আসসালামু আলাইকুম ভিউয়ার্স,
ভালো আছেন নিশ্চয়ই। আমিও ভালো আছি। আলহামদুলিল্লাহ…
আজকের আলোচ্য বিষয়টার সাথে ইদানিংকালে আমরা সবাই বেশ পরিচিত। আর তা হলো, গুজব, হুযোগে বাঙালি, গজব ও ভাইরাল। এই ভাইরাল শব্দটি নিয়ে অনলাইনে বেশ মাতামাতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যে কেউ যেভাবে পারছে নিজেকে ভাইরাল করার চেস্টা চালাচ্ছে।
ভাইরাল শব্দটি আজকাল অনলাইনে একটি পরিচিত শব্দ। যা দ্ধারা গণহারে অর্থাৎ ব্যাপক প্রচারকে বুঝানো হয়। আর এই ব্যাপক হারে নিজেক বা নিজের কাজকে প্রচার করার জন্য আমরা নিজেরা ভাইরাল নামক ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছি প্রতিনিয়ত।
আমরা জানি ভাইরাস সাধারণত ক্ষতিকর। সেটা মানব দেহের রুগ সৃষ্টিকারী ক্ষতিকর জীবানু অথবা জীবানু প্রতিরোধক এন্টি ডোজও হতে পারে যা একটা ভুল ও মিথ্যা নিউজকে ভাইরাল হতে দেয় না।
আপনাদের মনে একটা প্রশ্ন জাগতে পারে, আমি কেন শিরোনামটা এমন ভাবে উপস্থাপন করলাম। হ্যাঁ, সেটার ব্যাখ্যা আমি দিচ্ছি।
“হুযোগে বাঙ্গালী” এই উক্তিটির সহজ মানে হলো- সত্য, মিথ্যা বা ঘটনার পেছনের ঘটনাকে না জেনে তা ব্যাপক হারে প্রচার করা। যা আমরা বাঙালিরা খুব ভালোভাবে করে অভ্যস্ত। আর এটাই হলো আমাদের অধিকাংশ মানুষের নীতি যা এক প্রকার ভাইরাস।
আমাদের ধর্ম মতে একজন লোক মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এত টুকুই যথেষ্ট যা সে শুনে তা সত্য মিথ্যা যাচাই না করে বলে বেড়ায়। এবং গণহারে সেটাকে প্রচার করতে থাকে। অপরদিকে দেখবেন সমাজের জন্য আপনি যখন কোন ভালো কাজ করবেন তখন তা এতবেশি প্রচার হয় না।
কিন্তু যদি আপনি ভূল বসত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে বিশেষ কোন পরিস্থিতিতে পড়েন তাহলে সেটা দেখবেন খুব দ্রুত প্রচার হয়। আর এই গনহারে প্রচার হওয়াটাকেই আমরা ভাইরাল বলি। এখানে অসত্য নামক একটা ভাইরাস থাকে যেই ভাইরাসের প্রভাবকে আমরা ভাইরাল বলে থাকি।
ভাইরাসে যেমন দ্রুত সংক্রমন ছড়িয়ে পড়ে মহামারীতে রুপ নেয় এবং প্রানহানী হয় তেমনি কোন ঘটনা খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে ভাইরাসের প্রভাবের মতো বিষয়টাকে ভাইরাল বলা হয়।
বর্তমানে শব্দটি অনলাইন মিডিয়া জগতে বেশি ব্যবহার হচ্ছে। কোন সংবেদনশীল ভিডিও বা উক্তি মানুষ দ্রুত শেয়ারের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়, ফলে তা অল্প সময়ে বড় পরিসরে ছড়িয়ে পড়ে। তখন এই ঘটনাকেই আমরা ভাইরাল বলি।
ভাইরাল আমাদের সেইসব কিছুই করা উচিত যা আপনার আমার সকলের জন্য কল্যানকর। অকল্যানকর কোন ঘটনাই দেশ ও জাতির কল্যানে ভাইরাল করা উচিত নয়। আপনার আমার সচেতনতা ও সত্য মিথ্যাকে আলাদা করার শক্তিই ভাইরাল নামক ভাইরাস থেকে মুক্তি দিতে পারে।
পরিশেষে বলতে চাই, ভাইরাল নামক জীবানু থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করার জন্য, সত্য মিথ্যা যাচাই না করে কোন তথ্য প্রচার করা থেকে আমাদের সকলেরই বিরত থাকা উচিৎ।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে অসত্যকে ভাইরাল করা থেকে বিরত রাখুন। আমিন… আল্লাহ হাফেজ…