কলেজ যাওয়ার সময় প্রতিদিন দেখা হয় তার সাথে। সে নাকি আমাকে ভালোবাসে।
(আমি মানে গল্পের নায়িকা ঝুমুর। গল্পে ২ জন নায়ক আছে। একজন আমার ভালোবাসার মানুষ নিশান। অন্য জন আমাকে ভালোবাসে তার নাম মাহিম।)
👇👇👇
(কিন্তু আমি ভালোবাসি অন্য জনকে।আর মাহিম ছেলেটা তত টা সুন্দর ছিল না আবার পড়ালেখা ও তত টা করেনি।এই ধরেন কোনো রকম জে এস সি টা পাশ করলো। আর আমি তো বর্তমানে কলেজ শিক্ষার্থী। আর নিশান হলো ভার্সিটিতে পড়ে।)
👇👇👇
একদিন কলেজ থেকে বাড়ি যাওয়ার সময়। পিছন থেকে কেউ যেন ডাকতেছে।” এই এই ” পিছনে তাকায় দেখি মাহিম ছেলেটা। বললাম
ঝুমুর ঃ কি হয়েছে ডাকতেছেন কেন?
মাহিম ঃ আমি তোমাকে ভালোবাসি।
ঝুমুর ঃ কী? আপনি জানেন না যে আমার বয়ফ্রেন্ড আছে। আপনি তো একটা অশিক্ষিত ছেলে।আমাকে আর বিরক্ত করবেন না বলে দিচ্ছি।
মাহিম ঃ আমি জানি সব জানি।এটা ও জানি তোমার বয়ফ্রেন্ড কতটা খারাপ। আমি বললে বিশ্বাস হবে না তোমার।কিন্তু একদিন তুমি খুব কান্না করবে আর ওই দিন এই অশিক্ষিত, কুৎসিত মানুষটার কাছেই আসবা।দেখ এটা আমার অভিশাপ না।তোমার প্রতি আমার ভালোবাসার টানেই বলতেছি।
এই বলেও মাহিম আর দাড়ালো না।ঝুমুর পিছন থেকে অনেক বার ডাকলো তবুও মাহিম দাড়ালো না।
মাহিমের কথাটা কেন জানি ঝুমুরের মনে গেতে গেছে। কারণটা হলো নিশান ইদানিং অন্য রকম ব্যবহার করতেছে।নিশান আর ঝুমুরের রিলেশন প্রায় ১ বছর।
কিন্তু গত ১-২ মাস কেমন জানি হয়ে গেছে নিশান। সারাদিন প্রায় বিজি থাকে।ঝুমুরের সাথে তেমন কথা ও হয় না।
(যায় হোক রাতে ঝুমুর নিশানের কাছে কল দিল।)
ঝুমুর ঃ হ্যালো।
নিশান ঃ হুম বলো।
ঝুমুর ঃ কেমন আছ?
নিশান ঃ ভালো। কি বলবা তাড়াতাড়ি বলো।
ঝুমুর ঃ আচ্ছা তুমি এতো পরিবর্তন কেন হয়ে গেছ?
আগের মতো কোনো কথায় বলো না।দেখা তো করোই না।তোমার কি রিলেশন রাখতে ইচ্ছে হয় না।নাকি নতুন কেউ মনে ধরছে?
নিশান ঃ তুমি যায় ভাবো।আর তোমার সাথে আর রিলেশন না ও থাকতে পারে।
ঝুমুর ঃ মানে কি? যা বলার সোজাসাপটা কথা বলো।এতো পেছিয়ে কথা বলার মানে নেই।
নিশান ঃ হুম বলতেছি। আমি অন্য কাউকে ভালোবাসি তোমাকে না। সো, প্লিজ আমাকে রেহাই দাও।
ঝুমুর ঃ তো এতো দিন কি আমার সাথে পটকা-বাজি করছোস? তুরা ছেলেরাই এরকম।তুদের বিশ্বাস করাটাই আমাদের মতো মেয়েদের ভুল কাজ।
নিশান ঃ যায় ভাবো তুমি।
ঝুমুর ঃ আরো আগে বললে কি হয় তো আমি তো কষ্ট কম পেতাম এখন কেন বলতেছেন।তার মানে এতো দিন সব অভিনয় ছিল।ওকে ভালো থাকেন আপনার ভালোবাসার মানুষকে নিয়ে।
এসব বলেই ঝুমুর কল কেটে দেয়।আর কান্না করে আগের দিন গুলোর কথা মনে করে।কিভাবে অকে এতো বড় ধোকা দিল নিশান।এমন সময় হটাৎ ঝুমুরের মাহিমের কথা মনে পড়লো। কারণ ওই দিন মাহিম এসব না বললে ঝুমুর এতো কিছু ভাবতো না।কলেজ যায় না ঝুমুর।আজ প্রায় এক সপ্তাহ। আর মাহিম তো অকে খুজতেই থাকে।এমন সময় রাস্তায় দেখতে পায় ঝুমুরকে।
মাহিম ঃ তুমি কলেজ যাচ্ছো না কেন?জানো আমি তোমাকে দেখতে না পেয়ে অনেক জায়গায় খুঁজেছি।কোত্থাও পায়নি তোমাকে?
(এসব বলতেছে আর চোখ দিয়ে পানি পরতেছে মাহিমের।)
ঝুমুর ঃ কেন? আমি কে হয় আপনার?
মাহিম ঃ আমি তোমার কেউ না হতে পারি কিন্তু তুমি আমার সব।😭
ঝুমুর তো পুরো অবাক ছেলেরা কিভাবে এতোটা কান্না করতে পারে। এক পর্যায় ঝুমুর ও কান্না করে দিল।ঝুমুরের কান্না দেখে মাহিম অকে জরিয়ে ধরে। হটাৎ ঝুমুর ও জরিয়ে বলে আমাকে কখনো ছেড়ে যাবে না তো?সবাই আমাকে ঘৃণা করে। মাহিম বলে আমি তোমাকে আমার চায় তে ও বেশি ভালোবাসি।
এসব কথা চলতেই থাকে।এক পর্যায় ওরা বিয়ে করে। হটাৎ একদিন ঝুমুর আর মাহিম শপিং এ যাওয়ার সময় নিশান এর সাথে দেখা হলো।
নিশান ঃ কেমন আছ?
ঝুমুর ঃ খুব ভালো।আপনি?
নিশান ঃ ভালো।আমাকে কি মাপ করা যায়?প্লিজ
হাত ধরে বলতে থাকে নিশান।
ঝুমুর ঃ ও কেন ওই মেয়ে কি এখন আর ভালো বাসে না?
নিশান ঃ প্লিজ বাদ দাও না ওইসব কথা।
ঝুমুর ঃ আচ্ছা পরিচয় করিয়ে দি।(মাহিমের হাত ধরে বলে।)ও হচ্ছে আমার হাসবেন্ড। আমার জান মাহিম।
নিশান ঃ কি?????😯
ঝুমুর ঃ জ্বি। তোমার ছেড়ে যাওয়া হাতটি আজ খুব ভালোই আছে।
এই বলে চলে গেলে ঝুমুর মাহিমের হাতটা ধরে। 🤝💓
ভালোবাসা কিছুই মানে না।💝