অনিকের সাথে সুমনের রক্তের গ্ৰুপ মিলে যায় |দুজনের রক্তের গ্ৰুপ এ পজিটিভ |অনিক সুমনকে রক্ত দিয়ে বের হয়ে সুমিকে ফোন দেয় |আর সুমিকে ফোন দিয়ে সবকিছু বলে,সুমি তুমি যদি আমাকে আগে একবার বলতে তাহলে আমি তোমার আর সুমনের জীবনে কখনোই আসতাম না|
সুমি তুমি আমাকে বলতে অনেকটা দেরি করে ফেললে আর ঐ জন্যই আমার বন্ধুটা আজ কষ্ট পাচ্ছে তুমি আর কষ্ট দিওনা ওকে, আমি তুমার বাবার সাথে কথা বলবো,কাল সুমনকে আমার সাথে নিয়ে এসে | সুমি বলে অনিক আমি তোমার সব কথা বুজলাম, কাল যে তোমার আমার বিয়ে, অনিক বলে সুমি হ্যা, বিয়ে কাল হবে তবে আমার সাথে নয় সুমনের সাথে, সুমন তোমাকে অনেক ভালোবাসে সুমি |ওকে তুমি আর কষ্ট দিওনা |
সুমি বলে, অনিক তুমি খুব ভালো, তোমাকে আমি অনেক কষ্ট দিয়েছি আর তুমি আমার জন্যই,অনিক বলে না সুমি আমি ভালো নয়, আমি চাইনা আমার জন্য একটি ভালোবাসা শেষ হয়ে যাক, এটা আমি চাইনা | ভালোবাসাটা আমার বন্ধু সুমন যাকে কিনা আমি আমার ভাই অপূর্বর থেকেই বেশি ভালোবাসি, সেই ভাইয়ের চোখের পানি কিভাবে সহ্য করবো, সুমন আমার প্রাণের বন্ধু, হৃদয় সুরে গাঁথা, আবৃত জোছনা ছায়া দিয়ে ঘেরা, আমাদের বন্ধুত | আমি সুমনের জন্যই সব সেক্রিফাইস করতে পারবো |আমাদের বন্ধুত্ব এবাবে অটুট থাকবে সারাটিজীবন |
সুমি আমি তোমাকে খুব পছন্দ করতাম, খুব ভালোলাগতো, মা যখন তোমার একটি ছবি আমাকে দেখিয়ে বলে ছিল বাবা অনিক আমি তোর জন্য ঐ মেয়েটি পছন্দ করেছি |আমি মাকে উত্তর দিয়েছিলাম, মা তুমি আমার জন্য তুমি এ পর্যন্ত যত জিনিস পছন্দ করেছো তার মধ্যে সবথেকে এটাই আমার পছন্দ |
আমি জানতামনা আমার বন্ধুর সেরা পছন্দ তুমি,তার হৃদয়ের সবভালোবাসা তুমি |
তাহলে আমি, এই কথা বলে অনিক কাঁদছে |
সুমি বলে অনিক তুমি কি কাঁদছো, ও কিছুনা সুমি |
অনিক সুমিকেই সব কথা বললেই এই কথা বলেনি যে সেই সুমিকে অনেক ভালোবাসে |
সুমনের জ্ঞান ফিরে আসে, সুমনের মাথার কাছে তার মা বসে আছে, মা অনিক কি চলে গেছে, না বাবা অনিক বাইরে বসে আছে |মা তুমি অনিককে একবার ডাকো, অনিক চলে এসে বলে সুমন বন্ধু তুই এখন কেমন অনুভব করছিস, সুমন বলে অনিক ভালো |
অনিক বলে সুমন তুই এমনটা কেন করলি আমি না তোর ভাই |সুমি যদি আমাকে না বলতো, তাহলে আমি অনেক বড় অপরাধ করতাম তোর সাথে তোর ভালোবাসার মানুষটিকে কেরে নিয়ে , আমার এই ভুল তোর হৃদয়টাকে ক্ষত বিক্ষত করে দিতো, সুমন তুই আমাকে একবার বললে আমি কখনোই তোদের জীবনে আসতাম না |