আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক এবং পাঠিকাগন। কেমন আছেন আপনারা সবাই ?আশা করি আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আপনারা সকলে নিজ নিজ অবস্থানে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই কামনায় ব্যক্ত করি।
গ্রাম প্রকৃতিটির এক অপার সৌন্দর্যের নাম। বিধাতার সৃষ্টি যে এত্ত সুন্দর তা গ্রাম না দেখলে আপনি বুঝবেন না!যে দিকে দুচোখ যায় খালি সবুজের সমারোহ। গ্রামের সবুজ প্রকৃতি ,আঁকাবাঁকা মেঠো পথ ,ধানক্ষেতের ওপর সমারোহ প্রতিবারই মনোমুগ্ধকর প্রকৃতি প্রেমীদের। আজকের সমাজে যারা গুণী ব্যক্তি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন তাদের শুরুটা হয়েছে কিন্তু গ্রাম থেকে। গ্রামের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে কত কবি ,সাহিত্যিক যে কত শত কাব্য রচনা করেছেন তার কোনো ইয়ত্তা নেই। গ্রামের সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে কবিতার পাতায় পাতায়। গানের প্রতিটি লাইনে লাইনে। তাই তো কবির শুরে বলা হয়
“গ্রামছাড়া ওই রাঙামাটির পথ
আমার মন ভোলায় রে ”
সবুজের ছায়া ঘেরা গ্রামের সৌন্দর্য মুগ্ধ করে আমাদের।গ্রামের বিশাল বির্স্তীর্ণ মাঠ সেই সাথে বেয়ে চলা আঁকাবাঁকা যদি জানান দেয় প্রকৃতি বয়ে চলে তা নির্দিষ্ট নিয়মে এবং নির্দিষ্ট গতিতে।গ্রামের সৌন্দর্য কখনো শহরের ইটঁকাঠে পাওয়া যাবেনা। তাইতো শহরের মানুষ খানিকটা অবসরে নাড়ির টানে ছুটেআসে তার গ্রামে।
গ্রাম যে শুধু সৌন্দর্যে ভরপুর তা কিন্তু নয়। বরং গ্রামের সবকিছুই সুন্দর। গ্রামের প্রতিটি অনুষ্ঠান পালন করার ধরণ তা সুন্দর। গ্রামে আমাদের প্রতিটি ঋতুকে খুব সুন্দর করে বোরন করা হয়।
প্রতিটি ঋতুর জন্য থাকে ভিন্ন ভন্ন ধরণের আচার এবং অনুষ্ঠান। প্রতিটি ঋতু তাই আপন মহিমায় ভিন্ন ভিন্ন সৌন্দর্যের উৎস নিয়ে হাজির হয় গ্রামে।গ্রীষ্মকালে নানা ধরণের ফলের বাহার ,শীতকালের খেজুরের রস এর হিড়িক,বর্ষাকালে নানান ধরণের মাছ ধরার হিড়িক,শরতের শুভ্র কাশফুল প্রতি দিন হয়ে উঠে উৎসব পারবেন ময়। গ্রামে হয়তো শরীরের মতো অটো সুযোগ কিংবা সুবিধা নেই কিন্তু রয়েছে অপুরূপ শান্তি এবং প্রকৃতির সমারোহ।
গ্রামের সৌন্দর্য সম্পর্কে সরোহের ছেলেমেয়েদের মধ্যে তেমন কোনো ধারণাই নেই। তাই কয়েকটা দিন যদি গ্রামে ঘুরে আশা যায় তাহলে শরীরের ছেলেমেয়েদর গ্রাম প্রীতি হতে দেখা যাবে।
সামনে নতুন কোন টপিক নিয়ে হাজির হব আপনাদের সামনে।ধন্যবাদ সবাইকে।
ঘরে থাকুন
সুস্থ থাকুন