আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই,,, নিশ্চয়ই ভালো আছেন। আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম আরেকটি কাহিনী। এটি শুধু কাহিনী নয় একটি ভৌতিক কাহিনী বটে। কি ভয় লাগছে ? এই কাহিনীটি শুনে প্রথমে ভয় লাগলেও পরে কিন্তু মায়া জন্মাবে। সুতরাং আর দেরি কেন শুনে নেয়া যাক সেই ভৌতিক কাহিনীটি।
আজ থেকে কয়েক বছর আগের কথা। সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে । কেউ বাইরে বের হতে পারছে না। তার মধ্যে আমার দাদীর জ্বর এবং বৃষ্টিতে আছাড় খেয়ে বাম হাত টা ভেঙে ফেলেছে। বাবা তারাতারি আত্মীয় স্বজনদের ফোন করে এবং হাসপাতালে নিয়ে যায়। বিকাল বেলা আমার দাদীকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। বাড়িতে লোক ভর্তি লোক জন। আমি বাবাকে বল্লাম দাদীকে কেন বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে , দাদীতো এখনও সুস্থ হয়নি। বাবা বলল দাদী নাকি হাসপাতালে থাকবে না। হাসপাতালে নাকি দাদীর দম বন্ধ হয়ে যায়। বাবা অনেক বার দাদীকে বোঝাতে চেয়েছে এমনকি আত্মীয় স্বজন রাও দাদী কে বোঝাতে সক্ষম হননি। এখন আমাদের বাড়ি লোক ভর্তি হওয়ায় আমি মামাদের বাসায় ঘুমাতে যাব। কিন্তু মামা বলল শান্ত নাকি বাইরে বেরিয়েছে। আমিও দেরি না করে শান্তকে খুঁজতে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ি। তখন রাত ১২টা রাস্তায় একজন মানুষ ও নেয়। হঠাৎ হাটতে হাটতে মেইন রোড এ এসে পড়ি। কয়েকজন লোক রাস্তায় দাড়িয়ে ক্রিকেট খেলা দেখছে আর বিড়ি ফুঁকছে। আমিও কয়েক মুহূর্ত শান্তর জন্য সেখানে অপেক্ষা করার পর বাসায় আসতে লাগলাম। হঠাৎ দেখি ৯ফুটের মতো একজন মহিলা রাস্তায় দাড়িয়ে আছে। মহিলাটির চেহারা ঠিকঠাক দেখতে পাবেন পারলাম না। রাস্তার ল্যাম্প পোস্টের আলো থাকলেও মহিলা টিকে শুধুই কালো বিমূর্তে দেখা যাচ্ছে। মহিলাটির সেই ছায়ার মতো কালো বিমূর্তটি হঠাৎ আমার দিকে তেড়ে আসতে লাগল। আমি আর এক মুহূর্ত দেরি না করে দৌড়াতে শুরু করলাম। হঠাৎ আমি লাবণী বিল্ডিং এ এসে পড়ি এবং আমাকে ১২ টা কুকুর একসাথে ঘিরে ধরে। হঠাৎ সেখান থেকেই ৫-৬ টার মতো কুকুর আমার পেছনে গিয়ে ঘেউ ঘেউ করতে থাকে। কয়েক মুহূর্তের জন্য আমি থমকে যায় যেই জায়গায় আসতে কম হলেও ২ মিনিট লাগে সেইখানে কেমনে আমি ২ সেকেন্ড এ পৌঁছে গেছি। আর যেই কুকুর গুলো কয়েকটা লোক কে কামরিয়েছে সেইখানে আমাকে কিছু করলো না। এবং আমার পেছন থেকে কি যেন একটি সরে গেল সেটি অনুভব করলাম। কিছু সময় পর কুকুর গুলো চলে গেল এবং সামনের বাড়ি থেকে ২টা মেয়ে বের হলো এবং ওরা আমার দিকে আসতে শুরু করলো , আমি তাদের দেখে একটু স্বস্তি পেলাম । কিন্তু তাদের সাথে কথা বলতে গিয়ে তারা রোবটের মতো আমাকে অতিক্রম করলো। কিছুই বললো না। তারপর আমি হাটতে শুরু করলাম ৩০ সেকেন্ড পর আমার একটু খটকা লাগলো পেছনে ফিরে দেখি মেয়েগুলো নেয় ।।। আমার হাত পা ঠান্ডা হয়ে যায়।। মনে মনে ভাবতে থাকি মেয়ে গুলো কারা। হঠাৎ ল্যাম্প পোষ্টের বাতি গুলো ঠাস ঠাস করে ভাঙতে থাকে। আমি আর কিছু না ভেবে দৌড়াতে শুরু করি ।। তার পর আবার সব স্বাভাবিক হয়ে যায়। এবং একটি ছায়া দেখা যায় অন্ধ গলির ভেতর নাচানাচি শুরু করলো।। আমি আবার দৌড়ে স্কুলের সামনে যেতেই আমাদের পাড়ার ২জন লোক কে দেখা গেল। তারা একসাথে রাস্তায় বসে মদ খাচ্ছে। আমি তাদের সামনে গিয়ে তাদের সাথে কথা বলে বাড়িতে অর্থাৎ মামার বাসায় এসে পড়ি। তার কিছু সময় পর শান্ত বাড়ি আসে।।। আমি তাদেরকে আমার সাথে ঘটে যাওয়া সব ঘটনা একে একে বলতে থাকি। সব শুনার পর মামি বলে ওই মহিলাটির একটি ২বছরের বাচ্চা আছে। এবং সেই বাচ্চাটিকে দেখার জন্য মহিলা টি প্রত্যেকদিন রাত ১২টার সময় আসে। মহিলাটির স্বামীর অন্য আরেক মহিলার সাথে সম্পর্ক ছিল । সেই খবরটা শুনে মহিলা টি আত্মহত্যা করেছিল ।। মহিলাটি নাকি নিজের স্বামী কে অত্যন্ত ভালবাসত। যার কারণে নিজের স্বামী র ভাল থাকার জন্য তিনি নিজেকে শেষ করে দিলেন।
ভালবাসার জন্য মানুষ কতো কিছুই না করে।। কিন্তু শেষ পরিনতি হয় অবধারিত মৃত্যু।
সুতরাং পাঠকবৃন্দ ঘটনাটি পড়ার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।।
সবাই ভালো ও সুস্থ থাকবেন।।। আর অবশ্যই কমেন্ট ও শেয়ার করবেন আপনার বন্ধুদের সাথে।