আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক এবং পাঠিকাগন। কেমন আছেন আপনারা সবাই ?আশা করি আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন সেই কামনায় করি। সাম্পান নৌকা নিয়ে কবিতা –
বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ। অসংখ্য যদি নদ নদীর সমাহার রয়েছে আমাদের এই দেশে। এক এক যদি এক এক কারণে বৈশিষ্ট্য । ঠিক তেমনি এক এক নদীতে বাহিরে নৌকার জন্য বৈশিষ্ট্য। তেমনি বন্দরনগরী চট্টগ্রামের মানুষের কাছে সাম্পান নৌকা অনেক পরিচিত। সাম্পান নৌকার দুইপাশ থেকে উঁচু এবং মাঝে স্থান থাকে নিচু। কিছু কিছু সাম্পান নৌকার দেখা মিলে চট্টগ্রামে। চট্টগ্রামের এই সাম্পান নৌকা নিয়ে গান কবিতার শেষ নেই। আজ আমি আপনাদের সাম্পান নিয়ে রচিত কবিতা তুলে ধরবো।
চাঁদের সাম্পান
দিলছিলো নাও ফুঁসছিলো জল ঢেউয়ের উপটোকক
ভয়ের দুইটি ডানার মাঝে চাঁদ উঠেছিলো একা।
হওয়ার গানে জলের টানে যাচ্ছে ভেসে কই
একটি বড় ঢেউয়ের ধাক্কায় ধরেছিলো সই।
এমনকর চাঁদের এল মাতাল করো জলে
মরণ ভয়ের দুয়ার ভুলে প্রেমের নৌকা চলে।
যাত্রীরা কেউ বদর বদর দোয়া ইউনুস পরে
প্রেম কেন যে এলিয়ে পরে ছোট সাম্পান ঘরে।
জীবন এবং মরণ সবই ঝড়ের রাতে তুচ্ছ
জলের ময়ূর তৃষ্ণাকাতর নাচাচ্ছে তার পুচ্ছ।
দুলছিলো জল ফুলছিল জল ঢেউয়ের উপটোক্কা
প্রেমের ভুরুর মধ্যাকাশে চাদ দিলো আজ দেখা।
আমার সাম্পান যাত্রী
কাজী নজরুল ইসলাম
আমার সম্প্ন যাত্রী না লো
ভাঙা আমার তরী
আমি আপনারে লয়ে রে ভাই
এ-পার ও -পার করি।।
আমায় দেউলিয়া করেছে রে ভাই এ নদীর জল
আমি ঢুবে দেখতে এসেছি ভাই সেই নদীর তল
আমি ভাসতে আসি
আসিনি ক কমাতে ভাই করি।।
আমি জলেরই আয়নাতে ভাই দেখেছিলাম
তাই এখন আয়না আছে পরে রে ভাই
আয়নার মানুষ নাই।
তাই চোখের জলে নদীর জলে রে ভাই
আমি তারেই খুঁজে মরি।।
আমি তারির আশায় সাম্পান লয়ে ঘটে বসে
আমার তারির নাম ভাই
জপমালা তারেই কেঁদে ঢাকি।
নয়ন নদীর জলে জলে ভরি।।
ওই নদীর জলও শুকায়রে ভাই
,সে জল আসে ফিরে
আর মানুষ গেলে ফিরে না কি দিলে মাথায় কিরে। আমি ভালোবেসে গেলাম ভেসে গো
আমি হলাম দেশান্তরি।।
সামনে নতু৷ কোন টপিক নিয়ে হাজির হবো আপনাদের সামনে।ধন্যবাদ সবাইকে।
মাস্ক পড়ুন
সুস্থ থাকুন