আসসালামু আলাইকুম। সবাই কেমন আছেন।আশা করি ভালোই আছেন।চিরকাল ভালো থাকুন। ভালো রাখুন।আজ আপনারা জানতে পারবেন,কিভাবে নিজেই নিজেকে সাহায্য করতে হয়। যখন কেউ পাশে থাকে।তখন নিজেকে আর আসহায় মনে করবেন না। বুকে সাহস রাখুন।রাখুন আত্মবিশ্বাস।পৃথিবীকে তো আপনাকেই পাল্টাতে হবে।
তহলে শুরু করি। কথা গুলো অনেক অগোছালো। তাই সবাই ক্ষমাময় দৃষ্টিতে দেখবেন।
টেনশন হলো ভাবাবেগজনিত চাপ ও উৎকণ্ঠার নাম। এর ফলে শরীরের পেশি উত্তেজিত ও শক্ত হয়ে ওঠে। এ অবস্থায় দ্বারা মস্তিষ্ক প্রভাবিত হয় আর তখন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে শারীরিক ও মানসিক অস্বস্তি বাড়তে থাকে এবং বিভিন্ন টেনশন জন্মলাভ করে। টেনশন থেকে গ্যাস্ট্রিক, আলসার, মেরুদণ্ডে ব্যথা ও বিষণ্নতা সৃষ্টি হয়ে থাকে। টেনশন থেকে আরও যেসব সমস্যা হতে পারে তা হলো; ঘাম হওয়া, খিদে কমে যাওয়া, এলার্জি বের হওয়া, হাত পা কাপা ইত্যাদি।শিথিলায়ন হলো এমন প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে শরীরের পেশি শিথিল করা যায়। পেশী শিথিল হলে শক্তি ফিরে আসে। আর তখন উত্তেজিত হওয়ার ফলে যে স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দিয়েছিল সেগুলো দূর হতে থাকে। মূলত টেনশন থেকে সৃষ্ট রোগ সমূহের চিকিৎসা হলো শরীর শিথিল করে রোগের মুখোশ ভেদ করে মনে মনে সুস্থতার ছবি দেখা, বিশ্বাসের সাথে মনে মনে সুস্থ হওয়ার আশা ব্যক্ত করা এবং প্রশান্ত হাস্যোজ্জ্বল থাকা।
মনোবিজ্ঞানীগণ পরিসংখ্যান করে দেখেছেন শতকরা 70 ভাগ রোগের কারণই হচ্ছে মানসিক। অর্থাৎ কোন ঘটনার কারণে মানুষের মানসিক প্রক্রিয়াই সত্তর ভাগ রোগের জন্য দায়ী। শতকরা বিশ ভাগ রোগের কারণ হচ্ছে ইনফেকশন, ভাইরাস আক্রমণ, ভুল খাদ্যগ্রহণ ও ব্যায়াম না করা। শতকরা দশ ভাগ রোগের কারণ হলো দৈহিক আঘাত, ওষুধ ও সার্জারির প্রতিক্রিয়া।
মনোবিজ্ঞানী ও চিকিৎসাবিশারদগণের চূড়ান্ত কথা হলো শতকরা সত্তর ভাগ রোগ আল্লাহর রহমতে সুস্থ জীবনদৃষ্টি গ্রহণ করে শিথিলায়নের মাধ্যমে দূর করা সম্ভব। অন্যান্য রোগের চিকিৎসা ঔষধের সাথে সুস্থ হওয়ার আশা ব্যক্ত করা এবং সুস্থ হওয়ার কল্পনা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ আমাদের দেহে যতটা না বস্তু তার চেয়ে বেশী চেতনা।মূলত আবেগ-অনুভূতি দেহের প্রতিটি কোষকে পরিচালনা করে। গভীর শিথিলায়ন ব্যথা দূর করার পাশাপাশি ব্যথার সাথে জড়িত আবেগকেও দূর করে দূর করে। একজন ডাক্তার খুব সুন্দর ভাবে বলেছেন;অত্যন্ত কষ্টকর একটি অবস্থা হলো,রাত তিনটার সময় আপনি যখন প্রচণ্ড মাথাব্যথার কারণে জেগে ওঠেন,তখন আপনার নিজেকে প্রচন্ড অসহায় মনে হয়। আপনি বিছানায় শুয়ে আহাজারী করেন। ভাবেন আপনার কিছুই করার নেই। সে সময় যদি আপনি শিথিলায়ন করেন, তাহলে পরিস্থিতির উপর একটা নিয়ন্ত্রণ আসতে থাকে। অসহায়ত্বের ভাব কমে যায়।সেই সাথে কমে যায় ব্যথার কষ্ট। সবাই ভালো থাকুন।এই প্রত্যায়।
ভালো লাগলে পোষ্টটি শেয়ার করুন।