চাকরি প্রত্যাশিদের জন্য ইন্টারভিউ একটি আতঙ্কের নাম। তাদেরকে বুদ্ধিমত্তার সাথে উপস্থিত জ্ঞান প্রয়োগ করে পারিপার্শিক অবস্থার মোকাবিলা করতে হয়। এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে অভিজ্ঞতা একটি বড় টুল হিসেবে কাজ করে। তাই চাকরি প্রার্থীদের নিয়মিত ভাইভায় অংশগ্রহণ করা উচিত।
কিছু প্রশ্ন আছে যা ভাইভা বোর্ড প্রায়শই করে থাকে। এ সকল প্রশ্ন ও তাদের উত্তর সম্পর্কে ধারণা থাকলে ইন্টারভিউ ভীতি অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। আজকে ভাইভা বোর্ডে জিজ্ঞাসিত এধরণের ৩ টি প্রশ্ন ও তাদের উত্তর নিয়ে আলোচনা করা হবে। নিম্নোক্ত আলোচনাটি থেকে বুঝতে পারবেন কিভাবে বোর্ড মেম্বারদের সামনে এ প্রশ্নগুলোর উত্তর উপস্থাপন করবেন। চলুন তাহলে শুরু করা যাক :
প্রশ্ন-১. নিজের সম্পর্কে কিছু বলুন।
উত্তর : এ প্রশ্নটি ভাইভা বোর্ডে খুবই কমন। তা সত্ত্বেও অনেকেই এ প্রশ্নের উত্তর দিতে হিমশিম খান বা গোলমাল বাধিয়ে ফেলেন। এ প্রশ্নের উত্তরে আপনি নিজের নাম, সংক্ষেপে এডুকেশনাল ব্যাকগ্রাউন্ড এবং চাকরির সাথে সামঞ্জস্যিক স্কিল বোর্ড মেম্বারদের জানাতে পারেন। এ প্রশ্নের উত্তর খুব বড় করার দরকার নেই, ২/১ লাইনই যথেষ্ট।
প্রশ্ন-২. আপনার ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক।
উত্তর : এ প্রশ্নের মাধ্যমে তারা জানতে চাচ্ছেন আপনি নিজের সম্পর্কে কতটুকু জানেন। আপনি পারফেক্ট এমন উত্তর তাদের দিতে যাবেন না। ইতিবাচক দিক বলার সময় পূর্ব অভিজ্ঞতা যদি থেকে থাকে যেখানে আপনি আপনার স্কিলের সাহায্যে কোন প্রজেক্ট হ্যান্ডেল করেছেন সেটি তুলে ধরতে পারেন। এছাড়াও আপনার কোয়ালিফিকেশন ও গুণ তাদের সামনে তুলে ধরতে পারেন।
নেতিবাচক দিক বলার সময় এমন দু/একটা দিকের কথা বলবেন যা আপনার বর্তমান চাকরি পাওয়াকে যেন খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত না করে। পাশাপাশি আপনি আপনার দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার জন্য ইতিমধ্যে কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তা উল্লেখ করতে ভুলে যাবেন না।
প্রশ্ন-৩. আমরা আপনাকে কেন নির্বাচন করব?
উত্তর : এ প্রশ্নটি খুব কমন এবং সচরাচর সব ইইন্টারভিউয়ে এ প্রশ্নটি করা হয়ে থাকে। এ প্রশ্নটি দ্বারা প্রশ্নকর্তা এ চাকরির প্রতি আপনার ডেডিকেশন যাচাই করে থাকেন। তাই কৌশলের সাথে এ প্রশ্নের মোকাবিলা করতে হবে। আপনি পদটির জন্য একজন যোগ্য প্রার্থী এ বিষয়টি তাদেরকে অবহিত করুন। সর্বোপরি নিজের যোগ্যতার ওপর ভরসা রাখুন।
আপনার যোগ্যতাই আপনার আত্মবিশ্বাসের চাবিকাঠি। তাই নিজেকে যোগ্য করে তুলুন। ইন্টারভিউ ভীতি সাধারণ একটি বিষয়। প্রায় সকল প্রার্থীকেই এ ধাপটি পার করে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে হয়। কোনো প্রশ্নের উত্তর জানা না থাকলে স্পষ্ট বাক্যে বলুন, কাচুমাচু না করাই ভালো। মনে রাখবেন ভাইভা বোর্ডে উত্তর বলা থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাড়ায় উত্তরটি আপনি কিভাবে উপস্থাপন করছেন। সকলের জন্য শুভকামনা রইল।