আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ।অতিরিক্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হবেন না। নিজে সুস্থ থাকুন এবং পরিবারের সবাইকে সুস্থ রাখুন।বন্ধুত্ত মানব জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ।বন্ধু ছাড়া এক মিনিটও চলা অসম্ভব।জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে প্রতিটি মুহূর্তে একজন বন্ধুর খুব প্রয়োজন হয়।যার বন্ধু নেই সেই বুঝে বন্ধুর গুরুত্ব কতখানি। বন্ধুকে নিয়ে কষ্টের কথা-
সময়টা ২০০৮ সালের দিকে। সারিতা তখন মাত্র হাইস্কুলে উঠলো। নতুন স্কুল সেই সাথে নতুন পরিবেশ সেই সাথে নতুন নতুন মুখ।সারিতার মনে হচ্ছে প্রতিটি দিন নতুন দিন এবং সে নতুন করেই পরিবেশে খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করেই যাচ্ছে কিন্তু হচ্ছেই না।হঠাৎ করেই একদিন সে বাসায় জানিয়ে দেয় সে আর এই স্কুলে পড়বেনা।এইদিকে তার বাবা মা মহা দুশ্চিন্তায় পড়লেন।পরদিন সে আবার স্কুলে গেলো কিন্তু আজ মনে হলো তার মতো আরও একজন আছে যে ওই পরিবেশে নতুন। চারপাশে অপরিচিত মানুষের মাঝে নতুন বন্ধু খুঁজে কিন্তু পাচ্ছেনা।স্কুলে সেই নতুন মেয়েটির নাম মৌসুমি।
খুব অল্প দিনের মধ্যেই সারিতা এবং মৌসুমির মধ্যে ভালো বন্ধুত্ত হয়ে যায়।একসাথে থাকা খাওয়া, চলাফেরা,পড়াশোনা চলতে লাগলো। সারিতা মৌসুমির সাথে প্রতিটি বিষয় শেয়ার করলে মৌসুমিও করতো। কিন্তু তখনই সারিতা জানতোনা কি ভুলে পা দিচ্ছে সে।দিন যত যাচ্ছিলো সারিতা আর মৌসুমির বন্ধুত্ত গাড় হচ্ছিলো।
কিন্তু সময় সবসময় সবার সহেনা।সারিতার ক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়েছে।মৌসুমির সারিতার অগোচরে একটি সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে।বিষয়টি সম্পর্কে সারিতা একদম অবগত ছিলো না।বিষয়টি শুনে সারিতা কষ্ট পেলেও বিষয়টি সম্পূর্ণ একপাশে রেখে একজন প্রকৃত বন্ধু হয়ে দায়িত্ব পালন করতে থাকে।
এইভাবে দিনের পর দিন অতিবাহিত হতে থাকে। কিন্তু হঠাৎ করে মৌসুমির সম্পর্কের কথাটি তার বাসায় জেনে যায়। যার ফলে তার পরিবারের সদস্যরা তার উপর নানান শুরু হয় তার উপর নানান ধরণের নির্যাতন শুরু করে। এক পর্যায়ে নিজেকে বাঁচাতে গিয়ে মৌসুমি তার সম্পর্কের মাধ্যমটি সারিতার উপরে চাপিয়ে দেয়।
পরবর্তীতে মৌসুমির পরিবার এসে সারিতার পরিবারের উপর নানান ধরণের খারাপ ব্যবহার করে। এতে সারিতার পরিবারের অপমান হয় এবং সেই সাথে সারিতা এভং মৌসুমির বন্ধুত্তের ভাঙন শুরু হয়।পরবর্তীতে মৌসুমির পরিবার ওই জায়গা থেকে চলে যায়।কিন্তু সব দোষ পড়ে যায় সারিতার ঘাড়ে।
সারিতা মৌসুমিকে বন্ধু ভেবেছিলেন কিন্তু মৌসুমি সারিতার সেই সরল বিশ্বাস ভেঙে দিয়েছিল। তারপর থেকে সারিতা আর জীবনে কোন বন্ধু দূরের কথা কাউকে আপনও ভাবতে পারেনি।কারণ তার প্রিয় বন্ধুর প্রতি সে বিশ্বাস করেছিলো কিন্তু সে অপমানঈ পেলো।
তাই সকলের উদ্দেশ্য আমার কিছু বলতে চাই।তা হলো কখনো কাউকে বিশ্বাস করবেন না। বন্ধু বানানোর আগে সতর্ক থাকুন।কাকে বন্ধু বানাবেন বিবেচনা করে নিন।ধন্যবাদ সবাইকে।
ঘরে থাকুন
সুস্থ থাকুন