল্টো।মনে হলো,আমাদের শরীরের সমস্ত কাজের জন্য পানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে
পানি আমাদের শরীরের বিষাক্ত পরিমান জীবাণু কে ধ্বংস করে।এছাড়াও আমাদের শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের বিভিন্ন কাজের পানি করে থাকে।কিন্তু আপনি কি জানেন? স্কিন এলার্জি, চুল পড়া,অনেক খাওয়ার পর ও ওজন না বাড়া,হটাৎ পেট ব্যাথা,মাথা ব্যাথা,পা ব্যাথা, মুখ তৈলাক্ত হওয়া,মুখে ব্রণ ও দাগ হওয়া, কিডনিতে সমস্যা এমন সব রোগ একমাত্র পানির জন্য হতে পারে আপনার।
এখন কথা হলো পানির সাথে আমাদের শরীরের এত রোগের কি সম্পর্ক? হ্যা,আছে।কারণ আমাদের শরীরের ৬০-৭০ভাগ পানি।আমাদের পান করা পানি দিয়ে আমাদের শরীরের বিভিন্ন ক্ষয় পূরণ এর কাজ করা হয়।পানি আমাদের শরীরের বিষাক্ত পদার্থ কে বের করে দেই।
নরমাল কোনো ব্যাক্তির দৈনিক সর্বনিম্ন 2-3 লিটার পানি পান করা খুব এই উচিত।মল ত্যাগ,ঘাম সহ বিভিন্ন কারণে আমাদের শরীর থেকে দৈনিক 2লিটার এর মতো পানি বের হয়ে যায়।
খুব বেশি পানি পান করলে কি হয়?
হ্যা,কারণ আমরা জানি যেকোনো জিনিস এই বেশি পরিমাণে করা ঠিক না।খুব বেশি পরিমাণে পানি পান করলে আমাদের কিডনির কার্য ক্ষমতা কমে যায় না সম্ভবনা থাকে।কিন্তু এমন সমস্যা খুব কমই হইয়ে থাকে।তবে যে ব্যাক্তি দিনে 4-5 লিটার বা এর ও বেশি পানি পান করে তাদের এমন সমস্যা হতে পারে।
কিভাবে পানি পান করা উচিত?
আমরা সবাই এই যখন যেভাবে যতটুক ইচ্ছা পানি পান করে থাকি।কিন্তু আমরা জানিনা যে এক এক নিয়মে পানি পান করলে এক এক সুবিধা হয় আমাদের শরীরের।এর জন্য আমাদের উচিত পানি ধীরে ধীরে পান করা।একবারে এক গ্লাস পানি পান না করে ধীরে ধীরে বোতল থেকে খাওয়া।দাড়িয়ে থেকে পানি পান করলে আমাদের কিডনি সঠিক ভাবে ফিল্টার করতে ব্যার্থ হয়।এর জন্য আমাদের উচিত বসে থেকে ধীরে ধীরে পানি পান করা।
অনেকবেশি ঠান্ডা পানি পান করলে আমাদের হজম শক্তি কমে যায়।তাছাড়াও আমাদের শরীরের পানির কাজ গুলো করতে নরমাল পানি সাহায্য করে।তাই আমাদের উচিত নরমাল পানি পান করা।এতে পেট পরিষ্কার থাকে।
খাওয়ার আগে পানি না খেয়ে খাওয়ার পর থেকে হবে।এতে আমাদের শরীরের হজমের কাজ ঠিকভাবে হয়।রাতে ঘুমানোর আগে পরিমাণমতো পানি খেতে হবে।
খেয়াল রাখতে হবে প্রসাব করার সময় আপনার মুত্র যদি হলুদ থাকে তাহলে আপনার আরো বেশি পরিমাণে পানি পান করতে হবে আর সাভাবিক থাকলে মূত্র হওয়ার 20-30মিনিট পর পানি পান করবেন।
এইভাবে যদি দৈনিক আপনি সাভাবিক ভাবে পানি পান করেন তাহলে ভালো ফল পাবেন ।