এমন নাকি এক জগৎ আছে,
আমাদেরই মাঝে ,
যে জগতে-
সূর্য, তারা, পানি, চাঁদ,
একসাথে তাস খেলে,
আকাশ থাকে না বাতাসের সাথে,
নেমে আসে আকাশ মাটিতে।
সে জগতে নাকি-
ক্ষুধা বলে কিছু নেই
আছে কেবল পিপাসা,
ঝাল বলে কিছু নেই,
আছে কেবল জালা।
সে জগতে গেলে নাকি,
মানুষ হয় দিশেহারা।
সে জগতে যেতে নাকি-
ভাংতে হয় নানা বাধা।
যাবো,
যাবো, আমি সে জগতে,
দেখব,
কি আছে সে জগতে,
উড়বো আমি পাখির মত,
হাসব আমি রাজার মত,
গাইব আমি আমার মতোন।
আমি সে জগতে যাব বলে-
বুদ্ধির হাতে হাতকড়া পরিয়ে,
ঘুমালাম, অন্যরকম এক ঘরে;
সে জগতে গিয়ে দেখি,
থর থর কাঁপে হাত,
আসে না তো মুখের কথা,
গাইতে না পারি কো গান
এটাই কি সেই জগৎ?
যেখানে,
থাকবে নাকো পাখি,
থাকবে নাকো কবি,
থাকবে নাকো গান,
যেখানে-
কেবল শুধুই আমিই থাকব,
তার সাথে, তিক্ত কিছু অনুভূতি।
আমার জগতে আমিই পাখি,
আমিই গাইব গান,
আমার জগতে আমিই রাজা,
করবো সবার অপমান।
হা হা হা
হাসব আমি প্রান খুলে,
শুনবে না কো কেহ,
নাচবো আমি তাল গুলিয়ে,
দেখবে না কো কেহ,
উড়ব আমি পাখির মতোন
গন্ধের সাথে মিশে।
আপন জগতে আপন আমি,
ভাবছি,
যাব এবার অন্ধকারে এক ভিন্ন জগত।
তখনই-
কাচের জানালায় রোদ ঢুকল,
লাগলো আমার মুখে;
আপন জগৎ হারিয়ে গেল
এক নিমিষেই-
চোখ মেলে দেখি, হায় !!!
আমি, আমার রুমে!
জগতের টানে চক্ষু মেলিয়া,
অন্ধকার দেখিলাম পতিত রোদে।
বুঝতে পারিলাম আমি,
আছি, অন্যের গড়া এক ভিন্ন জগতে,
এই জগতে সবাই রাজা,
সবাই গায় গান,
দেখে না তো কেউ কাহারে,
কিন্তু,
সবাই তাদেরই আপনজন।।
এই পৃথিবী একদিন সুন্দর হবে
পৃথিবী থেকে মৃত্যুর প্রথা বিলীন করা হোক,
ভালোবাসার মৃত্যুর প্রথা চালু করা হোক,
ভালোবাসায় মৃত্যু ঘটলে মানুষের মৃত্যু ঘটবে,
মানুষ মারা যাবে প্রচন্ড নির্মমতায়,
পাখি গুলো হাহাকার করবে,
বৃক্ষ গুলো নীরবে চিৎকার করে কাদবে,
মাটি অনুভব করবে কষ্টটা,
শুধু মানুষ জানবে না কারণটা ।
আর কোনো বিচার বসবে না,
আর কোনো অন্যায় হবে না,
পৃথিবীটা একদিন সুন্দর হবে,
শুধু হারিয়ে যাবে একটু খানি ভালোবাসা।
হারিয়ে যাবে কিছু স্মৃতি,
তার সাথে হারাবে মানব সত্তা,
শূন্য হবে সমস্ত পৃথিবীর ভালোবাসা।
পৃথিবীটা একদিন সুন্দর হবে।
মাঝে মাঝে নিশ্বাস নিতে ভুলে যাই,
শিরায় শিরায় রক্তের স্রোতের শব্দ
অনুভব করতে ভুলে যাই,
আবার এর মাঝে কোথায় যেন হারিয়ে যাই,
পরে নিজেকে খুঁজে পাই
এক মহাশূন্যে,
আমি ভাসছি,
আমি ঘুরছি,
আমার সামনে সূর্য,
আমার সামনে আকাশ,
আমি পড়ে যাই,
সূর্যের আলোর সাথে,
পড়তে পড়তে মিশে যাই,
ঈগল পাখির পলকে,
উড়তে থাকি-
পাখির সাথে দূর আকাশে,
আমি আবার পড়ে যাই
গাছের পাতায় ভেতরে,
সূর্যের আলোর ঘ্রাণ নিতে থাকি,
আমি আবার পড়ে যাই,
অতল সমুদ্রের কচ্ছপের গায়ে,
ঘুরে বেড়াই গহীন সাগরে,
আমি আবার হারিয়ে যাই,
এবার নিজেকে খুঁজে পাই-
খোলা সবুজ মাঠে,
আমি একা মাঠে,
অল্প বৃষ্টিতে আমি দৌড়াচ্ছি,
কালো মেঘের সামনে,
ক্লান্ত আমি আবার হারিয়ে যাই
এবার এক অন্ধকার ঘরে,
প্রচন্ড ভয়ের মাঝে,
একা, আমি অনেক একা,
এরপর শরীরের ভেতরে-
রক্তের স্রোতের শব্দ শুনতে পাই,
চোখ মেলে লম্বা নিশ্বাস নেই,
এভাবেই আমি
বার বার হারাই
বার বার-
নতুন নতুন ভাবে।