আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? নিজের ঘরে আছেন তো? আমি কিন্তু নিজের ঘরেই আছি। জানি সবসময় ঘরে বসে থাকতে কারোই ভালো লাগে না। তারপরও নিজেকে এবং নিজের আপনজনদের ভালো রাখতে হলে সবাইকে একে অপরের মধ্যে সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখতেই হবে। তো চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আজকের বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যাক।
কেউ বলছে মহামারী ভাইরাস, আবার কেউ বলছে জীবাণু বোমা। তবে যে যেই নামেই ডাকুক না কেন, সারা পৃথিবীর সকল মানুষের শান্তি নষ্ট করে দিয়েছে এই প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস (কোভিড ১৯) পুরো চিকিৎসা বিজ্ঞানের দিকে এক ভয়াবহ চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে এই ভাইরাস। ইতিমধ্যে প্রায় ৩ মাসের অধিক সময় ধরে তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছে কোন প্রকার বাধা ছাড়াই। এখন পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ২৭ হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে কোভিড ১৯ এবং এই পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ২০ লাখ। বিশ্বের সকল নামি দামি ঔষধ কোম্পানিগুলো নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে প্রতিষেধক তৈরী করতে। তবে এখন পর্যন্ত কোন সাফল্যের মুখ দেখেনি কেউ। তাই সবাই মনে এখন একটাই প্রশ্ন, আর কতদিন থাকবে এই আতংক? কবে বন্দ্ধ হবে এই তান্ডবলীলা। আর এই প্রশ্নের উত্তর খুুজতে মাঠে নেমেছেন বিভিন্ন দেশের অসংখ্য গবেষকগণ। আজকের এই আর্টিকেল এ কয়েকদল গবেষকদের গবেষণার ফলাফল জানাতে যাচ্ছি। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক।
যুক্তরাষ্ট্রের একদল গবেষক জানিয়েছেন যে যদি করোনার কোন প্রতিষেধক আবিষ্কার করা সম্ভব না হয় তবে ২০২২ সাল পর্যন্ত লকডাউন রাখতে হতে পারে পুরো বিশ্ব কে। আর যুক্তরাষ্ট্র সহ যে সকল দেশ এই মুহুর্তে বেশি ঝুকিতে আছে তাদের কে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মনিটরিং এ রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন সেই গবেষকগণ। [সূত্রঃ দৈনিক সমকাল]
তবে হোয়াইট হাউসের একদল গবেষক মানতে নারাজ এই ককথাগুলো। তাদের মতে চলতি গ্রীষ্মের শেষেই করোনা ভাইরাস সংক্রমণ কমে যাবে। এবং খুব শীঘ্রই সারাবিশ্ব কাটিয়ে উঠতে পারবে এই মহামারী।
প্রত্যেক সমস্যার গবেষণা সমালোচনা থাকবেই। তবে কবে এই কোভিড ১৯ এর প্রকোপ থেকে যে মানব গোষ্ঠী কবে মুক্তি পাবে তা কেউই নিশ্চিত ভাবে বলতে পারবে না। একমাত্র এর প্রতিষেধক আবিষ্কার ই পারবে এই সমস্যার সমাধান করতে। আর যদি চিকিৎসা বিজ্ঞান কোভিড ১৯ এর ভ্যাক্সিন অথবা প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে ব্যর্থ হয়। তবে মানুষের শরীরে সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (এন্টিবডি) আছে সেটাই হবে একমাত্র ভরশা। ধীরে ধীরে এমন এক সময় আসবে যখন কোভিড ১৯ দূর্বল হয়ে পড়বে এবং আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যাবে। তখন আমাদের এন্টিবডি করোনা কে এমনিতেই ধংশ করে দিতে পারবে। কোন প্রকারের চিকিৎসার দরকারই হবে না। তখনই মানুষ এই সংকট থেকে মুক্তি পাবে। তার আগে আমাদের সতর্ক থাকার কোন বিকল্প নেই। সবাইকে ধন্যবাদ
লেখকঃ ধ্রুব_তারা