জন্মভূমির বৃষ্টিঃ
আকাশ থেকে অবিরাম ঝরছে পানি,
হে খোদা! এ তোমার কেমন সৃষ্টি শুনি।
এ তোমারই নিয়ামত, সেটা আমি জানি।
তোমারই হুকুমে বৃষ্টি ঝরে, এটাও মানি।
তোমার বৃষ্টির কাছ থেকে শুনি দয়ার বাণী,
বৃষ্টির প্লাবনে ভেসে যেতে চাই নিউগিনি।
এই দিনে চারদিক খেতে চায় সুস্বাদু চিনি,
চারদিকে এসে গেছে তখন বৃষ্টির নানি।
প্রকৃতি তো বিমোহিত বৃষ্টির নাম-ই
মনে করে, এই বৃষ্টি না জানি কত দামী!
আমি তো কবিতা লিখি বৃষ্টির দিন-ই,
বাইরে থাকে না কাজ, তাই তো করি এ কাম-ই।
দূর হয়ে যায় গ্রীষ্মের যত ক্লান্তি,
মুক্তি মেলে,
শীতল হয়ে যায়
গ্রীষ্মের ভূমি।
এই তো আমার,
প্রিয় জন্মভুমি।
বৃষ্টি-বাদলঃ
গ্রীষ্মের তাপদাহে অসহ্য মানুষ যখন,
বৃষ্টি নিয়ে আসে শিতলের পরশ তখন।
সারাদিন পড়ে বৃষ্টি, বাইরে ঝর ঝর;
ঠিক যেন মনে হয়, চাল হয়ে গেছে মর মর।
বৃষ্টি বাদলে মুখরিত চারদিক, কি বলি আর!
মনে মনে ভাবে, বৃষ্টি যেন আসে বার বার।
এ সময়ে ফোটে জুঁই আর গন্ধরাজ
কখনো কখনো আকাশ থেকে ফেটে পড়ে বাজ!
এ সময়ে সতেজ হয়ে উঠে লতা, পাতা আর ঘাস,
বাদল নিয়ে আসে বৃষ্টির দিনে প্রচুর মাছ।
জেলেরা জাল নিয়ে যায় আর যায় না নদীতে,
বাড়ির পাশেই জাল ফেলে মাছ ভরে বালতিতে।
অতি বৃষ্টির ফলে চারদিক করে হায় হায়,
বন্যা হলে যে, সেটা ঠেকানো বড় দায়!
মাঠ-ঘাট, খাল-বিল আর পুকুর,
পানিতে যেন সবাই একাকার আর টুইটম্বুর।
খেলা-ধূলা, কাজ-কর্ম হয়ে যায় বন্ধ,
ঘরে বসে থাকতে হয়, ঠিক যেন অন্ধ।
বন্যা হলে সে কি ঝামেলা!
মনে হয়, কে যেন পরিবেশে করেছে হামলা!
বন্যার ফলে অসুখ ভাসে আমাদের মাঝে,
জানি না, অসুখ যে কত রকমের রঙে সাজে।
শরৎ এলে বেজে ওঠে হরেক রকমের ঢোল,
এভাবে শেষ হয়ে যায়, এই বছরের বৃষ্টি-বাদল।
আপন কাজঃ
ভাই উঠেছে, ভাই উঠেছে, রান্নাঘরের চালে।
চাল থেকে ঝরছে পানি, বৃষ্টির ফলে।
ভাই তো ব্যাস্ত, চাল ঠিক করতে,
মা তো বিরক্ত, অনুন জ্বালাতে।
বাবার হাক শোনা যাচ্ছে মাঝে মাঝে,
ভাইকে দিচ্ছে নির্দেশনা, চাল ঠিক করতে।
ভাই তো কাজ করতে করতে ভিজে সারা,
বৃষ্টির ঠান্ডায় বুকটা হচ্ছে যেন ফাড়া ফাড়া।
তবুও তাও তাকে কাজটা করতে হবে।
নইলে রান্না হবে কি করে?
রান্না না হলে খাবো কি?
মাঝে মাঝে পেটটা করছে চোঁ আর চি!
আমি আর কি করি!
বসে বসে লিখছি কবিতা।
ভাই করছে কাজ তাড়াতাড়ি
দেখার জন্য ডোরেমন নবিতা।
বৃষ্টির দিনে সবাই করছে আপন কাজ,
মাঝে মাঝে আকাশেতে শোনা যাচ্ছে বাজ।
এভাবে ঘন্টা খানি চলল,
এরই মাঝে কত যে ঝামেলা হলো!
ভাইয়ের কাজ তো অবসান হলো,
পরে মায়ের রান্নাও তো শেষ।
সবাই মিলে খাবো এখন,
মজা করে বেশ!