ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন স্থগিত, কারন খুজতে কমিটি গঠন
ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন স্থগিত, কারন খুজতে কমিটি গঠন
আমার প্রায় আলোচনাই টেকনিক্যাল, আউটসোর্সিং, বিনোদন এর জন্যে কিন্তু আজকে প্রথম দেশের কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করছি । ভাবলাম এই বিষয়টা নিয়ে লেখা উচিৎ , তাই লেখার প্রয়াস ।
সারাদেশে আজ থেকে মানে শনিবার থেকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন চলার কথা ছিলো , কথা মতো দেশের সকল জায়গায় পৌছে দেয়াও হয় কিন্তু এর গুনগত মান নিয়ে সন্দেহ থাকায় এই ক্যাম্পেইন বন্ধ করার আদেশ দেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় । স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান জানিয়েছেন যে, ভারতীয় কোম্পানির কাছ থেকে এই ঔষধ গুলো ক্রয় করা হয় আর এর গুনগত মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় ক্যাম্পেইন টি বন্ধ করে দেয়া হয়।
রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করতেই ১৯৯৪ সাল থেকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন চালু হয়েছে , এপর্যন্ত চালু রয়েছে , যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে ,তবে এবছরে স্থগিত করা হয়েছে । এই ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর কারনে রাতকানা রোগের প্রভাব অনেক নাই বললেই চলে । এই স্থগিত কারন হলো যে, এ ঔষধ গুলো ভেজাল আছে বলে অনেকেই মনে করছেন । অনেক গুলো প্যাকেট খুলে দেখা হয়েছে যে , একটি ক্যাপসুল আরেকটির সাথে লেগে আছে , এতে অনেকের মনে সন্দেহের বিষয়টা জেগেছে , আর এই ক্যাপসুলগুলোকে নাকি আলাদা করা যাচ্ছে না ।
এই কারনে গত সপ্তাহে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো কিন্তু অনুষ্ঠিত হয়নি ।
এই ঔষধ গুলো নেওয়া হয়েছে ভারতীয় একটি কোম্পানির কাছ থেকে । অনেকে বলেছেন যে, এই কোম্পানী টি আমাদেরকে মামলা দিয়ে তার থেকে ঔষধ নিতে বাধ্য করেছে । এর আগে এই ঔষধ গুলো বাংলাদেশী একটি কোম্পানি নিয়ে আসতো । পরে এটা নিয়ে ভারতীয় কোম্পানি টি মামলা করেন, আর ঐ কোম্পানি থেকে ঔষধ কিনে নেওয়ার জন্য রায় দেয়। ঐ কোম্পানি থেকে লাল কালারের ক্যাপসুল নেওয়া হয়েছে আর নীল কালারের ক্যাপসুল গুলো দেশীয় কোম্পানি সংগ্রহ করে থাকে । আর সেই গুলোতে কোনো সমস্যা নাই ।
এই জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন , এই ঔষধ গুলোর মান কেমন তা যাচাই করার জন্য তাছাড়াও এর ক্রয় সংক্রান্ত বিষয়গুলো ও ক্ষতিয়ে দেখবেন । স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেছেন , আমরা যাচাই বাচাইয়ের জন্যে দুটি কমিটি গঠন করেছি , আশা করছি তারা খুব ভালো ভাবেই পরীক্ষা নিরীক্ষা করবেন ।
এখোন এই ঔষধ গুলোতে ভেজাল আছে কিনা , তা পরীক্ষা- নিরীক্ষা করার পর আমরা জানতে পারবো। যদি ভেজাল থাকে তাহলে কি করা হবে এ বিষয় সম্পর্কে কিছুই বলা হয়নি ।
এবার ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন বন্ধ করার কারনে হয়তো আমাদের দেশে এর খারাপ একটা প্রভাব দেখা দিবে । হয়তো অনেক অভিভাবক চাইবেন না এই ক্যাপসুল খাওয়াতে । তবে জনগণের স্বার্থে খুবি কড়া নজরদারিতে পরীক্ষা করা উচিৎ, কারন এটা আমাদের আগামী প্রজন্মের জন্যে , তারাই তো আমাদের ভবিষ্যত, আর এবিষয়ে হেলাফেলা করা উচিত নয় ।