আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠকবৃন্দ। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন বরাবরের মতো আজকেও হাজির হলাম আউটসোর্সিং বিষয়ক কিছু টিপস নিয়ে। বিশেষ করে এখন যারা স্টুডেন্ট এই টিপসটি তাদের সব থেকে বেশি কাজে লাগবে। স্টুডেন্ট লাইফে আমরা কমবেশি সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকি কিন্তু এই স্টুডেন্ট লাইফে যদি কম বেশি ইনকাম করা যায় তাহলে আমরা এ সকল সমস্যা থেকে দূরে থাকতে পারি। সকল প্যাসিভ ইনকাম কে সাধারণত আউটসোর্সিং বলা হয়। তাহলে চলুন জানি কিভাবে আউটসোর্সিং করবেন আজকাল আউটসোর্সিংয়ের বেশ বড় মাধ্যম হয়ে উঠেছে টিউশনি। টিউশনি করিয়ে অনেকে তো মাসে 10-12 হাজার টাকারও বেশি ইনকাম করছে।
আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধব অথবা কোন বড় ভাই অথবা বোন এর মাধ্যমে টিউশনি পেতে পারেন। যদি টিউশনি না পান তাহলে লিফলেট প্রচার করুন দেখবেন কোন না কোনভাবে টিউশনি পেয়ে গেছেন। টিউশনির পরে দ্বিতীয় মাধ্যম হিসেবে আসে অনলাইনে আউটসোর্সিং করা। আজকাল অনলাইনে আউটসোর্সিং অনেক বেশি জনপ্রিয়। কিছু জনপ্রিয় ওয়েবসাইট এর ভেতর আছে ফ্রিল্যান্সার ফাইবার এবং আরো বেশ কিছু জনপ্রিয় সাইট। তবে এসব এ কাজ করতে হলে আপনাকে প্রথমে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। কি কি দক্ষতা অর্জন করবেন সেটাও আপনাকে জানতে হবে। এসকল দক্ষতার ভেতরে আছে ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, কনটেন্ট রাইটার, কপিরাইট রাইটার, গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং আরও অনেক কিছু। শুরুতেই আগে আপনাকে এ সকল বিষয়ের উপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে। তবে সবকিছুর পেছনের মূল বিষয় হল ধৈর্য। এ সকল কাজে ধৈর্য না থাকলে আপনি কিছুই করতে পারবেন না। আপনাকে কয়েক মাস ধরে ট্রেনিং নিয়ে এসব কাজে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আপনি চাইলে কোন প্রতিষ্ঠিত ফ্রিল্যান্সারের কাছে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। এছাড়া ইউটিউব এবং গুগল থেকেও কিছু কিছু শিখতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সারের পরে বিষয়টি হলো ব্যবসা করা।
আপনি চাইলেই স্টুডেন্ট লাইফে যে কোন টাইপের ব্যবসা করতে পারবেন। যেমন আপনি কিছু পাইকারি হিসাবে বই কিনে সেগুলো আবার স্টুডেন্ট এর মাঝে বিক্রি করে বেশ কিছু লাভ পেতে পারেন। আবার চাইলে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস থেকে জামাকাপড়ের অর্ডার নিতে পারে তারপর কোন প্রতিষ্ঠান থেকে পাইকারি হিসেবে জামাকাপড় কিনে ঐসকল মার্কেটপ্লেসে বিক্রি করে দিন। দেখবেন মাস শেষে আপনার একাউন্টে অনেক টাকা দাঁড়িয়েছে। এরপরের ব্যাপারটি হলো ইনভেস্টমেন্ট করা। আপনারা কয়েকজন বন্ধু-বান্ধব মিলে প্রতি মাসে কিছু এমাউন্ট টাকা জমা রাখতে পারেন। কয়েক মাস পর সেই টাকা দিয়ে কোন একটি খামার গড়ার পরিকল্পনা করতে পারেন। এরপর কিছু লোক লাগিয়ে সেই খামার আস্তে আস্তে গড়ে তুলতে পারেন। কয়েক মাস পরে দেখবেন আপনার খামার আস্তে আস্তে বড় হচ্ছে এবং আপনার ক্রেতার সংখ্যা অনেক বেশি বেড়ে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে আপনি একদিন অনেক বড় খামারের মালিক হয়ে যেতে পারেন। এখন কথা হচ্ছে খামারকে লাভজনক করতে হলে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। তাহলে আপনারা সে নিয়ম পাবেন কোথায়? বাংলাদেশের প্রায় প্রত্যেকটা জেলায় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর নামে একটা অধিদপ্তর আছে। এই অধিদপ্তর থেকে আপনি খামারের উপর ট্রেনিং নিতে পারেন। তারা আপনাকে সকল ট্রেনিং খুব সফলভাবে সম্পন্ন করাবে এরপর তাদের নিয়ম মেনে চলে দেখবেন এই ব্যবসায় আপনি প্রচুর লাভবান হচ্ছেন। এমন অনেক স্টুডেন্ট আছে যারা পরবর্তী লাইফে এই খামার ব্যবসা কেই প্রাধান্য দিয়েছিলেন এবং পরবর্তীতে তারা সফল উদ্যোক্তা হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছিলেন। তাহলে বুঝতে পারছেন উদ্যোক্তা হতে হলে কি কি দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
তাহলে আপনারা সময়কে নষ্ট না করে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করুন দেখবেন আপনার লাইফে আর্থিক সমস্যা নিয়ে আর কোন ঝামেলা থাকবে না। আজ তাহলে এ পর্যন্তই পরবর্তীতে আরো ভালো কিছু তথ্য নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব।ততক্ষন সবাই ভাল থাকবেন।
আল্লাহ হাফেজ