মৌমাছি বিভিন্ন ফুল থেকে মধু তৈরি করে যেটা গাঢ় তরল অবস্থায় পাওয়া যায়। এই মধুর অনেক উপকারিতা রয়েছে। আসুন সেগুলো আমরা জেনে নেই।
১. অধিক মাত্রায় পুষ্টি:
মধুতে অধিক মাত্রায় পুষ্টি উপাদান থাকে। এতে ক্যালরি রয়েছে ৬১, কার্ব রয়েছে ১৭ গ্রাম, কপার রয়েছে ১%, রাইবফ্লবিন ১%। মধু একটি পিউর সুগার যেটাতে কোন ফ্যাট নাই। এটিতে অধিক পরিমান ভিটামিন ও মিনারেল থাকায় অনেকের মধু খলে পেট ব্যাথায়।
২. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট:
মধুতে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা শরীর সুরক্ষিত রাখে।
৩. সুগার লেবেল:
মধু রক্তের সুগার লেবেল ঠিক রাখতে সহায়তা করে। যদিও এটি অন্য সুগার এর মত কাজ করে তবে মধুর অন্যান্য উপাদান ডাইবেটিস বিরুদ্ধে কার্যকরি ভূমিকা রাখে।
৪. হৃিদপিন্ডের উপকার:
মধু ব্লাড প্রেসার ঠিক রেখে হৃিদপিন্ডের উপকার করে।এটি হৃিদপিন্ডের স্পন্দন ঠিক রাখতেও সহায়তা করে।
৫. কাটা জায়গা ও পোড়ার ক্ষতর ক্ষেত্রে:
মিসরিয় সভ্যতা থেকে কাটা জায়গায় ও পোড়ার ক্ষত সারাতে মধু ব্যাবহার করা হয়। সেটা এখনো প্রচলিত। গবেষণায় দেখা গেছে মধুতে অ্যান্টিবেকটিরিয়াল রয়েছে।
৬. শিশুদের সর্দি কাশি দূর করতে:
অনেক শিশুদের সর্দি কাশি লেগেই থাকে। কিন্তু সর্দির ঔষধে বিভিন্ন পার্শ—প্রতিক্রিয়া থাকে। সে ক্ষেত্রে মধু খুব উপকারি। একটি গবেষণায় দেখা গেছে মধু শিশুদের কফ জনিত কারণে ঘুমের যে ব্যাঘাত ঘটায় সেটা প্রসমিত করে।
৭. রুপ চর্চায় মধু:
রুপ চর্চায় মধু ব্যাবহার করা হয়। তিন ভাগ মধু ও একভাগ দারুচিনির গুরা ভালোভাবে মিশিয়ে মুখে ৮—১০ মিনিট রেখে মুখ পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুলে ত্বক ফর্সা হয়ে যায়। এছাড়াও আরো অন্যান্য উপায়ে মধু ত্বকে ব্যাবহার করা হয়।
৮. খাবার হিসেবে মধু:
খাবার হিসেবেও মধু একটি মজাদার খাবার। পাউরুটির সাথে মধু মিশিয়ে খাওয়া একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি। এছাড়াও অনেকে চা—কফির সাথে মধু খেতে পছন্দ করি।
৯. ইমুনিটি বৃদ্ধি :
নিয়মিত পরিমাণ মধু পান করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। মধু শরীরে যাবতিয় ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ হতে রক্ষা করে।
১০. মেধা বৃদ্ধি:
মধু ব্রেনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। মনে রাখার ক্ষমতা ও মনযোগ বৃদ্ধিতে মধুর ভুমিকা রয়েছে।
১১. চুলের যত্নে:
খুশকি দূর করতে চুলে মধু ব্যাবহার করা হয়। শুধু খুশকি দূর করতে নয় চুল পরা রোধ ও চুলকে সিল্কি করতে মধু ব্যাবহার করা হয়। সেক্ষেত্রে এক চামচ মধুর সাথে আর এক চামচ ভেজিটেবল ওয়েল মিশিয়ে চুলে ১৫ মিনিট রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হয়।
১২. ঘুম ভালো হওয়ার জন্য:
এক শতক ধরে মানুষ ঘুম ভলো হওয়ার জন্য মধু ও গরম দুধ ব্যাবহার করছে। রাতে শোয়ার আগে এক কাপ গরম দুধে এক চামচ মধু মিশিয়ে খেলে রাতে ভালো ঘুম হয়। তবে যাদের দুধে এলার্জি তারা এটা খেতে পারবেন না।
ভালো ভাবে উপকারিতা পেতে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে অল্প পরিমাণ মধু খতে হবে। সেটা নিয়মিত হওয়া জরুরি।