আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠকবৃন্দ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় আমিও ভালো আছি। আজকে আপনাদের কাছে উপস্থাপন করার চেষ্টা করব ইসমে আজম পড়ার সময়, কখন পাঠ করবেন সেই সম্পর্কিত কিছু তথ্য নিয়ে। তাহলে আর দেরি না করে শুরু করা যাক।
ইজমে আজম কি?
ইজমে আজম হলো সেই দোয়া যে দোয়া আল্লাহ’র গুণবাচক নাম গুলো দিয়ে করা হয়। এই গুণবাচক নাম গলো দিয়ে যে দোয়া করা সে দোয়াই আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন কবুল করে থাকেন। তবে আপনি দোয়া করার সময় অবশ্যই শুদ্ধ ও সঠিক ভাবে পাঠ করতে হবে। তবে আপনি দোয়ার করার সময় মন প্রাণ দিয়ে অন্তর থেকে দোয়া পাঠ করতে হবে। তাহলেই দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই ইজমে আজম দোয়া করে আপনি আল্লাহ’র কাছে আপনি যদি মন থেকে কোনো দোয়া করেন তাহলে আপনার দোয়া কবুল হয়ে যাবে আল্লাহ’র দরবারে (ইন শা আল্লাহ)।
ইজমে আজম পাঠের ফজিলত / ইসমে আজম পড়ার সময়
ইজমে আজম এমন এক শক্তি শালী দোয়া যেটা কোনো বান্দা যদি পাঠ করে মন থেকে আল্লাহর দরবারে মাথানত করে কিছু চায় তাহলে আল্লাহ কখনো সেই বান্দা কে খালি হাতে ফিরিয়ে দেন না। তাই যখনই আল্লাহর কাছে দোয়া বা কোনো কিছুর প্রার্থনা করা হয় তার পূর্বে ইজমে আজম পাঠ করে দোয়া বা প্রার্থনা করা সর্বোত্তম। কেননা এতে আল্লাহ অধিক পরিমাণে খুশি হন এবং বান্দা যাই চাই তাই বান্দাকে দেন। তবে সেই দোয়া মন থেকে করতে হবে।
ইজমে আজম কয়টি ও কি কি?
অনেক আলেম গণের মুখ থেকে অনেক প্রকারের ইজমে আজমের কথা শোনা গেলেও হাদিস শরীফে বর্ণিত ও সহিহ অনুযায়ী ইজমে আজম হলো ৩টি। নিচে এগুলো বর্ণিত করা হলো।
১) ⇨
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِأَنِّي أَشْهَدُ أَنَّكَ أَنْتَ اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ الأَحَدُ الصَّمَدُ الَّذِي لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ
➤উচ্চারণঃআল্লা-হুম্মা ইন্নী আস-আলুকা বি-আন্না লাকাল হা’মদু লা-ইলা-হা ইল্লা-আনতা ওয়াহ’দাকা লা-শারীকা লাকাল মান্না-ন, ইয়া বাদীআ’স্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল-আরদ্বি, ইয়া যাল জালা-লি ওয়াল-ইকরা-ম। ইয়া হা’ইয়্যু ইয়া ক্বাইয়্যুম।
➤অর্থ:হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করছি আর সাক্ষ্য দিচ্ছি, আপনিই একমাত্র আল্লাহ, আপনি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই, আপনি একক সত্তা, স্বয়ংসম্পূর্ণ, যিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাকেও কেউ জন্ম দেয়নি, আর তার সমকক্ষ কেহ নেই।
২)⇨
هُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ أَنِّي أَشْهَدُ أَنَّكَ أَنْتَ اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ الأَحَدُ الصَّمَدُ الَّذِي لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ
➤উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্না আসআলুকা আন্না আশহাদু আন্নাকা আংতাল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা আংতা আহাদুস সামাদুল্লাজি লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ ওয়ালাম ইয়া কুল্লাহু কুফুয়ান আহাদ।
(সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ১৪৯৩)
৩)⇨
اللَّهُمَّ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ الْمَنَّانُ بَدِيعُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ ذَا الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ .
➤উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা লা ইলাহা ইল্লা আংতা মান্নানু বাদিয়্যুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদি যাল জালালি ওয়াল ইকরাম।
(সুনানে নাসাঈ, হাদিস নং-১৩০০)
ইসমে আজম পড়ার সময়, কখন পাঠ করা সর্বোত্তম?
ইজমে আজম পড়ার সঠিক সময় হলো সালাত এর সালাম ফিরানোর পর। আপনি সালাত শেষ করে অর্থাৎ সালাম ফিরানোর পর যদি ইজমে আজম পাঠ করেন তাহলে সে সময়ে আল্লাহর কাছে বেশি কবুল হয়। তবে আপনি সালাত শেষ করে তাশাহুদ ও অন্যান্য দোয়া পড়ার পর মোনাজাত করার আগে করে ইজমে আজম পড়তে পারেন। বিশেষ করে ফজর ও মাগরিব ওয়াক্তে ইজমে আজম পড়ে দোয়া চাইলে বেশি কবুল হয়।
আজ এই পর্যন্তই। পোস্টটি কেমন লাগলো দয়া করে কমেন্টে জানাবেন, যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যয় শেয়ার করবেন, পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এমন সব দারুন দারুন পোস্ট পেতে Grathor এর সাথেই থাকুন এবং গ্রাথোর ফেসবুক পেইজ ও ফেসবুক গ্রুপ এ যুক্ত থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।