গান শুনতে কমবেশি সবাই পছন্দ করে। আমাদের মন খারাপে, সুখে- দুঃখে,আনন্দ- বেদনায় আমরা গান শুনতে ভালোবাসি। তাই নয় কি? আর যারা গানপাগল তাদের জন্য তো গানই জীবন। প্রিয় শিল্পীর কনসার্ট দেখতে কতই না মাতামাতি। আর টিকেট না পেলেই মন খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগে আপনি যদি ঘরে বসেই কনসার্ট উপভোগ করার সুযোগ পান তাহলে মন্দ কিসের! 8D অডিও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এমন এক বহিঃপ্রকাশ যার ফলে আপনি ঘরে বসেই কনসার্ট উপভোগের সুযোগ পাবেন,বিষয়টা শুনতে “দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর” মতো শুনালেও এটাই সত্যি।অনেকে বুঝেও গেছেন 8D অডিও মানে আর যারা এখনও বুঝতে পারেননি তাদের বলছি, 8D অডিও এর শব্দ আট দিক থেকে আসে। আর এই কাজটি অতি কম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হয়ে থাকে।
8D অডিও এর অন্য নাম ‘Ambisonic Audio’। এই আবিষ্কার অনেকটা ভিআর টেকনোলজির মতো কাজ করে। দুটোই আপনাকে বাস্তব উপভোগ করাতে সাহায্য করে।
আমরা সাধারনত যেসব গান শুনি তা 2D/3D। আমরা ওই সাধারন 2D/3D গানকে সহজে 8D তে রূপান্তরিত করতে পারি। আপনি যদি এই ধরনের মিউজিক তৈরি করতে চান তাহলে আপনাকে বেশি কষ্ট করতে হবে না। তার জন্য আমাদের দরকার একটি মানসম্মত সফটওয়্যার। এমন অনেক সফটওয়্যার পাওয়া যায় যার দ্বারা এই 8D অডিও অথবা মিউজিক বানানো সম্ভব। এ ধরনের সফটওয়্যার এ আপনি যেকোন সাধারন গানকেই 8D করে নিতে পারবেন।
আপনি যখন ইয়ারফোন দিয়ে এই ধরনের গান শুনবেন,তখন আপনি বুঝতে পারবেন যে শব্দ একবার ডান থেকে বামে আবার বাম থেকে ডানে যাচ্ছে। আর এই আসা-যাওয়া সম্পন্ন হতে মিনি সেকেন্ডের চেয়েও কম সময় লাগে। তাই শোনার মূহুর্ত হয়ে ওঠে রোমাঞ্চকর।যদি আপনি এই আবিষ্কারের জাদু উপভোগ করতে চান তাহলে আপনার দরকার একটি ভালো ইয়ার ফোন।তবে আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে ভলিউম যেন সহনশীল পর্যায়ে থাকে। তা না হলে আপনার কানের ক্ষতি হতে পারে।আর অবশ্যই ছোট বাচ্চাদের শুনতে দেয়া যাবে না।