রক্তার্শে কাঁচা বেলপােড়র শাঁস বাড়ীতে পাতা দইয়ের ঘােলে মিশিয়ে খাবেন । হরিতকী-চূর্ণ ৩-৫ গ্রাম (কোষ্ঠকাঠিন্যের অবস্থা ভেদে) পরিমাণ ঘােলের সাথে একটু সৈন্ধব লবণ মিশিয়ে খেলে সেরে যাবে । যন্ত্রণা আছে, অথচ রক্ত পড়ে না, এক্ষেত্রে নিম্নাঙ্গে তিল তেল লাগিয়ে সজনে পাতা সিদ্ধ ক্বাথ দ্বারা ভেজান। অর্শবিকারে কোষ্ঠ পরিষ্কার না হওয়ার মতাে, চটচটে মল নিঃসরণ তার সঙ্গে ২/৪ ফোঁটা রক্ত, তারপর অসহ্য টনটনানি, এরপর শোচ-করার পরও কিছুটা পিচ্ছিলতা থেকে যায়, এক্ষেত্রে ঝলসা পােড়া লাউয়ের রস ও চিনি অমােঘ। | ১৭/১৮ গ্রাম মূল সমেত কাঁচা সহদেবী গাছ নিয়ে ৩/৪টি গােল মরিচের সঙ্গে পানি দিয়ে বেটে এক পােয়া পরিমাণ কাঁচা দুধে মিশিয়ে কাঁপড়ে ঘেঁকে সকালে খালি পেটে ২১ দিন খেতে হবে। এ ২১ দিন মাছ, গােশত, ডিম, মুগডাল, তেঁতুল, মরিচ ও তেল খাওয়া নিষেধ ।
খাওয়া চলবে দই, দুধ, অল্প ঘিয়ে রান্না তরকারী, ঝাল হিসেবে সামান্য গালমরিচ । বলি আছে রক্ত পড়ে না, এ ক্ষেত্রে ৩/৪টি নিম বিচির শাঁস সকাল বিকাল ২ বার চিবিয়ে কিংবা বেটে পানি দিয়ে খেতে হবে। তাঁতে বলি চুপসে যাবে।
রক্তার্শে আখের গুড়ের সঙ্গে হরিতকী গুড়া মিশিয়ে খেলে কয়েক দিনেই সুফল পাবেন। ২ চামচ অড়হর পাতার রস একটু গরম করে সকাল ও বিকাল দু’বার খেতে হবে। এতে অর্শের যন্ত্রণা কমে যাবে। তবে এর সঙ্গে অড়হর ডালের যুষ একটু ঘিয়ে সাঁতলে যাওয়া ভালাে, তাতে পায়খানা পরিস্কার থকে।
সহদেবীর চলিত নাম ছােটো কুকসিমে। এ গাছের মুলে একটি চমৎকার গােলাপ ও চন্দনের মিশ্র গন্ধের রেশ পাওয়া যায়। মূলটি শুকিয়ে গেলে গন্ধ আরাে মধুর হয় । বীজের পেছনের দিকে তুলার আঁশের মতাে এক গুচ্ছ লােম থাকে।
অর্শের বলির যন্ত্রণায় ছেচা বাসকপাতা হালকা গরম করে পুটুলি বেঁধে মলদ্বারে সেক দিলে যন্ত্রণা ও ফোলা দু’য়েরই উপশম হয়। সিকিগ্রাম (২রতির মতাে) পরিমাণে দারুচিনি গুড়াে সকাল বিকাল দুবার একটু মাখনের সাথে মিশিয়ে খেতে হবে । কয়েক দিনে খলে অর্শ এবং ভগন্দর সেরে যাবে ।
যদি রক্ত পড়ে, অথবা শুধু ফোলে কিন্তু রক্ত পড়ে না, তবে ২ চামচ গাঁদাল পাতার রস ৩ গ্রাম পরিমাণে কাঁচা হলুদবাটার সঙ্গে মিশিয়ে খেলে ২/৩ দিনের মধ্যেই যন্ত্রণা কমে যায়, এবং নিয়মিত অভ্যাস করলে কয়েক মাসের মধ্যেই অর্শের বলি মিলিয়ে যায় । পায়খানা ক্লিয়ার রাখার ব্যবস্থা করতে হবে ।