কেমন আছ বন্ধুরা,আমার আগের পোস্ট টিতে একটা রহস্যময় সমাপ্তি দিয়েছিলাম। সেই রহস্যেরর সমাধান করব আজকের পোস্টে। আগের পোস্ট না পড়ে থাকলে এই লিংক থেকে পড়ে নাও।
আগের পোস্টে যেমন টা বলেছিলাম, আজ থেকে ৪০০ কোটি বছর আগে পৃথিবীতে একটা দিন ছিল মাত্র ছয় ঘন্টার।যেখানে দিনের আলো মাত্র তিন ঘন্টা এবং রাত তিন ঘন্টা। আর এমনি হওয়ার কারণ হলো পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদ।এখন চাঁদ পৃথিবীর অনেক নিকটে আছে,এবং চাঁদের আকার এবং শক্তি পৃথিবীর দিনকে ছয় ঘন্টার করেছে।এসময় পৃথিবীর দৃশ্য আজকের মতো নেই। যেদিকে দেখা যায় শুধু আগ্নেয়গিরি আর পাথর দেখা যায়। এবং এর থেকে নির্গত লাভা চারদিকে বইতে দেখা যায়।
বন্ধুরা এখানে আমাদের একটু সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। কারন এখানে সবসময় আকাশ থেকে উল্কার বর্ষণ হতে থাকে।সেজন্য আমাদের একটু সাবধানে চলতে হবে যাতে কোন পাথর আমাদের উপর না পড়ে।এসময় ভুমি অর্থাৎ জমিও আমাদের জন্য নিরাপদ নয়,কারণ এখানে প্রায়শই ভূমিকম্প হতে থাকে। পৃথিবীর কেন্দ্রে লাভার উত্তাল পাতালের জন্য এখানে ভূমিকম্প হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির ভেতরও একটা ভালো খবর আছে, তা হল এ সময়ও পৃথিবীর উপরিভাগে বহুল পরিমাণ জলের উপস্থিতি। বিজ্ঞানীদের মতে এই সমস্ত জল মহাকাশ থেকে আসা উল্কার সাথে পৃথিবীতে আসে।আর উল্কার মাঝে জল বরফ রূপে উপস্থিত ছিল।
এসময় আকাশের প্রকৃতি বর্তমান সময়ের মতো ছিল,তবে চাঁদ আজকের তুলনায় অনেকটা কাছে থেকে দেখা যেতো এবং অনেক বড় দেখাত।এসময় দিন হোক বা রাত আমারা আকাশে পরিষ্কার ভাবে দেখতে পারি।এসময় পৃথিবী ও চাঁদের দূরত্ব মাত্র ২৫ হাজার কিলোমিটার। যেটি আজকের তুলনায় দশগুনের থেকেও বেশি কাছে আছে।বিজ্ঞানীদের মতে মঙ্গল গ্রহের মতো থিয়া নামের একটি অবজেক্ট এর ধাক্কায় চাঁদের জন্ম হয়েছিল।এজন্য ৪০০ কোটি বছর আগে এটি পৃথিবীর অনেকটা কাছে ছিল এবং সময় যাওয়ার সাথে সাথে অনেকটা দূরে চলে গেছে।এসময় চাঁদ এতটা কাছে আছে যে আমরা তার শক্তি অনুভব করতে পারি।এসময় চাঁদের অভিকর্ষজ বলের কারনে সমুদ্রের ঢেও কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত উচ্চতা বেড়ে যায়।
চলুন বন্ধুরা আমরা আমাদের যাত্রাকে একটু আগে বাড়িয়ে যাউ কোন ঝিল বা সমুদ্রপাড়ে, কারন এখানে আলাপ হবে তাদের সাথে যারা ভবিষ্যতে আমাদের উপস্থিতির কারন হবে। এসময় আমরা খোলা চোখে সমুদ্রের কোন জীবকেই দেখতে পাবনা।আপনাদের সাথে যে মাইক্রোস্কোপ নিয়ে এসেছেন তা দিয়ে যদি কোন পাথরের গায়ে মনোযোগ দিয়ে দেখেন , তবে আপনি ব্যাকটেরিয়া রূপে পৃথিবীর সেসমস্ত শুষ্ক জীবদের দেখতে পাবেনা যারা এখানে জীবনের সূত্রপাত ঘটিয়েছিল।কেউ কি ভাবতে পারে এসকল জীবেরা ভবিষ্যৎ এ গিয়ে কয়েক হাজার জটিল রূপ কে বিকশিত করবে। যাত্রা করতে করতে আমরা এটা বুঝতে পারিনি যে তিনঘণ্টা শেষ হয়ে এসেছে। এখানে এখন সন্ধ্যা নেমে গেছে । পাহাড়ের কোণা দিয়ে ডুবন্ত সূর্যের সুন্দর দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। চলুন ফিরে চলি আমাদের পৃথিবীতে কারন এখানে এখন রাত নামতে চলেছে।
ভালো থাকবেন সবাই। আর ভালো লাগলে অবশ্যই অবশ্যই কমেন্ট এবং শেয়ার করতে ভুলবেননা।