আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠক, আজকের আলোচনার বিষয়: চুল পাকা থেকে মুক্তির উপায়, অল্প বয়সে চুলপাকা সমস্যার কারণ প্রতিকার।
অল্প বয়সে চুলপাকা সমস্যার কারণ
মাথার চুল মানুষের অন্যতম একটি বাহ্যিক সৌন্দর্য। মাথাভর্তি কালো চুল মানুষের সৌন্দর্যকে বহুগুণে বাড়িয়ে তোলে।
আমরা ধারণা করে নেই যে বয়স হয়ে গেলে মানুষের মাথার চুল পেকে যায় কিন্তু অনেককে দেখা যায় অল্প বয়সেই মাথার চুল পেকে গেছে।
গবেষণায় দেখা যায়, মাথার চুল পাকার আদর্শ বয়স হলো ৩০। ৩০ বছর বয়স পার হয়ে গেলে একটা একটা করে চুল পাকতে দেখা যায়। অল্প বয়সে মাথার চুল পেকে যাওয়ার পিছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। যেমন-
১/ অনেকের জিনগত সমস্যার কারণে বা বংশানুক্রমিকভাবে অল্প বয়সে চুল পেকে যায়। আপনার পিতা বা মাতার যদি অল্প বয়সে চুল পেকে থাকে তাহলে আপনার চুলও অল্প বয়সে পেকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
২/ চুলের অন্যতম একটি পুষ্টি উপাদান হলো ভিটামিন বি ১২। দেহে এই ভিটামিনের অভাব হলে চুল পাকতে শুরু করে।
৩/ অনেকের হরমোন সমস্যার কারণে অতি তাড়াতাড়িই চুল পেকে যায়।
৪/ আমরা জানি, ধুমপান স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতি করে। ধূমপান করলে অল্প বয়সে চুল পাকা শুরু হতে পারে।
৫/ অনেকের মধ্যে দুশ্চিন্তা করার প্রবণতা দেখা যায়। দুশ্চিন্তা করলে খুব দ্রুত চুল পেকে যায়।
চুল পাকা থেকে মুক্তির উপায়
- মানসিক চাপ বা চিন্তার কারণে চুল তাড়াতাড়ি পেকে যায় তাই চুল পাকা রোধ করতে মানসিক চাপ বা স্ট্রেস কমাতে হবে। মানসিক চাপে থাকলে মস্তিষ্কে কর্টিসল বা স্ট্রেস হরমোন উৎপাদন শুরু হয় যার কারণে চুল সাদা হয়ে যায়।
- চুল পাকা কমাতে প্রতিদিন শ্যাম্পু ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
- নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার দাবার, সবুজ শাকসবজি এবং ভিটামিন বি ১২সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
- মাথায় নিয়মিত নারিকেল তেল ব্যবহার করতে হবে।
- চুলে কেমিক্যাল জাতীয় পণ্য ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে ।
এছাড়াও চুল পাকা সমস্যা রোধ করতে কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করা যায়। যেমন-
১/ আমলকি ও লেবুর রস খুবই পুষ্টিসমৃদ্ধ দুটি ফল। আমলকি ও লেবুর রস মিক্স করে চুলে লাগালে অকালে চুল পড়া রোধ করা যায়।
২/ পেয়াজ বাটা চুলের জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান। এটি চুল পড়া রোধ করে এবং পাকা চুলকে কালো করতে সাহায্য করে।
৩/ নারিকেল তেলের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে সপ্তাহে তিন চারদিন মাথায় মেসেজ করলে মাথার চামড়া সুস্থ থাকে, চুলে খুশকি হয় না এবং চুল উজ্জ্বল হয়।
৪/ আমরা জানি, গাজরে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও মিনারেল পাওয়া যায়। নিয়মিত গাজরের রস খাওয়ার অভ্যাস করলে ত্বক ভালো থাকে, চুল ঘন হয় এবং চুল কালো হয়।
যেকোনো পাকা চুলকে সাদা করার বিকল্প উপায়-
চুলে কলপ বা কালো কালার ব্যবহার করলে সাদা চুল কালো হয়ে যায়। তাই চুলকে কালো করার জন্য কলপ ব্যবহার করা যেতে পারে । পরিশেষে শরীর সুস্থ রাখতে অবশ্যই সুষম খাবার খেতে হবে, নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে, পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে হবে, প্রচুর পানি পান করতে হবে এবং শরীরের যত্ন নিতে হবে।
পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এমন সব দারুন দারুন পোস্ট পেতে Grathor এর Facebook Group এর সাথেই থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।