সমাজ?
কি হবে এই সমাজ দিয়ে যে সমাজ আমাদের মেয়েদের মর্যাদাটুকু দিতে পারে নাই যা একটা মেয়ের অধিকার। আমরা মেয়েরা উঠতে বসতে নানান কথা শুনতে হয়।আমার কথা হচ্ছে কেনো? আমি একটা মেয়ে বলে? কাজের মেয়ে থেকে শুরু করে বড়লোকের মেয়েরাও সেই একই সমস্যার সম্মুখীন হইতেসে। ছোটোবেলা দেখতাম আমার নিজের চাচা আমাদের বাসার কাজের মেয়ের সাথে খারাপ কিছু করার চেষ্টা করছে আমি তখন বুঝতাম না আসলে কি করতে চাচ্ছেন উনি এখন বড় হওয়ার পরে বুঝতেছি।
উনি দেখতাম সব কাজের মেয়েদের সাথেই এইগুলা করতেন। যখন অন্ধকার থাকতো কোনো কারণে উনি সুযোগে রান্না ঘরে গিয়ে তাদের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করতেন আমি বুঝতাম যাই হচ্ছে ভালো হচ্ছে না তাই আমিও কিছু একটার বাহানা করে চলে যাইতাম রান্না ঘরে। বড় হওয়ার পর আম্মুর মুখে শুনলাম এই চাচা আমার আম্মুর সাথেও এইগুলা করেছেন। ধর্ষন করার চেষ্টা করেছেন কতটুকু সফল হতে পেরেছেন জানা নেই।
শুনেছি আম্মু নাকি আমার ছোটো ভাই হওয়ার সময় তাকে জন্ম দিতে চাননি। কেনো তা জানা নেই। হয়তো উনি তিন সন্তানের বেশি চান নাই আবার অন্য কিছুও হতে পারে। জানা নেই। উনাকে দেখলে এখনও ভয় লাগে যদিও উনার বিয়ে হয়ে গিয়েছে। দুই সন্তানের বাবা হয়েও যার কাজের মেয়ের প্রতি আকর্ষণ কমে না আমি নিজেরে এক বাসায় থেকে সেফ কিভাবে মনে করি? দিন গুলো এইভাবেই কাটে।
ভয়ে ভয়ে! কখন কি হয় বলা যায় না। একটা মেয়ে যদি তার নিজের ঘরে সেফ বোধ না করে সে ঘরের বাইরে পা ফেলবে কি করে। যখন একটা মেয়েকে রেপ করা হয় তখন দোষ দেয়া হয় তার গায়ের কাপড়ের তাই না? তাইলে আমার মায়ের কাপড়ের কি দোষ ছিল উনি তো খারাপ কিছু পরেন নাই, কই আমাদের বাসার কাজের মেয়ের কাপড়ে তো কোনো দোষ ছিল না। দোষ ছিল তো ছিল শুধু সেই দোষ চরিত্রের লোকটির। আল্লাহ মেয়েদের পর্দা করার পাশাপাশি ছেলেদের ও নিজেদের চোখ নিয়ন্ত্রণে রাখতে বলেছেন।সবাই যদি নিজেদের সংযত রেখে চলি তাইলেই তো হইলো।
যাকে ভাগ্যে লেখা আছে সে তো আসবেই যে আসছে তার কদর করলে সেও তো তোমার কদর করবে ভালবাসবে তাইলে কেনো শুধু শুধু পাপ বাড়ানো।বিবাহিত জীবনে সুখ নাই হতে পারে এর জন্য সেই সুখ অন্য কোথাও খুঁজতে হবে এমন তো না।
কতো ধরনের মানুষই না আল্লাহ্ সৃষ্টি করেছেন একদিকে আমার চাচা উনার বিয়ের 6 বছর হয়েছে উনার দুইটা সন্তান তাও উনার শারীরিক সুখ খুঁজতে অন্য কোথাও যাওয়া লাগে অপরদিকে আমার ফুফা উনাদের বিয়ের 11 বছর এখনও কোনো সন্তান নেই তাও উনি এখন পর্যন্ত ফুপ্পির সাথে আছেন দ্বিতীয় বিয়ের চিন্তাও করেন নাই। এটাকে বলে ভালোবাসা।কাউকে ভালোবাসি বললেই হয় না অন্তর এর ব্যাপার আছে। অনেক সময় না বলেও ভালোবাসা প্রকাশ করা যায়।
নিজে ভালো থাকো সমাজরেও ভালো থাকতে দাও।