“সমস্যার অন্তিম উপায় ক্ষমা।” জীবন যেখানে বেগবান সমস্যা সেখানে আবেগ প্রবণ। উচ্চ অনাকাঙ্ক্ষা, বিলাসবহুল মানসিকতা আর প্রবল ভাবাবেগে থেকেই মূলত সমস্যার সৃষ্টি। সমস্যা নেই তো জীবন এর বেগ আবেগও নেই! জীবন আছে তো জীবনের বেগ, বিবেক, আবেগ এবং সমস্যা ইত্যাদি সবই আছে। এ পৃথিবীর কর্মক্ষেত্রে মানুষ যে যত কর্মচঞ্চল সে যেন ততই সমস্যার! বন্ধু এবং শত্রুর ও তার অন্ত নেই।
সম্মুখে এগুলে পাছে লোকের সমালোচনার ঝুলি কাঁধে নিয়েই সামনে এগুতে হয়,যে কারোরই! তবে দায়িত্বশীল কর্মচঞ্চল মানুষের ঝুলি যতটা ভারী হয় দায়িত্বহীনের বেলায় ততোটা ভারী হয় এমনটা নয়। কেননা কর্মপ্রিয় ও দায়িত্বপ্রিয় মানুষ কর্ম ক্ষেত্র থেকে যেমন নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে রাখতে পারে না। তেমনই শত্রু মিত্রর সম্পর্ক থেকেও নিজেকে আড়াল করতে পারে না। তাই সর্বসময় সমস্যার মধ্য থেকেই তাঁকে জীবন চালিয়ে নিতে হয়।
তবে তার মানে এই নয় যে সমস্যার ঝুলি যতো বাড়ে বাড়ুক জীবনের মতো করে আমাকে চালিয়ে যেতে হবে। আবেগ, ভালোবাসা, হিংসা, প্রেম, রাগ-ক্ষোভ বহুরূপী এ পরজীবি মনুষ্য অনুজীবীগুলো মানুষকে যতটা স্বস্তি দেয় তার চেয়ে শাস্তি বেশি দেয়! অবশ্য মানবিক এ বৈশিষ্ট্য গুলোর অপূর্ণতা দিয়ে মানুষের পথও চলা মুশকিল। এ জন্য পরস্পরের মধ্যে মানবিক যে বৈশিষ্ট্য গুলো লেনদেন করা হয়ে থাকে তাতে বন্ধুত্ব,আসক্ত,বিষাক্ত, ধ্বংসাত্মক কি’বা ক্ষতির কারণ লেগে থাকে।
যদিও এসবগুলো লক্ষ্য করা অত্যাবশ্যক কিন্তু অনেকাংশে নিজের অজান্তেই আকস্মিক দূর্ঘটনার মতো জীবন পথে বহুবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আর এ “সমস্যার অন্তিম উপায় একমাত্র ক্ষমা। হয় করে দাও,নয় চেয়ে নাও।”
মানুষ বলতে কেউ ভুল ও সমস্যার ঊর্ধে নয়। প্রেম ধর্মের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ক্ষমা প্রভুর মম। সহিংসতার শিকার হয়েও যদি ক্ষমা সহিষ্ণু মানসিকতা নিয়ে আত্ম পরিচয় ও স্রষ্টার সান্নিধ্যে নৈকট্য অর্জন করা যায় তার চেয়ে বড় স্বার্থকতা জীবনে আর কিছু নেই।
“মানবতা হয়েছে বলীর পাঠা”
মুহা.কবির হোসেন
মানবতার শহরে ছিলো মানুষ ছিলো না কোলাহল
আজকে দেখি আমিও মানুষ মানবতা দুর্বল।
কুলসুমের রূপে বসন্তে ফুটে আছি অভিনব
একমুঠ পাপড়ি নেইতো আমার যা দেয়া সম্ভব!
প্রকৃতির সাথে মিশে থাকি বুঝি সে অপুষ্পক
আজব বসন্তের পুষ্প আমি সবাই যে অবাক।
আবেগের অনুজীবী বিবেক খেয়ে হয়েছে স্বার্থপর
এই শহরের মানবতাবাদীরাই মানবতাহীন মানবেতর।
সাম্য মৈত্রী মানবতার গানে আকাশটাই মুখর
অন্তরশূণ্য মন্ত্র পড়ে আপনই হয়েছি পর।
অলোর ভিতর আধার প্রাণে বাঁচিয়া মানুষ
মনুষ্যত্ব বিকিয়ে স্বার্থ কুড়ায় পরিয়া মুখোশ।
মানবতার প্রাণ মানবতা হয়েছে বলীর পাঠা
বন্ধ হয়েছে স্বর্গকপাট তুলেতেছি নরক কাঁটা।
জনস্রোতে বর্ণীলতা কীর্তিনাশা বালুচর
উপচে পড়ার তরঙ্গে ভাঙ্গে মানবতার এ শহর।
ভাবের বাঁশি বাজিয়ে মানুষ হয়েছি বেহুঁশ
নীতির আসনে সমাসীন সে-তো শক্তি নিরঙ্কুশ।
আসর ভাঙ্গে বাসর গড়ে আশ্বাস কী বিশ্বাস
চোরের দেশের সাধু তারে কে বলে সন্ত্রাস।
দুর্দশাগ্রস্ত মানবতা আজ শান্তি চুরি তার
আইনের চশমা হাঁকিয়ে নীতিধর দেখে অন্ধকার।
অলোকজ্জ্বল শহর নিকশ্ কালো দেখেছি নিরন্তর
যার ঘরে সে প্রদীপ জ্বেলে থাকিতেও অন্তর।
হিতকথা : “ক্ষমা মহৎ, বাড়ে মান! যে করে এ দান সে হয় মহান। “