ছোট ছোট বালুকনা, বিন্দু বিন্দু জল গড়ে তোলে সাগর মহাসাগরের সমুদ্র অতল” এই কথাটা নিশ্চয়। আজকে আমরা যে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করবো এই বিষয়টা উপরের বিষয়টার কিছুটা প্রাসঙ্গিক। এই যে এই লেখাটি লিখলাম এই লেখাটি প্রায়ই ৪০০ শব্দের। এই লেখাটি৷
লেখার জন্য কতগুলো শব্দ এবং কতগুলো অক্ষর ব্যনহার করা হয়েছে একটু ভাবুন তো। এই ছোট ছোট অক্ষর গুলো থেকে এক একটি শব্দ তৈরি হয়েছে । কিছু শব্দ মিলে একটি বাক্য তৈরি হয়েছে৷ কিছু বাক্য মিলে তৈরি হয়েছে একটি অনুচ্ছেদ। কিছু অনুচ্ছেদ মিলে তৈরি হয়েছে এই লেখাটি। শুরুটা কোথায় হলো বলুন তো ছোট একটি অক্ষর থেকে এই ছোট একটি অক্ষর থেকে কত বড় একটা আর্টিকেল তৈরি হয়ে গেলো। একবার ভাবুন তো।
যখন আমরা পড়তে বসি তখন মনে করে দেখুন তো যখন বীজগণিতের অঙ্ক গুলো করতেন তখন সেই বীজগণিতের অঙ্কগুলোর শুরু কোথায় হয়েছিলো। কয়কটি ছোট সুত্র থেকে তাই না৷ এই কয়েকটি ছোট সুত্র দিয়ে কত বড় একটা অঙ্ক হয়ে গেলো। একবার কখনো ভেবেছেন। অনেকে এই অঙ্কটা দেখে ভয় পেয়ে যাবে সে বলবে এত বড় অঙ্ক কীভাবে করবো। তাকে যদি কেউ বলে দিতো এই অঙ্কটার শুরু ছোট একটা সুত্র থেকে এবং শেষ ও ছোট একটি অঙ্কের মাধ্যমে তাহলে কতোইনা ভালো হতো বলুন তো।
আমি যখন অনলাইনে প্রথম অনলাইনে ইনকাম করতে আসি তখন আমার একটি আর্টিকেল লিখতে সময় লাগতো ১ ঘন্টার উপর। এই একটি আর্টিকেল লিখার জন্য আমি ১০ টাকা পেতাম। কারও এটা ভালো লাগে বলুন তো ১ ঘন্টা কাজ করে শুধু ১০ টাকা কখনো তো এই ১০ টাকা ও হতো না।এভাবে আমি কখনো কাজ করতাম আর কখনো কাজ করতাম না এভাবে আমার দিন চলতে থাকে৷
দিনে এক থেকে দুটি আর্টিকেল লিখতাম এভাবে লিখতে লিখতে আমার হাতের স্পিড আগের তুলনায় অনেক বেড়ে গেলো তার পাশাপাশি আমি আগের তুলনায় কিছুটা হলেও ভালো আর্টিকেল লিখি। এখন আমি ইচ্ছা করলে দৈনিক ৪০০-৫০০ টাকা ইনকাম করতে পারবো। যদিও আমি ততটা করি না কারন আমি কাজ করি না কাজ করলে ঠিকই পারবো৷ এবার আসা যাক আসল কথায় আমি প্রথম যখন কাজ শুরু করি তখন যদি প্রতিদিন ১ টি করে আর্টিকেল না লিখতাম তাহলে আমি কি আজকে এই আর্টিকেল গুলো লিখতে পারতাম।
আপনারা যেটা শুরু করবেন সেটা আস্তে আস্তে শুরু করতে হবে৷ একেবারে কেউই গাছের মগডালে উঠতে পারে না। গাছের মগডালে উঠতে হলে আস্তে আস্তে সময় নিয়ে উঠতে হয়। সোজা গাছের মগডালে উঠা কখনো সম্ভব না। যেটাই করুন না ছোট থেকে শুরু করে আস্তে আস্তে সফল হোন৷