আসসালামু আলাইকুম।প্রিয় পাঠক-পাঠিকা ভাই ও বোনেরা সবাই কে পবিত্র ঈদুল-আযহার অগ্রিম শুভেচ্ছা।
♥♥♥ঈদ–মোবারক♥♥♥
কথা না বাড়িয়ে চলুন জেনে নেয়ে যাক “যমযম” কূপ সম্পর্কে বিজ্ঞানের গবেষণাকৃত কিছু চমকপ্রদ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
“যমযম কূপ”সৌদি আরবের মক্কা শহরে অবস্থিত। আমরা জানি, মরুভূমির দেশ সৌদি আরব।এই বালুময় তপ্ত রোদের দেশের তাপমাত্রা সবসময় আমাদের দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড এর থেকেও কয়েক ডিগ্রি বেশি থাকে।কোথাও একফোটা মাটি নেই।ধু ধু মরুভূমির পুরোটাই জুড়ে বালু।আর সেই বালুর ওপর যখন অগ্নিঝরা প্রখর রোদ পরে তখন যেন খই ফোটা ধান দিয়েও তা থেকে খই ভেজে ফেলা সম্ভব।আর এখানে সবথেকে বেশি সংকট হল পানির।
কারন,বিজ্ঞানীদের ভাষ্যমতে এই দেশটির ভৌগোলিক অবস্থান সমুদ্র পৃষ্ঠের থেকে অনেক উচুতে যার ফলে পানির স্তর ভূপৃষ্ঠের অনেক নিচে।
তবে সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো এই দেশটির একটা শহর মক্কা নগরী সেখানে রয়েছে বিশাল এক কূপ।নাম তার যমযম।এই কূপকে ঘিরে জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই বিজ্ঞানীদের।কারন মরুভূমির দেশের এই কূপটির পানি কখনোই শেষ হয় না।এমন কি কমে ও যায় না।এই পানি যেমন মানুষের তৃষ্ণা হঠায় তেমনি ক্ষুধা ও নিবারণ করে।কিন্ত কেন? কি আছে এই পানিতে?
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর জানার জন্য একদল ডুবুরিকে গবেষক রা পাঠায় কূপের তলদেশে।সেখান থেকে ডুবুরিরা অবাক করা কিছু তথ্য নিয়ে আসে বিজ্ঞানীদের কাছে।তার কিঞ্চিৎ আজকে আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব।আশা করি আপনারা এখান থেকে কিছু হলেও জানতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
➤চলুন যেনে নিই সেই চমকপ্রদ তথ্য গুলো কি ছিলঃ☞
১/প্রায় ৪০০০ বছর আগে সৃষ্টি হয়েছিল এই কূপ।
২/প্রতি সেকেন্ডে ৮০০০ লিটার পানি উত্তোলন করা হয় ভারী মোটরের সাহায্যে কিন্ত পানির স্তর সামান্য নিচে নামে।
৩/পানি উত্তোলন করা বন্ধ করে দিলে মাত্র ১১ মিনিট সময় নেয় এটি পূর্বের স্তরে ফিরে আসতে।
৪/সৃষ্টির শুরু হতে আজ পর্যন্ত কখনোই এই কূপের পানিতে শৈবাল বা ছত্রাক জন্মায় নি।স্বাদের ও কোন পরিবর্তন হয় নি।
৫/এই কূপের পানি সৃষ্টির শুরু থেকে আজ পর্যন্ত কখনোই শুকিয়ে যায় নি বা এর ভিতর থাকা উপাদান কিংবা স্বাদ ও গন্ধের বিন্দু পরিমাণ পরিবর্তন ও হয় নি।
৬/হজ্ব মৌসুমে এই কূপের পানির ব্যবহার কয়েকগুন বেড়ে গেলেও এই পানির স্তর সামান্য নিচে নামে না।
৭/এই কূপের পানিতে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম সল্ট এর পরিমান অনান্য পানির তুলনায় বেশি থাকে তাই এটা শুধু তৃষ্ণা মিটায় না ক্ষুধা ও নিবারণ করে।
৮/এই পানিতে ফ্লুরাইডের পরিমান বেশি থাকার ফলে জন্মায় না কোন জীবাণু।
সর্বোপরি এই পানি সকল ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করে ও বিভিন্ন রোগ থেকে আরোগ্য লাভ করতে সাহায্য করে।
আজ এখানেই শেষ করছি।
ভালো লাগলে শেয়ার করবেন।
সবাই ভালো থাকুন।
আল্লাহ হাফেজ