সেবা করে যে মনে কত স্বস্তি লাগে তা আপনারা সবাই কেউনা কে অনুভব করেছো জীবেন। কাউকে সাহায্যে করার পর যখন সামনের মানুষটা তোমার জন্য একটু মিষ্ট হাসি দেয়,খুব আনন্দ লাগে তাই না!
এই মানুষকে সেবা করার একটা উপায় হল ডাক্তারি পেশা। গায়ে সাদা এপ্রোন ওড়া এক সেবাদনকারী মানুষ।
ডাক্তার হতে তলে যে ডিগ্রি নিতে হয় তার নাম M.B.B.S। পূর্ণ নাম হল ব্যাচেলার অফ মেডিসিন আ্যন্ড ব্যাচেলার অফ সার্জারি।
M.B.B.S ডাক্তার হওয়ার জন্য প্রথম ধাপঃ ডাক্তার হওয়ার জন্য শুধু যে লেখাপড়ার প্রতি দক্ষ হলে হবে না। তেমাকে অন্যজনের সুখ দুঃখের প্রতি নজর দিতে হবে। নিজের মনকে সবসময় প্রস্তুত রাখতে হবে অন্যের সেবা করার জন্য। রোগিদের কথা মন দিয়ে শুনতে হবে। চিকিৎসা বিজ্ঞান সম্পর্কে দক্ষ হতে হবে,নতুন চিকিৎসা প্রযুক্তি সম্পর্কে খোঁজে রাখতে হবে সাথে চর্চাও করতে হবে। দক্ষ ডাক্তার হতে হলে
সেমিনার, বিভিন্ন প্রশিক্ষণে এবং কর্মশালায় যোগ দিতে হবে। ডিগ্রি অর্জনের শেষও তার বিভিন্ন বিষয়ের উপর জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
M.B.B.S কোথায় পড়ানো হয়?
বিএমডিসি স্বীকৃত ৭৮টি মেডিকেল কলেজ আছে। তার মধ্যে ৫৫টি বেসরকারি আর ২৩টি সরকারি। ৭৮টি মেডিকেল কলেজ থেকে M.B.B.S ডিগ্রি অর্জম করা যায়। সরকারিতে পড়তে হলে অনেক পরিশ্রম করতে হয়। কঠোর সাধনা করতে হয়। আর বেসরকারিতে খরচ প্রচুর পরিমাণ হয়।
একজন মেডিকেল অফিসার হতে হলে আপনাকে অবশ্যই মেডিকেল ডেনটাল কলেজ থেকে ৫ বছর মেয়াদী M.B.B.S ডিগ্রি পাশ করতে হবে। এইচ এস সি পরীক্ষার রেজাল্ট দেওয়া পর শুরু হয়ে যায় এডমিশন জন্য পরীক্ষা। ডিগ্রির শেষে
মেডিকেল হাসপাতালে ইন্টার্নশিপ করতে হবে।
ডাক্তার হতে হলে যে নিয়ম মেনে পড়া উচিতঃ
এইচ এস সি পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর সময় থাকে ৪-৫ মাস। আার এই কয়েকদিনে তোমাকে করতে হবে কঠোর পরিশ্রম।
শরীর ভালে থাকলে মনকেও ভালো রাথা যায়। তাই এসময় যাতে কোন প্রকার অসুস্থ না হতে হয় সে বিষয়ের প্রতি খেয়াল রেখো। ঠিক সময়ে খাবার খেয়ে নিবে হবে। পুষ্টিকর খাবার খাও। দুধ বাদাম রোজ খাবে।ঠান্ডা পানি, আইসক্রিম সব বন্ধ করে দাও।
একটানা কোনদিন পড়বে না। এতে তোমার অলস বাড়িয়ে দেবে।তাই দুই ঘন্টা পড়ার পর একটু ব্রেক নিব তারপর আবার পড়া শুরু করবে। মুখস্ত করে পড়ে পরার প্রয়োজন নেয়। বুঝে বুঝে পড়বে।
প্রতিদিন টার্গেট রাখবেন যে দিনে ৩০০টা সাধারণ জ্ঞান পড়বে। ইংলিশ মুভি দেখবে যাতে তোমার ইংলিশ এ ভালো দক্ষতা অর্জন হয়। শিখাও হয়ে যাবে আর তোমরা ব্রেকও হবে।
তোমার দূর্বলতা কোথায় তুমি বের কর। তুমি নিজের দূর্বলতাটাকে আগে গুরুত্ব দাও। কি পাড়ো তার দিকে খেয়াল রাখো। যা পড়া শেষ তা আবার ভালো করে পড়ে নাও। তারপর কি পড়া হয়নি তারদিকে নজর দাও।প্রতিটি বই খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়বে। গোছানো করে পড়াশোনা করা উচিত। ধাপে ধাপে সব শুরু করবে। প্রতিদিন সব বইয়ের জন্য দুঘন্টা সময় রাখবে। প্রতিটি বইয়ের সব কনফিউজড ক্লিয়ার করে ফেলবে।
গাণিতিক বিষয় বা যেসব প্রশ্নের উত্তর দিতে সময় লাগবেতাই সেগুলো একটু পড়ে দিও হাতে যাতে সময় বাকি থাকে সেই দিকে লক্ষ্য রাখবে। প্রথমে একবার প্রশ্ন ভালো করে পড়ে নিবে। যে প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে সময় লাগবে সেই প্রশ্নের উত্তর একটু পরে দিও।
একটার উত্তর দিতে গিয়ে যদি তিন-চার মিনিট সময় নিয়ে ফেলো, দেখা যাবে শেষের দিকে কয়েকটা প্রশ্নের উত্তর করতে পারবে না। যত দ্রুত সম্ভব সবগুলো প্রশ্ন পড়ে ফেলতে হবে। তবে খেয়াল রাখবে যাডে তাড়াহুড়া করার সময় ভুল না হয়।প্রথমবার পড়ার সময় কঠিন মনে হলে বার বার পড় এতে তোমার প্রশ্ন সহজ লাগবে।