ভালোবাসা হলো স্পর্শকাতর এক তীব্র অনুভূতির নাম। ভালোবাসা একনি একটি শব্দ যা কিনা সকলের জীবনের সাথেই কোনো না কোনো ভাবে জড়িত। কারো গল্পটি হয়তো সুখের আবার কারো গল্পটি বেদনায় ভরা। আর কারো কারো গল্পটি হয়তো এখন শুধুই স্মৃতি। আমাদের আজকের গল্পটি কোনো স্মৃতি নয় ,নয় কোনো কল্প কাহিনী। আজকের গল্পটি একটি হার না মানা সাহসী গল্প। কখনো কি কাউকে ভালোবেসেছেন ? কতটুকু ভালোবেসেছেন ?কি করেছেন তার জন্য ?ভালোবাসার মানুষটির জন্য কয়জন এ বা লড়তে পারে। আজ আমরা জন্য ভালোবাসার জন্য লড়াই করা এক সাহসী প্রেমিকের গল্প। যিনি তার ভালোবাসার মানুষটিকে দেননি হারাতে। আগলে রেখেছেন মমতায়। ভালোবাসার স্নিগ্ধ ছায়ায়। আজকের গল্পের নায়ক সাইফ আর গল্পের নায়িকা তৃষা। তৃষা এমন একটি মেয়ে যে কিনা বই ছাড়া কখনো বাইরের দুনিয়াটা ও ঘুরে দেখেনি। যার কাছে হাসি ভালোবাসা শুধুই বই। আর সাইফ হলো পুরো তৃষার উল্টোটা। যা কাছে রোমাঞ্চ ছিল ঘুরাঘুরি ,কখনো তা এক দেশ থেকে আরেকদেশ। গল্পের শুরু ২০০৭ সালে। সাইফ লন্ডনে থাকতো আর তৃষা পড়াশুনা করতে লন্ডনে গেলো। ২ জন দেখা তা কাকতালীয় তাও আবার প্লেনে।পাশাপাশি সিট হওয়ায় ২ জন এর মধ্যে কথোপথন জমলো। তৃষা যেহেতু প্রথমবার লন্ডন যাচ্ছে আর সাইফ লন্ডন এর সেটেল তাই সাইফ তৃষা সব দিক এ খুব সাহায্য করলো। তাদের গল্পের শুরুটা হলো বন্ধুত্ব দিয়ে। এভাবে বই এর প্রেমে পড়া মানুষটি সাইফ এর প্রেমে পরে গেলো। একদিন ইস্ট লন্ডনের গ্লাসগো ইউনিভার্সিটি সাইফ তৃষা কে তার ভালোবাসার নিবেদন করলো। ২ জন এর সম্পর্ক খুব ভালো ভাবে আগাচ্ছিলো। তারা সিদ্ধান্ত নিলো তারা বিয়ে করবে। তাই তারা দুজন তাদের পরিবার কে জানালো। তৃষার পরিবারে কোনো বিপত্তি না থাকলেও বাধা হয়ে দাঁড়ালো সাইফ এর পরিবার। সাইফ এর পরিবার এই বিয়ের জন্য সম্মতি দেয়নি। এইসাইফ অনেক চেষ্টা করে তার পরিবারকে বুঝতে কিন্তু সে বার বার ব্যর্থ হয়। তাই কিছু ভেবে না পেয়ে e তারা গোপনে বিয়ে করে লন্ডন চলে যায় । দীর্ঘ ৮ বছর পর সাইফ এর পরিবার সম্মতি দিলো। এবং তাদের ভালোবাসা পূর্ণতা পেলো। হয়তো তাদের ভালোবাসা অনেক আগেই শেষ হয়ে যেত। কিন্তু সাইফ যেভাবে দায়িত্ত্ব নিয়েছে এভাবে এ আর কয়জন এ বা পারে দায়িত্ব নিতে? কাউকে ভালোবাসলে হয় না তার জন্য নিজেদের ভবিষ্যতের জন্য তাদের দায়িত্ব নিতে হয়। তার পাশে থাকতে হয়। তাকে ভালোবেসে আগলে রাখতে হয় সারাটা জীবন।
মজাদার এক গল্প পার্ট ৪
“নেকলেস “ মূলঃ গী দ্যা মোপাসা অনুবাদঃ পূর্ণেন্দু দস্তিদার “ হ্যা , আমরা যখন বিশ্রামকক্ষ দিয়ে বেরিয়ে আসছিলাম , তখনও...