আঠারো বছর বয়স, কথাটা শুনলেই সবাই ফিরে যায় যৌবনে। আসলে বয়সটা ই মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় আশ্চর্যের অংক। তবে আঠারো বছর বয়স টা তে একটা চমক থাকে। কবি ও লেখকদের কাছে এই বয়সটা, একটা মূল্যবান টপিক। এই বয়স নিয়ে লেখা হয়েছে গল্প, লেখা হয়েছে কত শত, কবিতা। এই বয়সে তরুণরা বিশেষ করে অনেক কিছু করে বসেন। এই বয়সের অন্যায় করলো নাকি অন্যায়ের তালিকায় পড়ে না।
এই বয়সে অপরাধগুলোকে অনেকে বলে থাকেন বয়সের দোষ। আবার কেউ কেউ প্রকাশ্যেই দোষ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে চাইনা। তারা মনে করেন এটি একটি অতিপ্রাকৃতিক ব্যাপার। আবার কাউকে কাউকে বলতে শোনা যায় এই বয়সে, এমনই হয়। এখন ভেবে দেখুনতো এই 18 বছর বয়সটাকে কতটা বেশি কদর করা হয়। আসলে যার 18 বছর বয়সের পক্ষে এ মন্তব্য করেন তারা সবাই এবার করেছেন। আবার যারা করেননি তাদেরকে বলব সবকিছুই ‘বাজে কথা’। আসল কথা হলো 18 বছর বয়স্কা ,অনেক কিছু করার বয়স।
তবে ঠিক কি করতে হবে তা আমাদের কেউ শিখিয়ে দিতে এগিয়ে আসতে চায়না। যাইহোক দুটি কথার মাধ্যমে যদি দুটি সন্তান ভালো হয় তবে আমরা সার্থক। মানুষের জীবন অতি সাধারণ হলেও এর পূর্ণাঙ্গ মর্মতা বেশ জটিল। মানুষ নানান রকমের ও নানান বয়সের এবং বিচিত্র চরিত্রের অধিকারী হয়। 11 বয়সে মানুষের আচার এবং আচরণ একেক রকমের হয়ে থাকে। তবে যেহেতু আঠারো বছর বয়স মে কথা বলছি সেহেতু আজ অন্য কোন বয়সের কথা বলবো না।
18 বছর বয়সে যা যা করতে পারেন:
- কবিতা লিখতে পারেন।
- লিখতে পারেন কিছু গল্প।
- ছাত্র রাজনীতিতে যোগ দিতে পারেন।
- প্রেম করতে পারেন ইচ্ছে মত।
- খেলাধুলার প্রতি ভালবাসাটা বাড়ানোর এখনই সময়।
- মোবাইল ফোনে গেমস না খেলে ফোন দিয়ে ভালো কিছু করার চেষ্টা করুন।
- ধর্ম-কর্ম গুলো এই বয়সের জন্য সৃষ্টি হয়েছে।
- মনের ইচ্ছে মতো ঘুড়ি ওড়ানো, কারণ আকাশটা আপনার জন্য উন্মুক্ত।
- বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে তুমুল আড্ডায় মেতে উঠুন।
- বিভিন্ন রকম প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করুন।
- মানবকল্যাণমূলক বিভিন্ন সেবা প্রতিষ্ঠান সাথে যুক্ত থাকুন।
- এলাকায় আপনার জনপ্রিয়তা সৃষ্টি করুন, মানুষের ছোট ছোট কিছু কাজ কে নিজের করে নিয়েছেন, কিছুদিনের পর বুঝতে পারবেন তারা আপনাকে কোন চোখে দেখে।
- অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সবচেয়ে বড় একটি সুযোগ হলো এই বয়সে।
- মাঝে মাঝে দেশ এবং বিদেশ ভ্রমণ করে নিন।
- হজের সামর্থ্য থাকলে হজ পালন করুন। আমরা অনেকেই ভাবি হজ করতে হয় বুড়ো বয়সে, আসলে বিষয়টা একদম ভুল।হাদিস দ্বারা প্রমাণিত আপনি যৌবন বয়সের ইবাদত করবেন তা রাব্বুল আলামিনের কাছে সবচেয়ে প্রিয়।
- সম্ভব হলে প্রেম করুন। তবে তার আগে আপনাকে বুঝে নিতে হবে প্রেম জিনিসটা কি।
- বাবা মাকে সম্মান করতে শিখুন। কারণ এই বয়সে বাবা মাকে সম্মান করেন তাহলেই বুঝবেন আপনি সঠিক দিকে এগোচ্ছেন। কারণ তারা এটা সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে।
- পর্যাপ্ত পরিমাণ শারীরিক সচেতনতা লাভ করুন প্রয়োজন হলে ব্যায়াম করুন। কারণ ফিট একজন যুবকের চাহিদা তরুণ সমাজের কাছে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়।
- দেশকে বেশি করে ভালোবাসো ।
- প্রয়োজন হলে দেশের জন্য যে কোন যুদ্ধে যেতে প্রস্তুত থাকুন। তরুণ-যুবকদের রক্ত কখনো বৃথা যায় না। এটা আমরা উনিশশো একাত্তর সালে প্রমাণ করেছি।
বেশি বেশি স্বপ্ন দেখুন, আপনার আজকের এই স্বপ্নগুলো আগামী দিনের ভবিষ্যৎ হয়ে দাঁড়াবে। তরুণ বয়সেই আরো অনেক কিছু করবার আছে এত কিছু লিখে বলার কিছু নেই। আপনি এই বয়সে চাইলে সব কিছুই করতে পারেন।আপনি মুক্ত আকাশের পাখির ন্যায় স্বাধীনভাবে বিচরণ করার একটি বয়সে আপনি পৌঁছেছেন। মনে রাখবেন জীবনে কখনো এই বয়স টি আপনি আর ফিরে পাবেন না। আপনি ইচ্ছে হলেই আঠারো বছর বয়স থেকেই আজকে দেখতে পারবেন না। তাই সময় থাকতেই আপনি আপনার এই 18 বছর বয়সের কদর করতে শিখুন। তবে জীবনে আপনাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না। এই বয়সে আপনার একটি সঠিক সিদ্ধান্ত আগামী দিনের সফলতার প্রথম স্তম্ভ হিসেবে কাজ করবে।সুতরাং এই বয়স কেহেলা না করে এই বয়সেই অযথা কোনো কাজে ব্যয় না করে যদি আপনি সঠিক জায়গায় আপনার এই বয়সের প্রভাবতী রেখে যান তবে আপনি হয়ে উঠবেন একজন সফল মানুষ। পৃথিবী আপনাকে মনে রাখবে বহুকাল।
তবে আমরা অনেকেই আছি যারা এই বয়সের মর্ম টা বুঝতে পারিনা। হয়তো আমাদের শেখানো হয় না এই বয়সে কি করা উচিত? আমাদের শেখানো হলেও হয়তো আমরা ভুলে যাই, কারণ এই বয়সটা ভুলে যাবারই। আপনি আমি সবাই আমরা এই বয়সেও ভুল করে ফেলি। আর এই বয়সের একটি ভুল আপনাকে সারা জীবন কাঁদাবে। একথা আমি শতকরা ভাবে বলতে পারি। সুতরাং আঠারো বছর বয়স কে খেলা না করে আপনি এর সঠিক হায়দার টি তুলে নিন।
কথায় আছে, 20 বছরে বিদ্যা আর 30 বছরে ধন,,, 40 বছর হলে ঠন ঠনা ঠন।
আপনি আমি সবাই এখন থেকে সচেতন হয়ে যাই তা না হলে আমাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গুলো চোখের পলকে নিমিষেই নষ্ট হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে। বাঁচতে হলে আগে জানতে হবে আমার জন্ম বার উদ্দেশ্য কি এবং করণীয়। তাহলেই তোমাকে মনে রাখবে পুরো জাতি হবে স্মরণীয়।নষ্ট না করে জীবনকে জীবনের বয়সের সাথে মিল রেখে সফলতার স্বর্ণ শিখরে আহরণ করতে বয়সের মূল্যায়নটা আজ থেকেই করতে হবে। তবেই তুমি ছুঁতে পারবে তোমার স্বপ্নের সেই পৃথিবী কে।
লেখাটি ভালো লাগলে বন্ধুরা লাইক কমেন্টস করে জানাবেন। আপনাদের কমেন্ট গুলো আমরা খুব মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকি। ভুলত্রুটি থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। 18 বছরের ভালো লাগা আর ভালবাসার বিশ্লেষণে দুইয়ের দ্বন্দ্বে আমি করেছি কিছু ছন্দ পতন মন্তব্য। ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।