আশা করি সবাই ভালো আছেন।বর্তমানে চাকরির পেছনে না ছুটে বেকারত্ব ঠেকাতে দেশের লাখ-লাখ তরুন ইউটুবিং এবং ফ্রিল্যান্সিং করছে।কিন্তু অনেক তরুন ভেবে পেতে পারে না কোনটা তার জন্য বেস্ট হবে,কোনটা দিয়ে তিনি ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন।এই দুইটার মধ্যে কোনদিক দিয়ে কোনটা বেস্ট তা নিয়ে সবকিছু আজকে আমি বলবো;
কোনটার মধ্যে টাকা ইনকাম বেশি হয়?
ইউটিউব এবং ফ্রিল্যান্সিং দুইটার মধ্যেই ভালো টাকা রয়েছে।এখন এটা আপনার কাজের উপর নির্ভর করে। ইউটিউবে মনিটাইজেশন পাওয়ার পর প্রতি ৩ থেকে ৫ হাজার ভিওসে ইউটিউব আপনাকে ১ ডলার দিয়ে থাকবে।এবং এখানে আপনি কোনো পন্য বিক্রি করেও ইনকাম করতে পারবেন।আর আপনার ভিডিওটা যতদিন থাকবে ততদিন ইনকাম হতে থাকবে।ফ্রিল্যান্সিং থেকে প্রথম কাজ পাওয়ার উপর নির্ভর করে।তারপর ক্লায়েন্টের ভালো লাগলে কাজের আর অভাব পড়বে না।তখন অনেক বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।তবে এই এনকামটা স্থায়ী না।যেমন কাজ করার পর আপনি সাথে সাথে টাকা পেয়ে যাবেন।এতে আর এই কাজ থেকে ইনকাম বাড়বে না।
কোনটার মধ্যে সময় বেশি দিতে হয়?
আপনি যেইটার মধ্যে সময় বেশি দিবেন সেটাতেই তত ভালো ইনকাম হবে।ইউটিউবে আপনার একটা ভিডিও তৈরি করতে চার পাচ ঘন্টা লাগতে পারে।আর ফ্রিল্যান্সিং আপনার দক্ষতার উপর এটা নির্ভর করে।
কোনটার ভবিষ্যত বেশি উজ্জ্বল?
ইউটিউবও ফ্রিল্যান্সিং দুইটার ভবিষ্যত রয়েছে।মানে আপনি এটা লাইফটাইম করতে পারবেন।তবে হয়তো কিছু কঠিন আপডেট আসতে পারে।কিন্তু ইনকাম কখনো বন্ধ হবে না।
কোনটা শরীরের জন্য ক্ষতিকর?
ইউটিউবে আপনি যখন ইচ্ছে ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতে পারেন।কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং আপনার রাত জাগতে হবে।মানে আমাদের দেশে যখন দিন থাকে তখন বাইরের অনেক দেশে রাত থাকে।তাই মধ্যেরাতেই কাজগুলো পাওয়া যায়।তাই রাতজাগাটা শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর।
এখন আমি কোনটা করবেন?
আপনি আগে ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করতে পারেন।তারপর ইউটিউবে এসে মানুষকে কাজ শিক্ষাতে পারেন।এবং ট্রেনিং-সেন্টারও খুলতে পারেন।
এক লেখাটা ভালোভাবে পড়লে ইউটিউব এবং ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে সব প্রশ্ন সমাধান পেয়ে যাবেন।তাই এইগুলো করে নিজের ক্যারিয়ার নিজেই গড়ুন।