“নেকলেস “
মূলঃ গী দ্যা মোপাসা
অনুবাদঃ পূর্ণেন্দু দস্তিদার
সে ছিল চমৎকার এক সুন্দরী তরুণী নিয়তির ভুলেই যেন এক রোনির পরিবারে তার জন্ম হয়ে তার কত কেন হক , কেনে জশ পরিচিত হবার প্রশংসা পাওয়ার , প্রেমলাভ করার এবং কেনে । অবধি কেকের বিবাহিত হওয়ার কোনাে উপায় ছিল না তাই শিক্ষা পরিষদ অপিসেরসায়ন । একে কে সঙ্গে বহ সে স্বীকার করে নিয়েছিল । নজেকে জ কর অমর জন্য সে সংবেই কত কি তার শ্রেণির অন্যতম হিসেবে সে ছিল হয় তনে কেন তবর্ণ নেই কারণ জ পরে পরিবার থেকেই তারাহী , সৌন ও সকে । সজল হয়ে ওই হজ গg , কৃতিগত আর বুদ্ধির নমনীয়তাই হলে হলে অভিহতা , যার ফলে অনেক বরের মেয়েকেও বিশিষ্ট মহিলার কেক করে তােলে । ম তর মনে সুখ তারা , যত সব রুচিপূর্ণ ও বিলাসিতার বত্ত আছে , সেগুলির জনাই তার । হয় তত কেকের দল , হতশ্রী দেওয়াল , জীর্ণ মাের এবং কি জিনিসপত্রের না সে ববিত হতে হয়তো অব অন্য কোনাে মেয়ে এসব জিনিস যদিও লক্ষ করত না , সে এতে দুঃখিত ও কে হতে যে খর্বক ব্রন এই বকা ঘরটি তৈরি করেছিল তাকে দেখলেই তার মনে বেদনা দুঃখ আর বেপরােয়া সব স্বপ্ন জেগে উঠত ।
সে ভাবত তার থাকবে প্রাচ্য – চিত্র – শােভিত , উচ্চ ব্রেক্স – এর আলােকয়া । আর থাকবে দন বেশ মোটাসােটা গহ – ভত । তারা আদো পায়জামা পরে যেই বড় আকারে । * রম করার যন্ত্র থেকে বিক্ষিপ্ত জারি হওয়ায় নিদ্রালু হয়ে উঠেছে , তাতে শুয়ে ঘুমিয়ে থাকবে । সে । রে এক বৈঠকখানা , পুরানাে বেশমি পৰ্মী সেখানে ঝুলবে । থাকবে তাতে বিভিন্ন চমৎকার আলবার । ওপর শােভা পাবে অমলা সব প্রাচীন কৌতহল – উদ্দীপক সামগ্রী । যেসব পরিচিত ও আকাক্ষিত পুরুষ চান মেয়েদের কথা , সেসব অন্তরঙ্গ বন্ধুদের সঙ্গে বিকাল পাঁচটায় গল্পগুজব করবার জন্য ছােট সুরভিত একটি নয় । সেখানে থাকবে । তিনদিন ধরে ব্যবহৃত একখানা টেবিলক্লথ ঢাকা গােল একটি টেবিলে তার স্বামীর বিপরীত দিকে সে যখন আহজে জে বসে এবং খুশির আমেজে তার স্বামী বড় সুরুয়ার পাত্রটির ঢাকনা তুলতে তুলতে বলে । ও কি কালাে মানুষ । এর চেয়ে ভালাে কিছু আমি চাই না – ‘ তখন তার মনে পড়বে আড়ম্বরপূর্ণ সান্ধ্যভােজের কথা । উক রৌপ্যপাত্ৰানি , মায়াময় বনভূমির মধ্যে প্রাচীন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও বিরল পাখির চিত্রশােভিত কারুকার্যাল পর্দা দিয়ে ঢাকা দেওয়াল – এর কামনা । সে ভাবে , অপরূপ পাত্রে পরিবেশিত হবে অপূর্ব খাদ্য আর গােলাপি রং – এর রােহিত মাছের টুকরা অথবা মুরগির পাখনা খেতে খেতে মুখে সিংহ – মানবীর হাসি নিয়ে কান পেতে শুনবে চুপি – চুপি – বলা প্রণয়লীলার কাহিনি । তার কাছে ফ্রক বা জড়োয়া গহনা নেই – নেই বলতে কিছু নেই । অথচ ঐ সব বস্তুই তার প্রিয় । তার ধারা এসবের জন্যই তার সৃষ্টি সুখী করার , কাম্য হওয়ার , চালাক ও প্রণয়যাচিকা হবার কতই না তার স্বামী । তার কনভেন্ট ‘ – এর সহপাঠিনী এক ধনী বান্ধবী ছিল । তার সঙ্গে দেখা করতে তার ভালাে লাগত না । কারণ । নেরে ফিরে এসে তার খুব কষ্ট লাগত । বিরক্তি , দুঃখ , হতাশা ও নৈরাশাে সময় দিন ধরে সে কালত । কয়ে হাতে একটি বড় খাম নিয়ে বেশ উল্লসিত হয়ে তার স্বামী ঘরে ফিরল । সে বলল , ‘ এই যে , তােমার জন্য এক জিনিস এনেছি । ‘ মেয়েটি তাড়াতাড়ি খামটি ছিড়ে তার ভিতর থেকে একখানা ছাপানাে কার্ড বের করল । তাতে নিচের কথাগুলি । জনশিক্ষা মন্ত্রী ও মাদাম জর্জ রেমপননু আগামী ১৮ই জানুয়ারি সন্ধ্যায় তাঁহাদের নিজ বাসগৃহে মসিয়ে ও মলম লাইসেলের উপস্থিতি কামনা করেন । ‘ তার স্বামী যেমন আশা করেছিল তেমনভাবে খুশি হওয়ার পরিবর্তে মেয়েটি বিয়েষের ভাব নিয়ে অমণ – লিপিখানা টেবিলের উপর নিক্ষেপ করে , বিড় বিড় করে বলে । ‘ ওনামিয়ে তুমি আমায় কী করতে বল ? ‘ কিন্তু খাটি , আমি ভেবেছিলাম , এতে তুমি খুশি হবে । তুমি বাইরে কখনও যাও না , তাই এই এক সুযােগ , এটা জোগাড় করতে আমাকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে । সবাই একখানা চায় , কিন্তু খুব বেছে বেছে দেওয়া হয়ে । কর্মচারীদের বেশি দেওয়া হয়নি । সেখানে তুমি গােটা সরকারি মহলকে দেখতে পাবে । ‘ বিরক্তির লতিতে তার দিকে তাকিয়ে মেয়েটি অধীৱভাবে বলে উঠল । । ঐ ঘটনার মতাে একটি ব্যাপার কী পরে আমি যাব বলে তুমি মনে কর ? ‘ । সেই সম্পর্কে কিছু ভাবেনি । তাই সে ব্ৰিতভাবে বলে । । “ কেন আমরা থিয়েটারে যাবার সময় তুমি যেই পােশাকটা পর সেটা পরবে । ওটা আমার কাছে খুব সুন্দর লাগে । ‘ তার স্ত্রীকে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদতে দেখে সে আতঙ্কে নির্বাক ও হতবুদ্ধি হয়ে গেল । তার চোখের পাশ থেকে । বড় বড় দুটো অ তার গালের উপর গড়িয়ে পড়ল । সে থতমতভাবে বলল । কী হলাে ? কী হলাে তােমার ?
চলবে… …. ….