করোনায় কার্যকর ভ্যাকসিন তৈরীর লক্ষ্যে পরীক্ষা করতে করতে চীনে বানরের সংকট দেখা দিয়েছে ৷পর্যাপ্ত বানানোর সরবরাহ না থাকায় পরীক্ষার বিকল্প উপায়ে চিন্তা করছে চীনের বর্তমান গবেষকরা ৷এমনকি অন্যান্য দেশের মানুষের উপর পরীক্ষা চালানোর চিন্তাভাবনা করছে কোনো কোনো গবেষক ৷করোনার প্রতিষেধক তৈরিতে চীন অবিরাম পরিশ্রম করে যাচ্ছে টানা দিন রাত 24 ঘন্টা ধরে ৷চীনের গবেষণা কেন্দ্র গুলোতে কাজ চলছে ৷ এমনকি ছুটির দিনেও তারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ৷ চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর ভিত্তিক কোম্পানি ইশেং বায়োফার্মা চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে করোনার বিরুদ্ধে কাজ করছে ৷ শুধু একা নয় প্রতিযোগিতায় নেমেছে আরো বেশ কয়েকটি কোম্পানি ৷ গবেষণার কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য ব্যবহার হচ্ছে হাজার হাজার বানর |যার ফলে বানরের সংকট দেখা দিয়েছে ৷ গত মাসেই দেশটির একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি দাবি করে, বানরের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে তারা সফলতা পেয়েছে ৷ তবে ইশেং জানান,গবেষণা এখনো প্রাথমিক এবং প্রাণীদেহে পরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে ৷ তারপরও ক্লিনিক্যাল শেষ করার আগে আগামী সেপ্টেম্বর মাসে উৎপাদনে যাওয়ার কথা ভাবছে কোম্পানি ৷ ইশেং এর চেয়ারম্যান বলেন ,তার কোম্পানির মধ্যে পরীক্ষা চালানো হয়েছে এবং ফলাফল ভালো ৷ তবে সকল গবেষণা কেন্দ্র গুলোতে একাধারে বানরের উপর পরীক্ষা চালানোর ফলে এখন চীনে যে বানর সংকট দেখা দিয়েছে তা আকাশচুম্বী ৷পূর্বে একটি বানরের দাম ছিল 10 হাজার ইউয়ান অথবা 20 হাজার ইউয়ান ৷ কিন্তু এখন একটি বানর কিনতে 1 লাখ ইউয়ান পর্যন্ত দিতে হচ্ছে ৷এরপরও সরবরাহ ঘাটতি দেখা দিয়েছে ৷ল্যাবের জন্য প্রাণী সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান জানায়, গত বছর চীন 20 হাজার বানর রপ্তানি করেছে ।চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর সেনইয়াং ভিত্তিক কোম্পানি ঈশাং বায়ু ফার্মা চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে বিরতিহীন ভাবে কাজ করে যাচ্ছে ৷কোম্পানিটি বেশিরভাগ বানরের উপরই পরীক্ষা চালিয়েছে ৷কোম্পানিটি এখনো এর বিকল্প সমাধান খোঁজার জন্য লাগাতার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে ৷পরীক্ষা করতে করতে চীনের বানরের সংকট যেভাবে চীনের প্রাকৃতিক পরিবেশের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব ফেলবে ,ঠিক তেমনি গবেষণা কেন্দ্র গুলোতেও বানরের অভাবে গবেষণাগুলো একধাপ পিছিয়ে পড়বে। অতি দ্রুততার সঙ্গে এর বিকল্প উপায় খুঁজে বের করা অতি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে ৷মূলত ভ্যাকসিন পরীক্ষার ক্ষেত্রে বানর কে কাজে লাগানো হয় এর কারণ জেনেটিক গত ভাবে বানর থেকেই ধারণা করা হয় সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের উৎপত্তি ৷ সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখে প্রথমে ইঁদুর -খরগোশের উপর পরীক্ষা চালানো হয়েছে, পরবর্তীতে বানর উপর পরীক্ষা চালিয়ে সামগ্রিক ধারণা রাখা হয়েছে যে, মানুষের ওপর এর কার্যকারিতা আছে কিনা ৷ এজন্যই পরীক্ষার জন্য এটি অতি প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷
সূত্রঃ বিবিসি, ইন্টারনেট
কোনো কপিরাইট নেই।