অলসতা দূর করার টিপস –
অনুপ্রেরনা-
অনেকক্ষেত্তে অলসতার মূল কারন থাকে উৎসাহ উদ্দীপনার অভাব।নিজেকে জাগাতে আপনি বিখ্যাত মানুষের জীবনী, তাদের সফলার গল্প,মনিষীদের বানী বা তাদের জীবন দর্শন জানুন। অলসা দূর করতে বেশ কাজে লাগবে এগুলো।তাছাড়া আপনি যে কাজটি করতে যাচ্ছেন তার গুরুত্ব নিয়ে ভাবুন খুব পজেটিভলি ব্যাখ্যা করুন যে,কাজটি শেষ করলে আপনি কি কি সুবিধা পাচ্ছেন। কতটা ভূমিকা রাখতে পারে এই কাজে সাফল্য। এভাবে আপনি কাজের প্রতি অনুপ্রেরনা রাখতে পারেন। এর ফলে নিশ্চিতভাবে আপনার অলসতা অনেকটায় কমে যাবে।
আপনি যা হতে চান অথবা যা করতে চান তার একটা দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য ঠিক করুন-
আপনি যা হতে চান তা নিয়ে একটা পরিস্কার চক তৈরি করে ফেলুন।যেন চোখ বন্ধ করলেই,আপনার সামনে ছবির মতো করে পুরো ব্যাপারটি ঘটতে দেখেন।আপনি যা অর্জন করতে চান সেটা নিয়ে কাল্পনায় একটা ঘটনা তৈরি করুন।অথবা যেমন করে আপনি জীবন যাপন করতে চান ,সেটা নিয়ে খুব সুন্দর ও খুঁজানো একটি সপ্ন দেখন।আপনার এই কাল্পনিক ভাবনা গুলো নিয়ে সুযোগ সব সময় ভাবতে থাকুন।এগুলো আপনাকে অনেক বেশি উদ্যমী করে তুলবে। ফলে,অলসতার জায়গা হবে না আপনার প্রতিদিনের কাজ কর্ম।
সুবিধা নিয়ে ভাবুন-
আমাদের সবার একটি কমন সমস্যা হচ্ছে- কোন কাজ করতে গেলে তার ভালোটা নিয়ে ভাবার আগেই খারাপ চিন্তাগুলো আগে মাথায় নিয়ে নেই। আপনি যদি পড়ে যাওয়ার ভয়ে সাইকেল চালানোর সাহস না করতেন তাহলে আপনি সাইকেল চালানোটা শিখতে পারতেন না। তাই যে কাজটি করতে চাইছেন তার সমস্যা অথবা জটিলতা নিয়ে না ভেবে,ভাবুন যে অলসতাকে জয় করে আপনি যদি ঠিকমতো করে ফেলতে পারেন,তাহলে আপনি কি কি পাচ্ছেন? সমস্যা নিয়ে ভাবলে কখনও কাজ এগোবে না, বরং নিরুতসাহিত হয়ে কাজ করা থেকে বিরত থাকবেন আপনি ।অলসতা আপনাকে আক্টোপাসের মতো জড়িয়ে ধরবে।
ফলাফল নিয়ে ভাবুন-
আপনি যদি অলসতা করে কাজটি সময়মতো ঠিকভাবে না করতে পারেন তার পরিনাম কি হতে পারে। এর ফলে আপনি কতটা পিছিয়ে যাচ্ছেন।আপনার কতটা ক্ষতি হচ্ছে, কি ঘাটতে যাচ্ছে-এস পরিনামের কথা ভাবুন।আপনি যদি কাজের ব্যার্থতার অনুতাপ এখনই অনুভব করতে পারেন, তাহলে নিশ্চিত, সময় থাকতে আপনি সময়ের অপব্যাবহার কোনভাবেই করতে চাইবেন না। এই চিন্তা আপনাকে কাজের প্রতি আরো আগ্রহি করবে। আপনি প্রচন্ড প্রভাবিত হবেন কাজটি শেষ করতে।