সড়ক দূর্ঘটনা আর বাংলাদেশ- দৈনন্দিন জীবনের এক দুঃস্বপ্ন।
দৈনিক কোনো না কোনো দূর্ঘটনা ঘটবেই আমাদের চারপাশে। চেষ্টার পর চেষ্টা তবুও যেন হার মানতে চায়না এই সড়ক দূর্ঘটনা।
একটা না একটা জীবন কেড়ে নিবে নিত্য দিন।
আমাদের দেশে এটা এক মহামারি রূপ ধারণ করেছে। আজকাল প্রত্যেক মানুষের রাস্তায় বের হওয়ার আগে ভাবতে হয় আজ দিনশেষে আমি সুস্থভাবে বাড়ি ফিরবো তো। তার পুরো পরিবার ভাবে যা তার ঘরের যে লোকটি কাজের হোক বা উপার্জনের হোক বাহির থেকে বাসায় ভালোভাবে ফিরবে তো। নাকি কোনো এক দূর্ভাগ্য কেড়ে নিবে তার পরিবারের সুখ শান্তি। আর সেই দূর্ঘটনাটা সড়ক দুর্ঘটনা না তো।
কিছু সময় এই দুঃস্বপ্ন সত্য না হলেও , দেশের হাজার হাজার ঘরে আজ প্রতিদিন এই দুঃস্বপ্ন সত্যিকারের রূপ ধারণ করছে। যা কেড়ে নিচ্ছে কারো ঘরের প্রধানকে, না হয় কারো নিষ্পাপ কোনো প্রান।
২০১৯ সালের হিসাব অনুযায়ী প্রায় ৫০০০ হাজারের ও বেশি মানুষ সড়ক দূর্ঘটনায় প্রাণ হারায় বাংলাদেশে। এটি ২০১৮ সালের তুলনায় প্রায়ই সাত শতাধিক বেশি।
এছাড়া সেই মহামারী দুর্ঘটনার কথা আমরা কেউই ভুলি নি।
২০১৯ সেই করূণ দূর্ঘটনা যার ফলে এক কিশোর ও এক কিশোরী মর্মান্তিকভাবে মারা যায়। যার ফলে পুরো বাংলাদেশে গড়ে উঠেছিলো আন্দোলনের এক মহামারী রূপ। সেই আন্দোলনের মূল শ্লোগান ছিলো,”নিরাপদ সড়ক চাই”। কিশোর- কিশোরীরা নিজের হাতে তুলে নিয়েছিলো রাস্তার দায়িত্ব। তারা বাধ্য করেছিলো সকলঅকে সড়কের নিয়ম কানুন মানিয়ে রাস্তায় বের হতে।
পরে সরকারের আশ্বাসে থামে আন্দোলনের রুপ। তারা বলে, যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু নিয়ম দিয়েই নিরাপদ সড়ক গড়তে সাহায্য করবে।
এখন ২০২০ সাল। নতুন একটি সাল। নতুন একটি দিন শুরু হয় নতুন প্রত্যাশা দিয়ে। আবার হবে না তো কোনো সড়ক দুর্ঘটনা – এই ভয় যেন না থাকে কারো মনে। সবাই যেন নিরাপদভাবে চলতে পারে পথ। যেন ভয় না থাকে তার পরিবারের মাঝে যে তার ঘরের মানুষটি ফিরে আসবে কি আসবে না।
আমরা এই প্রত্যাশা করি যেন নিরাপদ সড়ক , সুস্থ প্রাণ, সঠিক জীবন যাপন নিয়ে বেচে থাকতে পারে প্রত্যেকটা মানুষ।