কল্পনার রাজ্যে হারিয়ে যেতে আমার সবাই অনেক ভালোবাসি কেনো না সেই কল্পনার রাজ্যের আমার নিজেরাই রাজা। মানুষের কত জিনিসই কল্পনা করে তার মধ্যে মানুষ সবচেয়ে বেশি যা কল্পনা করে তার হলো ভবিষ্যতে কথা। নিজের চোখে তো নিজের কল্পনার রাজ্যে সব সময় দেখেন আজ না হয় আমার চোখ দিয়ে আমার কল্পনার রাজ্যেটা একটু ঘুরে আসা যাক।
কেমন হতে পারে বাংলাদেশ ২০৪১ সালে? আমার কল্পনার রাজ্যের সবচেয়ে আকর্ষণীয় কল্পনা এটি। চলেন শুরু করা যাক আমার কল্পনার রাজ্যের ভ্রমণ। আগেই বলে নিচ্ছি কল্পনার রাজ্য বাস্তবতা থেকে অনেক ভিন্ন।
২০৪১ সাল। সকাল ৫ টা। রাস্তাঘাট একদম ফাঁকা নাই কোন মানুষ জনের কোলাহল, কেউ পত্রিকা বিলি করছে না, না কেউ দুধ বিক্রি করতে বের হয়েছে। কিন্তু এ কী? পার্ক গুলোতে এতো মানুষ কেন? কিছুক্ষণের মধ্যেই বুঝতে পারবেন যে স্বাস্থ্যের জন্য এত পরিশ্রম যে সকাল ৫ টা বাজে মানুষ পার্কে ব্যায়াম করতে বের হয়েছে। গত কয়েক বছরে মানুষ এতই আরামপ্রিয় হয়ে গেছে যে স্বাস্থ্যের খেয়াল নেওয়ার কথা মনেই ছিলনা। যাক এত গেলো স্বাস্থ্যের কথা। আরে হঠাৎ কি হলো? যেন শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে, ঠিকমতো অক্সিজেন পাচ্ছেন না। চারিদিকে তাকিয়ে দেখতে পাবেন যেকোনো গাছপালায় নেই আছে ফাঁকা মাঠ, রাস্তাঘাট আর লম্বা লম্বা বিল্ডিং। অক্সিজেনের অভাব এটাতো স্বাভাবিক। আর বায়ু দূষণ সেটাতো নতুন কি? ঐ যে সকালে রোদ ফুটে উঠেছে। সকাল ৮ টা। এতক্ষণে তো মানুষের কোলাহল,জামজট বেধে যেত কিন্তু এসব কিছুই নেই। কারণ এখন ওয়ার্ক ফ্রম হোম এর যোগ, এখনকার ঐ অফিস যেতে হয় না।
চলেন একটু এগিয়ে যাই। এখন রাস্তায় যানবাহন দেখা যাচ্ছে। এমন এমন যানবাহন আপনি শুধু হলিউডের মুভিতে দেখেছেন। আপনার চারপাশে আপনি অনেক অটোমেটিক সিস্টেম দেখতে পাবেন। এখন বাড়ি সিকিউরিটি দিতে সিকিউরিটি গার্ডের দরকার হয়না সব ঘরেই স্মার্ট হাউস। আপনি বুঝতে পারবেন যে বাংলাদেশ আসলেই ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়ে উঠেছে। কিন্তু মানুষ যেন জীবনকে উপভোগ করতে ভুলে গেছে। সারাদিন বাসায় থেকেও পরিবারকে দেওয়ার মত সময় নেই কারো কাছে। সবাই ফোন,ল্যাপটপ আরো বিভিন্ন ডিজিটাল পণ্য নিয়ে ব্যস্ত। যেমন এক বছরের ছোট বাচ্চার হাতে স্মার্টফোন। সে যেন তার মার থেকে তার ফোনকেই বেশি ভালোবাসে। পৃথিবী উন্নত হয়েছে ঠিকই কিন্তু কোথায় যেন হারিয়ে গেছে মানুষ।
এখন আমার কল্পনার রাজ্য থেকে বেরিয়ে আসার সময় হয়ে গেছে। আচ্ছা এই কল্পনা যদি কখনো বাস্তবতার রূপ ধারণ করে?