আসসালামুয়ালাইকুম পাঠকবৃন্দ। আশা করি সবাই ভাল আছেন। এলার্জি একটি সাধারণ শারীরিক সমস্যা। এটি কমবেশি সবারই হয়ে থাকে। কি খেলে এলার্জি ভালো হয় ? এই সমস্যা থাকার পরও একটু শখ করে গরুর মাংস খাওয়া হলেই শুরু হয়ে যায় চুলকানি ,র্্যাশ ও নানা ধরনের সমস্যা।
এ সমস্যার জন্য ঔষধের পাশাপাশি যেভাবে ঘরে বসে এই এলার্জির সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন সেটি সম্পর্কেই আজকে আলোচনা করবো। এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খেলে এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।
এ ধরনের সাতটি খাবার সম্পর্কে আজ আলোচনা করবো।
১.লেবু: লেবু হলো ভিটামিন সি সমৃদ্ধ একটি ফল যা এলার্জির বিরুদ্ধে দারুন কাজ করে। শরীরের টক্সিন পদার্থগুলো বের করে দেয় লেবু। এজন্য পানি , মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে নিয়মিত পান করলে শরীরের এলার্জির সমস্যা কমে আসবে।
২.কলা: কলায় থাকে দরকারি সব ভিটামিন ও মিনারেল যা শরীরের মেটাবলিসম বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এলার্জি জাতীয় কোনো খাবার গ্রহণ করলে যে সমস্যাগুলো দেখা দেয় সেটি থেকে তাৎক্ষণিক মুক্তি পাওয়া যায় কলা খেলে। তবে কলা এলার্জির সমস্যা সম্পূর্ণ ভালো করে দেয় না।
৩.গাজর: গাজরে থাকে এন্টি এলার্জিক উপাদান যা শরীরের যাবতীয় এলার্জির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। তাই কোনো খাবার খাওয়ার পর যদি এলার্জি দেখা দেয় তবে তাৎক্ষণিকভাবে গাজরের রস খেয়ে নিলে এ সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
৪.আদা: আদা তে থাকে প্রদাহবিরোধী উপাদান ও প্রচুর পরিমাণে এন্টি অক্সিডেন্ট , যা এলার্জির সমস্যার ক্ষেত্রে খুব ভালো কাজে দেয়। এজন্য আদা চা খেতে পারেন। আবার আদার রস সামান্য মধুর সাথে মিশিয়ে ও খেয়ে নিতে পারেন। এতে এলার্জির সমস্যা দূর হবে।
৫.গ্রিন টি : ওজন কমানোর পাশাপাশি এলার্জির সমস্যা দূরীকরণেও গ্রিন টি খুব ভালো কাজ করে। গ্রিন টি তে থাকে এন্টিঅক্সিডেন্ট ও এন্টি হিস্টাসিন উপাদান শরীরের টক্সিক উপাদানগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করে ও এলার্জি প্রতিরোধ করে।
৬.ক্যাস্টর ওয়েল: ক্যাস্টর অয়েল যে শুধু চুলের যত্নে ব্যবহার করা যায় তা কিন্তু নয়। এলার্জির সমস্যা কমাতেও ক্যাস্টর অয়েল ভালো কাজ করে। এজন্য প্রতিদিন সকালে এককাপ পানিতে ৫-১০ ফোঁটা ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে পান করতে পারলে শরীর থেকে টক্সিন পদার্থগুলো ও এলার্জি সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াগুলো ধ্বংস হয়ে যাবে।
৭. পেঁয়াজ ও রসুন: পেঁয়াজ ও রসুনে থাকে এন্টিঅক্সিডেন্ট ও এন্টি ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট যা এলার্জির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন খাবারের তালিকায় পেঁয়াজের তৈরি খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন ও রোজ এককোয়া রসুন খান। এতে আপনার শরীরের এলার্জির সমস্যা কমে আসবে।
পরিশেষে বলা যায়, এলার্জির সমস্যা থাকলে অবশ্যই এলার্জি সৃষ্টিকারী খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে। এর পাশাপাশি উপরোক্ত খাবারগুলো খাওয়ার মাধ্যমে আপনি আপনার এলার্জির সমস্যা দূর করতে পারবেন।
আজ এ পর্যন্তই (কি খেলে এলার্জি ভালো হয়) । পোস্টটি কেমন লাগলো দয়া করে কমেন্টে জানাবেন, যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যয় শেয়ার করবেন, পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এমন সব দারুন দারুন পোস্ট পেতে Grathor এর সাথেই থাকুন এবং গ্রাথোর ফেসবুক পেইজ ও ফেসবুক গ্রুপ এ যুক্ত থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।